আশুলিয়ায় দৈনিক সমাচারে কর্মরত সাংবাদিকের ওপরে দুর্বৃত্তের হামলা

আশুলিয়ায় দৈনিক সমাচারে কর্মরত সাংবাদিকের  ওপরে দুর্বৃত্তের হামলা

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ ২৫ জুলাই রাত দেড়টার দিকে মশার কয়েল ও দরকারী পন্য কিনতে নবীনগর যায় সাংবাদিক গোলাম সাব্বির আহমেদ। তখন কিছু দূবৃত্ত সংঘবদ্ধভাবে হামলা করে গুরুতর আহত করে তাকে। ছুরিকাঘাতের আঘাত থেকে বেচে ফেরে কোনরকমে। গোলাম সাব্বির দৈনিক সমাচারের আশুলিয়ায় সংবাদদাতা হিসেবে কর্মরত আছে।

হামলার শিকার সাংবাদিক জানায়,
মোটরসাইকেল নিয়ে বাসা থেকে বের হয়ে রাস্তায় অপরিচিত দু’জনকে দেখে পরিচয় জিজ্ঞেস করে। কিন্তু তারা পরিচয় না দিয়ে অশালীন কথা বলতে থাকে। পরিস্থিতি খারাপ বুঝে কথা না বাড়িয়ে চলে যাই। নবীনগর জয় রেস্তোরাঁর সামনে একটি দোকানে আসি। কিছুখনের মধ্যে অজ্ঞাত ও-ই দুই ব্যক্তিসহ ৫-৭ জন দেশীয় অস্ত্রসস্ত্র সহ ঝাঁপিয়ে পড়ে। রড ও লাঠিসোঁটা দিয়ে এলোপাতাড়ি পেটাতে থাকে শরীফ ও জাবেদ। মেহেদী চোখে-মুখে ও মাথায় আঘাত করে ইট দিয়ে। একপর্যায়ে দূবৃত্ত শরীফ খুনের উদ্দেশ্যে কোমরে থাকা ছুরি বের করে। ততক্ষণ মারপিটের শোরগোল শুনে দোকানদার ও আশপাশের পরিচিত লোকজন এসে প্রতিহত করে নিরাপদে সরিয়ে নেয়। এই হামলায় নেতৃত্ব দেয় সিকিউরিটি রুবেল। হামলাকারী রুবেল ও জাবেদ দুই ভাই।

এসময় নাক দিয়ে রক্ত ঝরছিলো। শরীরের বিভিন্ন স্থানে ছিলো কাটাছেঁড়া। মাথায় আঘাতপ্রাপ্ত হয় বেশি। পুলিশে ফোন দিলেও ঘটনাস্থলে আসার আগেই প্রান নাশের হুমকি দিয়ে গা-ঢাকা দেয় দূবৃত্তরা। দায়িত্বরত পুলিশ অফিসার অবস্থা দেখে হাসপাতালে যেতে বলে। এরপর, উদ্ধার করা পরিচিত সেই স্টাফের সহযোগিতায় ধামরাই উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে প্রাথমিক চিকিৎসা নেওয়া হয়ে। একটু সুস্থ হলে থানায় এসে একটি অভিযোগ দায়ের করা হয়।

ধারনা করা হয়,
“সার্ভিস লেন ও ফুটপাত দখল – চাঁদাবাজি আর যানজটে নাকাল ঢাকা-আরিচা ও নবীনগর-চন্দ্রা মহাসড়ক” শিরোনামে একটি সংবাদ প্রকাশে তথ্য সংগ্রহ করছিলেন কিছুদিন ধরে। এর ই জের ধরে পূর্ব থেকে পরিকল্পনা করে ঘটায় এ হামলা।

অভিযুক্ত নৈশপ্রহরী রুবেল বাসস্টান্ড থেকে যাত্রীদের ডেকে বাস ভরে দেয়। এ জন্য ২০-৫০ টাকা করে পায় সে গাড়ি প্রতি। আবার রুবেল,জাবেদের বড়ো ভাই সেলিম সেই বাসস্ট্যান্ডের লাইনম্যান। মহাসড়কের লেন দখল করে গড়ে তোলা এই অবৈধ স্টান্ডে চলে ওদের আধিপত্য। আর চলে রমরমা চাঁদা বানিজ্য। তবে এই হামলায় বাসস্ট্যান্ডে চাঁদাবাজি করা দলের আরও কয়েকজনের সম্পৃক্ততা রয়েছে। এমনটাই ধারণা করা হয়।

 

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, হামলাকারীদের নেতৃত্ব দেওয়া শরীফ কুরগাও এলাকার ভাড়াটিয়া শহীদের ছেলে। শরীফ ও জাবেদ মাদকসেবি ও ইয়াবা বিক্রেতা। এছাড়া যুক্ত রয়েছে স্টান্ডে ছিনতাই, চাঁদাবাজি ও পকেট মারের মতো ভয়ংকর সব অপরাধের সাথে। এছাড়া জাবেদ একজন পেশাদার ছিনতাইকারী। আটক হয়ে জেলে গেছে একাধিকবার। আশুলিয়া থানায় একাধিক ছিনতাই, নারী কেলেংকারী ও মাদক মামলা রয়েছে এদের নামে। স্টান্ডে কয়েক ভাইয়ের এ-ই আধিপত্যেই চুরি-ছিনতাই করে বেড়ায় জাবেদ। আর মেহেদী নবীনগর- আব্দুল্লাহপুর গামী আশুলিয়া ক্লাসিক বাসের স্টাফ। এ চারজন একই চক্রের সদস্য।

এ বিষয়ে আশুলিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আব্দুল হান্নান জানায়, অভিযোগ পেয়েছি তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

Leave a reply

Minimum length: 20 characters ::