রবিউল হাসান ডব্লিউ, দশমিনা (পটুয়াখালী)প্রতিনিধি:দশমিনা উপজেলা খাদ্য পরিদর্শককে গোডাউনের বাহিরে বের হলে হাত-পা ভেঙ্গে হাপাতালে পাঠানোর হুমকি দেওয়ার অভিযোগ ওঠে বিএনপির এক ইউনিয়ন সভাপতি ও তার ভাইর বিরুদ্ধে।
গত কাল শনিবার(১৫ফেব্রুয়ারি ) বিকেলে উপজেলার বাঁশবাড়িয়া ইউনিয়নের ০৩নং ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি মোঃ জাকির হোসেন ও তারভাই মোঃ সহিদ এ হুমকি দেন।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, উপজেলার খাদ্য পরিদর্শক(এল এস ডি) পদে কর্মরত আছেন মোহাম্মাদ আবু ইউসুব আলী। যোগদান করার পর থেকে ওই সভাপতি বিভিন্ন সময় বিভিন্ন অনিয়ম ও দূর্নীতির গল্প নিয়ে তার কাছে হাজির হন। ওই গোডাউনের সরদারির জন্য বিভিন্ন সময় খাদ্য পরিদর্শককে টাকার অফার দিয়ে ব্যর্থ হলে তাকে জীবন নাশের হুমকি সহ কারনে অকারনে বিরক্ত করে।
পরে এ ঘটনা উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদককে জানালে প্রাথমিক সমাধা করলেও শনিবার গোডাউনে জেলে চাল বিতরণের সময় জাকির হোসেন ৫-৬ জন লোক নিয়ে গোডাউনের ভিতরে অবস্থন করে ভিডিও ধারন করে । এছাড়াও গোডাউনের লেবারদের সাথে অসৌজন্যমূলক আচরন করে। খাদ্য পরিদর্শক গোডাউন থেকে নেমে অফিসে গিয়ে বসতে বললে জাকির ও ভাই সহিদুল সহ ৫-৬ জন তাকে অকথ্য ভাষায় গাল মন্দ করে এবং জাকির বলেন গোডাউন থেকে বের হলে হাত-পা ভেঙ্গে হাসপাতালে পাঠিয়ে দিবো বলে হুমকি দেয়।
০৪নং দশমিনা ইউনিয়ন পরিষদের প্রশাসনিক কর্মকর্তা মোঃ হেলাল উদ্দিন জানান, আজ শনিবার গোডাউনের সামনে দশমিনা ইউনিয়নের জেলেদের চাল বিতরণ করা হয়। জাকির কয়েকজন লোক নিয়ে গোডাউনের মধ্যে অবস্থান করেন। খাদ্য পরিদর্শক বের হয়ে অফিসে বসতে বললে সে তার হাা-পা ভাঙ্গার হুমকি দেয়।
গোডাউনের লেবার সরদার মোঃ কবির জানান, গোডাউনের মধ্য থেকে চাল নামানোর সময় জাকির সহ ৫-৬ জন লোক গোডাউনের মধ্যে অবস্থান করে সে কারো কাছে কিছু না বলে ভিডিও করা শুরু করে,এছাড় লেভারদের চাল নামাতে সমস্য হলে আমরা খাদ্য পরিদর্শক স্যার কে বলি। জাকিরকে অফিসে গিয়ে বসাতে বললে হাত-পা ভেঙ্গে হাসপাতালে পাঠাবে বলে হুমকি দেয়।
উপজেলা খাদ্য পরিদর্শক(এল এস ডি) বলেন, আজ শনিবার সকাল থেকে দশমিনা ইউনিয়নের জেলেদের চাল বিতরণ ছিলো। প্রায় অনেক লোকের সমাগম ছিল জাকির সহ ৫-৬ জন কোন কথা না বলে গোডাউনের মধ্যে প্রবেশ করে ভিডিও করে। আমি ভিডিওর বিষয় বললে এখানে কি হয় তা ভিডিও করছি এই কথা বলে। আমি অফিসে গিয়ে বসতে বললে আমাকে গালমন্দ করে এবং বলে গোডাউনের বাহিরে গেলে হাত-পা ভেঙ্গে হাসপাতালে পাঠিয়ে দিবো। এর আগের গোডাউনে এসে আকাধিকবার আমাকে নানা ভাবে হেনস্ত করেছে। আমি উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদকে জানিয়েছি। আমার জীবন এখোন হুমকির মুখে। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মহোদয়কে ঘটনার বিষয় জানিয়েছি। তিনি আরো বলেন কেহ গোডাউনে তাকে দেখলে পরিচয় দেয় আমি গোডাউনে মাস্টাররোলে চাকরি করি। সে গোডাউনের সংশ্লিস্ট কেহ না।
ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি জাকির হোসেন বলেন, আমি গোডাউনে গিয়াছি সত্য ওখানে চাল বিতরণে অনিয়ম হয় তা দখেতে। খাদ্য পরিদর্শককে কোন হুমকি দেইনি । এটা তার সাজানো কথা।
উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক শাহ আলম শানু জানান, আমাকে উপজেলা খাদ্য পরিদর্শক(এলএসডি) ঘটনার বিষয় জানিয়েছেন। সাংগঠনিক ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা(ইউএনও) ইরতিজা হাসান জানান, উপজেলা খাদ্য পরিদর্শককে হুমকির বিষয় অবহিত হয়েছি। প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।