ঢাকা: উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা নিয়োগ-২০১৮ প্যানেল বাস্তবায়ন ও নিয়োগ দুর্নীতির প্রতিবাদে অনির্দিষ্টকালের জন্য অবস্থান কর্মসূচি পালন করেছে ডিপ্লোমা কৃষিবিদ অধিকার সংরক্ষণ পরিষদ।
রোববার (২৭ সেপ্টেম্বর) সকালে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে সকালে এ কর্মসূচি পালন করে সংগঠনটি।
আয়োজনে সভাপতিত্ব করেন পরিষদের আহ্বায়ক মাজহারুল ইসলাম।
বক্তারা বলেন, কৃষি মন্ত্রণালয়ের অধীনে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা নিয়োগ ২০১৮ ব্যাপক অনিয়ম ও সরকারি চাকরি বিধি অনুসরণ না করে ৬৫০ জনকে সুপারিশ করেছে, যা দুর্নীতির সরলতম উদাহরণ।
নিয়োগের সুপারিশের তথ্য বিশ্লেষণ করে দেখা যায়, সব নিয়োগ প্রক্রিয়াটি ছিল ত্রুটিপূর্ণ, দুর্নীতিতে ভরপুর এবং নিয়োগ বাণিজ্যের সরলতম উদাহরণ, যা বড় অঙ্কের নিয়োগ-বাণিজ্য হতে পারে বলে অনুমান করা হচ্ছে। এছাড়া বিভিন্ন সূত্রে জানা যায়, ১৫ থেকে ২০ লাখ টাকার ঘুষ বাণিজ্যের বিনিময়েও সুপারিশ করা হয়েছে বর্তমান নিয়োগ প্রক্রিয়াটিতে।
বক্তারা বলেন, এ নিয়োগ প্রক্রিয়ায় বিদ্যমান অনিয়মগুলোর মধ্যে উল্লেখযোগ্য দিক হলো-লিখিত পরীক্ষার নম্বর বিবেচনা না করে পরিকল্পিত সূক্ষ্ম দুর্নীতির মাধ্যমে পূর্বনির্ধারিত তালিকা অনুযায়ী নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পন্ন করা হয়েছে। এছাড়া টাকার বাণিজ্যের কারণে মেধাবীদের সঠিক মূল্যায়ন করা হয়নি। সম্পূর্ণ নিয়োগটি একটি সিন্ডিকেটের মাধ্যমে পরিকল্পিতভাবে সাজানো। কৃত্রিম কোটা তৈরি করে সীমাহীন দুর্নীতির মাধ্যমে সুপারিশ করা হয়েছে এ নিয়োগে। এছাড়া নিয়োগের সরকারি নিয়ম বিধিও সম্পূর্ণরূপে লঙ্ঘন করা হয়েছে।
কর্মসূচিতে বলা হয়, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর উল্লেখ করেছে যে মেধা ও যোগ্যতার ভিত্তিতে এ নিয়োগের সুপারিশ করা হয়েছে। যদি তাই হয়ে থাকে তাহলে এখন অব্দি হাইকোর্টের রুলের জবাব দেয়নি কেন এবং এ নিয়োগ কার্যক্রমের স্বচ্ছতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে কেন! সুপারিশপ্রাপ্তদের কোটাভিত্তিক তালিকা ধরে অনুসন্ধান চালানো গেলে এবং স্বাধীন তদন্ত কমিটির মাধ্যমে তদন্ত করলে আসল রহস্য উদ্ঘাটন হবে বলে আমরা মনে করি।
কর্মসূচি থেকে কৃষিতে দক্ষ জনশক্তি বৃদ্ধির মাধ্যমে খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণে সরকারের কাছে উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা নিয়োগ ২০১৮ প্যানেল আকারে বাস্তবায়নের দাবি জানানো হয়। সেই সঙ্গে আসল সত্য উদঘাটন ও প্রকাশের জন্যও অনুরোধ জানানো হয়।