চবি প্রতিনিধি: দৃষ্টির সীমা নয়, সংকল্পই শক্তি – এটাই যেন এক অমূল্য শিক্ষার প্রমাণ হয়ে দাঁড়িয়েছে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের স্নাতকোত্তরের মেধাবী শিক্ষার্থী মিজান মিয়ার জীবনে। দৃষ্টি প্রতিবন্ধকতা থাকার সত্ত্বেও জাতীয়তাবাদী চেতনাবোধ থেকে দেশ ও সমাজের জন্য নিজেকে নিয়োজিত করার উদ্দেশ্যে এই শিক্ষার্থী বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সদস্য র্ফম পূরণ করেছেন। শারীরিক প্রতিবন্ধকতা সত্ত্বেও তার এই সিদ্ধান্ত প্রমাণ করেছে যে আত্মবিশ্বাস, সংকল্প ও আদর্শের প্রতি অবিচলতা যে কোনো সীমাবদ্ধতাকে অতিক্রম করতে সক্ষম।
শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের আদর্শ ও জাতীয়তাবাদের চেতনায় উদ্বুদ্ধ হয়ে মিজান মিয়ার
ছাত্রদলে যোগদানের এই পদক্ষেপ সংগঠনের অন্যান্য সদস্যদের জন্য অনুপ্রেরণার উৎস হয়ে উঠেছে। বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় শাখার নেতৃবৃন্দ মিজান মিয়ার এই সাহসী সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়ে তাকে আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়েছেন। তারা মনে করেন, দেশপ্রেম, সততা ও মেধার সমন্বয়ে যে কেউ প্রতিকূলতাকে জয় করে এগিয়ে যেতে পারে, এবং মিজান মিয়া তার উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন।
এ বিষয়ে মিজান মিয়া জানান, ছাত্রদল কাজ করে শিক্ষার বিকাশে, মেধার বৃদ্ধি নিয়ে এবং মানুষের সমতায়ন নিয়ে। ছাত্রদলের কাজের মাধ্যমে শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের আদর্শ ফুটে ওঠে। তিনি আরও জানান, ছাত্রদলে যোগদান করে শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের আদর্শ বাস্তবায়ন করাই আমার একমাত্র লক্ষ্য। আমি সবসময় তার আদর্শই ধারণ করি।
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়টির ছাত্রদল সভাপতি আলাউদ্দীন মহসিন বলেন, এটি অটুট বিশ্বাস, অবিচল প্রত্যয় এবং সংগ্রামী চেতনার এক অসাধারণ দৃষ্টান্ত। শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের আদর্শে অনুপ্রাণিত হয়ে, দেশের জাতীয়তাবাদী সংগঠনের অংশ হতে মিজান মিয়ার সাহসী পদক্ষেপ প্রমাণ করেছে যে, শারীরিক প্রতিবন্ধকতা কখনোই জীবনের বড় লক্ষ্য অর্জনে বাঁধা হতে পারে না।