মাদারীপুর জেলা প্রতিনিধি: মাদারীপুরে দুটি আসনে বিএনপি থেকে মনোনয়ন পেতে মরিয়া সাবেক সংসদ সদস্য দুই নারী নেত্রী। দিনরাত মাঠ চষে বেড়াচ্ছেন তারা। সভা-সমাবেশ থেকে শুরু করে করছেন উঠান বৈঠকও। দলীয় নেতাকর্মী নিয়ে কেন্দ্রীয় কমিটির দৃষ্টি আকৃষ্ট করতে মোটরসাইকেল শোডাউন ও মিছিল করছেন দুই নারী নেত্রীর সমর্থকরা। রয়েছেন আলোচনায়ও।
স্থগিত হওয়ায় মাদারীপুর-১ আসনে মনোনয়ন পেতে এবার মাঠে নেমেছেন শিবচর উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য ও সাবেক সংসদ সদস্য নাভীলা চৌধুরী। দলীয় নেতাকর্মী নিয়ে করছেন মোটরসাইকেল শোডাউন ও সমাবেশ। গত বৃহস্পতিবার বিকেলে শিবচরে নিজ বাসভবনে সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে নিজেকে বিএনপির মনোনয়ন প্রত্যাশী হিসেবে ঘোঘণা দেন। এ সময় নাভিলা চৌধুরী বলেন, দীর্ঘ ১৮ বছর দলের জন্য অনেক পরীক্ষা দিয়েছি। তবু দল ছেড়ে যাইনি। দুঃসময়ে দলের সাথে ছিলাম, এখনো আছি এবং ভবিষ্যতেও থাকবো, ইনশাআল্লাহ।
নাভীলা চৌধুরী আরো বলেন, আমি ২০০১ সালে মাদারীপুর-১ (শিবচর) আসন থেকে বিএনপি’র মনোনয়ন পেয়েছিলাম। কিন্তু কুচক্রী মহলের চক্রান্তের কারণে তা আমি পাইনি। তবে খালেদা জিয়া আমাকে খুব পছন্দ করতেন। তিনি বলেছিলেন, তুমি চিন্তা করো না, এলাকায় মন লাগিয়ে কাজ করো। তার ফলস্বরূপ হিসাবে আমি জাতীয় সংসদের সংরক্ষিত আসনের সংসদ সদস্য হই। তখন আমি এ এলাকায় প্রচুর কাজ করেছি। এখানে যারা এসেছে তারা বিএনপিকে ভালোবেসে এসেছে, আমাকে ভালোবেসে এসেছে।
তিনি আরো বলেন, কিছুদিন আগে এই সংসদীয় আসনে মনোনয়ন দিয়ে পরে তা স্থগিত করা হয়েছে। দল ত্যাগী এবং দলের জন্য নিবেদিতপ্রাণ হিসেবে কাজ করবে তাদের মূল্যায়ন করবে দল। আমি প্রতিটি এলাকা, ওয়ার্ড, ইউনিয়ন ঘুরে ঘুরে আমার প্রতি সাধারণ মানুষের আস্থা ও ভালোবাসা দেখেছি। তারা বিএনপিকে বিশ্বাস করে, আমাকে বিশ্বাস করে। সেই লক্ষ্যে আমি উপজেলার এক প্রান্ত থেকে আরেক প্রান্ত দিনরাত কাজ করে যাচ্ছি। আশা করি দল আমাকে মূল্যায়ন করবে। মনোনয়ন পেয়ে ভোটের মাধ্যমে সংসদ সদস্য হতে পারলে জনগনের শান্তি ফিরিয়ে আনতে মাদকমুক্ত করা হবে শিবচর উপজেলা। প্রতিটি ইউনিয়নে পাবে উন্নয়নের ছোঁয়া। শিক্ষা ও স্বাস্থ্য খাতে দেয়া হবে অগ্রাধিকার।
অপরদিকে মাদারীপুর-২ আসনে মনোনয়ন পেতে দিনরাত মাঠ চষে বেড়াচ্ছেন বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-শিক্ষা বিষয়ক সম্পাদক হেলেন জেরীন খান। দেশের মধ্যে মাদারীপুর জেলাকে উন্নত জেলায় পরিনত করতে সব ধরনের কার্যক্রম চালিয়ে যাওয়ার কথা জানান তিনি। তিনি বলেন, বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের ৩১ দফা বাস্তবায়ন করতে পারলে চাঁদাবাজমুক্ত হবে মাদারীপুর -২ আসন। পাশাপাশি জেলাকে মডেল জেলা হিসেবে বাস্তবায়ন করতে সব ধরনের পদক্ষেপ নেওয়ার কথাও জানান সাবেক এই সংসদ সদস্য।
প্রসঙ্গত, এদিকে মাদারীপুর-৩ আসনে বিএনপির মনোনয়ন দেয়া হয়েছে দলটির কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-গণ শিক্ষা বিষয়ক সম্পাদক আনিসুর রহমান তালুকদার খোকনকে। আর মাদারীপুর-১ আসনে প্রার্থী ঘোষণা করলেও তা স্থগিত করা হয়েছে। এছাড়া মাদারীপুর-২ আসনে প্রার্থী হিসেবে কাউকেই ঘোষণা দেয়নি দলটির কেন্দ্রীয় কমিটি। তাই মাদারীপুর-১ ও ২ আসনে মনোনয়ন পেতে মাঠে নেমেছেন প্রত্যাশীরা।