পুরানো ডাটা ও নথি ডিজিটালাইজড করার নির্দেশ দিয়েছেন বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ।
তিনি বলেন, প্রযুক্তিগত পরিবর্তনের সঙ্গে সঙ্গেই অংশীজনদের সম্পৃক্ত করতে হবে। নতুন প্রযুক্তি ব্যবহার বান্ধব হতে হবে। কেননা মানুষ পরিবর্তনকে সহজভাবে গ্রহণ করতে চায় না।
আজ অনলাইনে বিস্ফোরক পরিদপ্তরের সেবা বাস্তবায়ন বিষয়ক কর্মশালার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।
নসরুল হামিদ বলেন, অনলাইন সেবা, সময় ও অর্থের সাশ্রয়ের সঙ্গে সঙ্গে দুর্নীতিও লাঘব করবে। অনলাইনে স্বয়ংক্রিয় পদ্ধতিতে লাইন্সেস তৈরি ও নবায়ন করা গেলেও টাইম-লাইন সুস্পষ্ট করা হয়নি।
উল্লেখ্য, বিস্ফোরক পরিদপ্তর ১৮ ধরনের সেবা দেয়। এই সেবাগুলো এখন অনলাইনেও পাওয়া যাবে। জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগের সিনিয়র সচিব আনিছুর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মাঝে এ টু আই প্রকল্পের পরিচালক আব্দুল মান্নান ও প্রধান বিস্ফোরক পরিদর্শক মঞ্জুরুল হাফিজ সংযুক্ত থেকে বক্তব্য দেন।
অন্য আরেকটি অনুষ্ঠানে বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম এক্সপ্লোরেশন এন্ড প্রোডাকশন কোম্পানি লি. (বাপেক্স)-এর সাফল্য ভালোই।
তিনি বলেন, বাপেক্সে সক্ষমতা বৃদ্ধির চেষ্টা অব্যাহত রাখা হবে। আন্তর্জাতিক মানে গ্যাস অনুসন্ধান, উত্তোলন/উৎপাদন কোম্পানি হিসেবে বাপেক্সকে দেখতে চাই। বিদেশি কোম্পানির সঙ্গে বাপেক্স সমান্তরালভাবে কাজ করলে দক্ষতা ও আত্মবিশ্বাস আরও বাড়বে।
প্রতিমন্ত্রী আজ অনলাইনে এনার্জি এন্ড পাওয়ার পত্রিকা আয়োজিত ‘ইপি টকসঃ এক্সপ্লোরেশন এন্ড ম্যানেজমেন্ট চ্যালেঞ্জ ফর বাপেক্স’ শীর্ষক ওয়েবিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, উন্নয়ন কাজ পরিচালনার জন্য আমাদের প্রচুর গ্যাস লাগবে। হাইপ্রেসার জোনে গ্যাস খোজা বা হরাইজোন্টাল এক্সপ্লোরেশন- এর গ্যাস উত্তোলনের জন্য বিশেষজ্ঞ প্রয়োজন। বাপেক্সকে প্রয়োজনীয় সহযোগিতা দেয়া হবে কিন্তু বাপেক্সকেই ঠিক করতে হবে। তারা তাদের অবস্থান কোথায় দেখতে চায়।
এনার্জি এন্ড পাওয়ার পত্রিকা সম্পাদক মোল্লাহ আমজাদের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন বুয়েটের সাবেক অধ্যাপক ড. ম তামিম, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. বদরুল ইমাম প্রমুখ।