বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থী পারভেজ হত্যার বিচার চেয়ে ইবিতে মানববন্ধন

বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থী পারভেজ হত্যার বিচার চেয়ে ইবিতে মানববন্ধন

ওয়াসিফুর রহমান, ইবি: বেসরকারি প্রাইম এশিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী জাহিদুল ইসলাম পারভেজকে ছুরিকাঘাত করে হত্যার প্রতিবাদে ও হত্যাকারীদের বিচারের দাবীতে মানববন্ধন করেছে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রদল।

সোমবার (২১ এপ্রিল) বেলা দেড়টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের ডায়না চত্বরে কেন্দ্রীয় ছাত্রদল ঘোষিত কর্মসূচীর অংশ হিসেবে এই প্রতিবাদী কর্মসূচী পালন করে শাখা ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা।

এসময় শাখা ছাত্রদলের আহবায়ক সাহেদ আহম্মেদ, সদস্য সচিব মাসুদ রুমি মিথুন, সিনিয়র যুগ্ম আহবায়ক আনোয়ার পারভেজ, যুগ্ম আহবায়ক আহসান হাবিব, রোকনউদ্দিন, আনারুল ইসলাম, সদস্য সাব্বির হোসেন, নুর উদ্দিন, রাফিজ আহমেদ, খেলাফত ছাত্র মজলিসের সভাপতি সাদেক হোসেন সহ শতাধিক নেতাকর্মী উপস্থিত ছিলেন।

এসময় বক্তারা বলেন, বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল সবসময় নিরাপদ ক্যাম্পাসের জন্য কাজ করে। একদল সন্ত্রাসী পারভেজকে উপর্যুপরি ছুরিকাঘাত করে হত্যা করেছে। আমরা এর তীব্র নিন্দা জানাই। আমরা আর কোন লাশ দেখতে চাই না। জাহিদুল ইসলাম পারভেজ ছাত্রদল করে বলে সবাই নিরব। গতকাল থেকে সার্জিসের আর কোন ফেসবুক পোস্ট আমরা দেখলাম না। পারভেজ ছাত্রদল করে, এটাই কি তার অপরাধ? অনতিবিলম্বে আমাদের সহযোদ্ধা ভাইকে হত্যাকারীদের দ্রুত গ্রেফতার করে বিচারের আওতায় আনার দাবি জানাচ্ছি।

শাখা ছাত্রদলের আহবায়ক সাহেদ আহম্মেদ বলেন, আমরা পরিবর্তিত বাংলাদেশ চেয়েছিলাম যেখানে কোন হত্যা, খুন থাকবে না৷ বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নামধারী কয়েকজন ছাত্রনেতা আমাদের ভাই পারভেজ কে নির্মমভাবে হত্যা করেছে। তারা যুগ্ম আহবায়ক পদে আছে, কিন্তু তাদের প্রশাসন এখনো গ্রেফতার করেনি। তুচ্ছ একটা ঘটনায় প্রক্টর অফিসেঅভিযোগ দেওয়া হয়েছিল, প্রক্টর স্যার তার সমাধান করে দিয়েছেন কিন্তু তারপরেও আমার ভাইকে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়েছে। এই ঘটনার জন্য দায়ী ইংরেজি বিভাগের সেই কালপ্রিটদের শাস্তি দিতে হবে। স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার কাছে দাবী জানাই, শুধু এই ৩ জনকে গ্রেফতার করলে হবে না, প্রকৃত কালপ্রিটদের গ্রেফতার করে শাস্তির আওতায় আনতে হবে।

উল্লেখ্য, প্রাইম এশিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী জাহিদুল ইসলাম পারভেজ হত্যায় জড়িত ঘাতকরা এখনো অধরা। নিহত শিক্ষার্থী জাহিদুল ইসলাম পারভেজ বিশ্ববিদ্যালয়ের টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের ২২৩ ব্যাচের ছাত্র। এ ঘটনায় বনানী থানায় আটজনকে আসামি করে শনিবার রাতে একটি মামলা করেছেন নিহত শিক্ষার্থীর ভাই হুমায়ুন কবির। তবে, পুলিশ এখনো কাওকে গ্রেপ্তার করতে পারেনি।

Leave a reply

Minimum length: 20 characters ::