“চবিতে ছাত্রদলের সাংগঠনিক সম্পাদকের দ্বারা শিক্ষক লাঞ্ছিত”

“চবিতে ছাত্রদলের সাংগঠনিক সম্পাদকের দ্বারা শিক্ষক লাঞ্ছিত”

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি: আগামী ১৪ই মে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ৫ম সমাবর্তন, সমাবর্তন বক্তা গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের অন্তবর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা, অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস। যা কেন্দ্র করে বিশ্ববিদ্যালয়টিতে নেওয়া হয়েছে বাড়তি নিরাপত্তা ব্যবস্থা। ৫ম সমাবর্তন সুষ্ঠু ও নির্বিঘ্নে সম্পন্ন করতে নিয়মিত টহল কার্যক্রম চালাচ্ছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।

ইতিমধ্যে বিশ্ববিদ্যালয়টিতে ড. মুহাম্মদ ইউনূসের আগমন উপলক্ষে প্রধান উপদেষ্টার নিরাপত্তায় নিয়োজিত বিশেষ বাহিনী তাদের কার্যক্রম শুরু করেছে। নিরাপত্তার উদ্দেশ্যে গত ২৭ তারিখ বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ নোটিশ জারি করে, বিশ্ববিদ্যালয়ের অভ্যন্তরে সমাবর্তন অনুষ্ঠিত হওয়ার পেন্ডেল ও প্রধান উপদেষ্টার আগমনী এলাকায় অর্থাৎ চবি কেন্দ্রীয় খেলার মাঠ এলাকায় সকাল প্রকার গণজমায়েত নিষেধ।

এরই ধারাবাহিকতায় গত ২৭ তারিখ রাত আনুমানিক সাড়ে নয়টায় চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী প্রক্টর অধ্যাপক মোঃ বজলুর রহমান বিশ্ববিদ্যালয়টির নিরাপত্তা দপ্তরের প্রহরীদের সাথে নিয়ে চবি কেন্দ্রীয় খেলার মাঠ এলাকায় টহল কার্যক্রম চালানোর সময় বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রদলের সাংগঠনিক সম্পাদক সাজ্জাদ হোসেন হৃদয়ের দ্বারা প্রক্টরিয়াল দায়িত্ব পালনের সময় বাধার সম্মুখীন ও একই সাথে লাঞ্ছিত হন। যা নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের মাঝে ব্যাপক আলোচনার সৃষ্টি হয়েছে।

অধ্যাপক মোঃ বজলুর রহমান তার দায়িত্ব অনুযায়ী চবি কেন্দ্রীয় খেলার মাঠে টহলরত অবস্থায় বাইকের সাথে কিছু লোক সমাগম দেখতে পেয়ে সেখানে গিয়ে তাদের পরিচয় জানতে চাইলে তারা উত্তরে নিজেদের চবির শিক্ষার্থী দাবি করলেও তাদের কাছে পরিচয় নিশ্চিত করতে আইডি কার্ড দেখতে চাইলে তারা দেখাতে পারেন না। এরপর বিশ্ববিদ্যালয় নোটিশ অনুযায়ী সেখানে লোকসমাগম করা নিষেধ ও বাইক রাখা যাবে না এ ব্যাপারে তাদের জানানো হলে সেখানে উপস্থিত শাখা ছাত্রদলের সাংগঠনিক সম্পাদক সাজ্জাদ হোসেন হৃদয় নিজের রাজনৈতিক পরিচয় দিয়ে একটি বিশৃঙ্খল পরিবেশ সৃষ্টি করে প্রক্টরিয়াল কাজে বাধা প্রদান করেন। পরবর্তীতে সেখানে থাকা মোটরসাইকেল আটক করতে গেলে বিশ্ববিদ্যালয়টির সহকারী প্রক্টর অধ্যাপক মোঃ বজলুর রহমান বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রদলের সাংগঠনিক সম্পাদক সাজ্জাদ হোসেন হৃদয়ে ও তার সাথে থাকে অনুসারীদের দ্বারা লাঞ্চিত হন।

এ বিষয়ে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী প্রক্টর অধ্যাপক মোঃ বজলুর রহমান বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ে আমি প্রায় ২০ বছর শিক্ষকতা করছি, আমি কখনো এমন বেয়াদবি ফেস করিনি। এটা প্রক্টর স্যার কে জানিয়েছি এবং আমরা এটা কথা বলে দেখবো কি করা যায়।

এ বিষয়ে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রদলের সাংগঠনিক সম্পাদক সাজ্জাদ হোসেন হৃদয়ের সাথে যোগাযোগের জন্য মুঠোফোনের কল দিলেও তার সাড়া পাওয়া যায়নি।

Leave a reply

Minimum length: 20 characters ::