মাদারীপুর জেলা প্রতিনিধি: মাদারীপুরের শিবচরে এক নারীকে তার সন্তানকে শিশু বিশেষজ্ঞ ডাক্তার দেখাতে বলায় ঐ নারী হাসপাতালে লংকাকান্ড ঘটিয়েছে । পরে থানায় ফোন করলে পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে । বৃহস্পতিবার
রাতে শিবচর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগে এই ঘটনা ঘটে।
শিবচর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগে কর্তব্যরত চিকিৎসক ডাঃ এম এ আজাদ বলেন, আনুমানিক ৮ টা। জরুরী বিভাগের তখন কয়েক জন খুব ক্রিটিকাল রোগী দেখতেছিলাম। এক বাচ্চা মাথায় আঘাত পেয়ে অচেতন অবস্থায় ছিল, একজন রোগীর খুবই শ্বাসকষ্ট হচ্ছিল, একজনের বুকে ব্যথা হার্টের সমস্যা, কয়েকজন ছিল এক্সিডেন্ট করে ইনজুরি নিয়ে। তাদেরকে নিয়ে জরুরী চিকিৎসা দেওয়ায় ব্যস্ত ছিলাম।
কোন সময় একজন ভদ্রমহিলা আনুমানিক ৭-৮ বছরের বাচ্চাকে নিয়ে আসে। অল্প অল্প করে জ্বর ১০ থেকে ১২ দিন যাবৎ। আমি ওনাকে বললাম আপনার বাচ্চার জ্বর তো অনেক দিন হয়ে গেছে আপনার তো একজন শিশু বিশেষজ্ঞ দেখানো উচিত ছিল , সকালে আউটডোরে শিশু বিশেষজ্ঞ ছিল দেখালেন না কেন? উনি বললেন ওখানে অনেক ভিড় আমি লাইনে দাঁড়িয়ে দেখাতে পারবো না এজন্য এখানে আসছি। আমি বললাম আমি শিশু বিশেষজ্ঞ না এবং আপনার বাচ্চার জ্বর অনেক দিন হয়ে গেছে। এ জন্য একজন শিশু বিশেষজ্ঞ এর পরামর্শ নেওয়াটাই ভালো হবে। আমি এখন আপনাকে কিছু জ্বরের ওষুধ দিয়ে দিচ্ছি দুইদিন এটা খাওয়ান এবং শনিবার এসে হাসপাতালের বহির্বিভাগে শিশু বিশেষজ্ঞ দেখিয়েন। এই বলে তাকে জ্বরের ঔষধ প্রেসক্রিপশন করে দেই। কিন্তু এতে তিনি ক্ষিপ্ত হয়ে এবং বলে আপনি সব বিষয়ে বিশেষজ্ঞ, আপনি বাইরে হলে তো ঠিকই দেখতেন এবং বিভিন্ন ধরনের খারাপ ভাষা ব্যবহার করে । ( যা বলার মত না)। এবং বিভিন্ন হুমকি ধামকি দেয়। ফোনে বিভিন্ন লোকজন জড়ো করতে থাকে। আমরা উপস্থিত সকলে বলি ঠিক আছে বাবা আপনি একটু বাইরে যেয়ে বসুন আমরা অন্যান্য রোগীগুলো দেখি, কিন্তু উনি বাইরে না গিয়ে ওখানে একটা চেয়ার নিয়ে বসে থাকে এবং বিভিন্ন জনকে ফোন দেয় লোকজন জড়ো করার জন্য এবং উল্লেখ করা যাচ্ছে না এরকম ভাষায় কথা বলতে থাকে।
চিকিৎসায় সমস্যা হচ্ছিল দেখে অন্যান্য রোগীর লোক এবং আমাদের ব্রাদারসহ উনাকে তখন হাত ধরে নিয়ে বাইরে বসিয়ে দিয়ে আসে এবং উনাকে বিনীতভাবে বোঝানোর চেষ্টা করে। এরপর আমরা যথারীতি রোগী দেখতে থাকি। নয়টার দিকে আমার ডিউটি শেষ হলে অন্য ডাক্তার আসে এবং তাকে হ্যান্ডওভার দিয়ে বের হই। তখনই গেটের বাইরে এই ভদ্রমহিলাসহ আরো ৩-৪ জন মিলে আমাকে অতর্কিত হামলা করে। গন্ডগোলের শব্দ শুনে অন্যান্য মানুষজন এসে আমাকে রক্ষা করে। এতে আমি এবং যারা উদ্ধারকারীদের মধ্যে কেউ কেউ আহত হয়। পরবর্তীতে আমরা থানায় ফোন দেই পুলিশ আসে এবং স্থানীয় লোকজন আসে। সবাই মিলে গেটের বাইরে চলে যায় এবং পরে জানতে পারি যে বিভিন্ন মিডিয়াতে এই ভদ্রমহিলা মিথ্যা, বানোয়াট এবং সম্পূর্ণ উল্টা ভাবে সাজিয়ে বক্তব্য দিচ্ছে। যে সকল দোষ নিজে করেছে, সেই সকল দোষ আমার উপর দিয়ে বক্তব্য দিয়েছে।
আল-ইমরান, বগুড়া: গত ২ জুলাই দিবাগত রাতে বগুড়া সদর থানায় অভিযোগ দায়ের করেন মামলার বাদী হারুন-উর রশিদ। তিনি মামলায় উল্লেখ করেন কিছুদিন পূর্বে ঢাকা জেলায় বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে মোবাইল নম্বর ০১৭৬৭-৯৮৩২৩৭ ব্যবহারকারী ব্যাক্তির সাথে মামলার সাক্ষী দ্বয়ের পরিচয় হয়। সে সময়ে আলাপচারিতার এক পর্যায়ে উক্ত মোবাইল নম্বর ধারী ব্যাক্তি নিজেকে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের চাচাতো ভাই পরিচয় দিয়ে তার নাম ব্যারিস্টার শামীম রহমান বলে জানায়। সে বেশির ভাগ সময়ে ঢাকায় অবস্থান করে বলেও জানায়। সে কেন্দ্রের সিনিয়র নেতৃবৃন্দের সহিত যোগাযোগ করে ভালো পদ-পদবী দিতে পারবে বলে তাদের আশ্বস্ত করে।