মুজাহিদুল ইসলাম সোহেল ,নোয়াখালী প্রতিনিধি: নোয়াখালীর সুবর্ণচরে পুকুরে বিষ প্রয়োগ করে মাছ নিধনের অভিযোগ উঠেছে। এতে প্রায় ছয় লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে বলে দাবি চাষির ।
উপজেলার চরওয়াপদা ইউনিয়নের চর বৈশাখী গ্রামে গতকাল মঙ্গলবার রাতে এ ঘটনা ঘটে।
স্থানীয় বাসিন্দাদের সূত্রে জানা গেছে, চর বৈশাখী গ্রামের মাছ ব্যবসায়ী সিরাজ টেলিকমের মালিক সিরাজ উদ্দিন তিনটি ঘেরে চিংড়ি, পাঙ্গাশ, তেলাপিয়া, রুই কাতলা প্রজাতির মাছ চাষ করেন। গতকাল রাতে কেউ সেই পুকুরে গ্যাসের ট্যাবলেট, বিষ প্রয়োগ করলে সব মাছ মরে যায়।
ভুক্তভোগী মাছচাষি সিরাজ উদ্দিন বলেন, আমি কয়েক বছর ধরে মাছ চাষ করছি। প্রতিদিনের ন্যায় বিকেলে মাছগুলোকে খাবারও দিয়েছি। রাতে এসে দেখি মরা মাছ পুকুরে ভাসছে। এবার তিনটি ঘেরে চিংড়ি, পাঙাশ, তেলাপিয়া, রুই, কাতলা চাষ করছিলাম। কিছু দিনের মধ্যেই মাছগুলো বাজারে বিক্রির উপযোগী হয়ে উঠতো। মঙ্গলবার রাতে কেউ শত্রুতাবশত পুকুরে বিষপ্রয়োগ করে। এতে পুকুরের সব মাছ মরে ভেসে উঠে। পরে মাছগুলো জেলেদের দিয়ে ওপরে তোলা হয়। এতে আমার প্রায় ৫-৬ লাখ টাকা ক্ষতি হয়েছে।
সিরাজ বলেন, ‘দূই মাস আগে আমি একটি এনজিও থেকে তিনটি ঘের দেখিয়ে পাঁচ লাখ টাকা ঋণ নিয়ে সাতক্ষীরা ও কুমিল্লা থেকে মাছ এনে ঘেরে ছাড়ি। আমি এখন সর্বস্বান্ত হয়ে গেছি। যারা আমার এত বড় ক্ষতি করল, প্রশাসনের কাছে তাদের বিচার চাই।’
স্থানীয় বাসিন্দা ইউনুস শিকদার বলেন, সিরাজ মাছ চাষ করে পরিবার চালান। এভাবে মাছ নিধন অমানবিক। দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি করেন তিনি।
সুবর্ণচর উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা মো.ফয়জুল ইসলাম বলেন, সিরাজ উদ্দিন বড় ধরনের ক্ষতির মুখে পড়েছেন। ভবিষ্যতে তাকে প্রণোদনা বা অন্যান্য সুবিধায় অগ্রাধিকার দেওয়া হবে।
এ বিষয়ে চরজব্বার থানার উপপরিদর্শক (এসআই) অভিজিৎ দাস বলেন, ‘ঘটনাটি জেনেছি। কিন্তু এখন পর্যন্ত লিখিত অভিযোগ পাইনি। অভিযোগ পাওয়ার পরে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’