প্রণব কুমার সাহা, মাদারীপুর জেলা প্রতিনিধি: মাদারীপুরের শিবচরে পদ্মা নদীতে উপজেলা সহকারী কমিশনার(ভূমি) শাইখা সুলতানা এর নেতৃত্বে নৌপুলিশের সহায়তায় অভিযান পরিচালিত হয়। উক্ত অভিযান পরিচালনা করে কাঁঠালবাড়ী ঘাট এলাকায় পরিত্যক্ত অবস্হায় দুইটি বালু কাটার ড্রেজার জব্দ করা হয়। চর জানাজাত নৌপুলিশ ফাড়িঁর এসআই (নিঃ) মোঃ শহিদুল বাশার ড্রেজার দুটি জব্দ করেন।ভাই ভাই এবং তহসিন সিফাত নামক ড্রেজার দুটির মালিক বি এম আতাহার বেপারী এবং ফরহাদ মোল্লা বলে প্রকাশ পায়।
পরবর্তীতে ভাই ভাই ড্রেজারের পক্ষে মোঃ আব্দুল মান্নান এবং তহসিন সিফাতের পক্ষে আবুল কালাম এসিল্যান্ড অফিসে ড্রেজারগুলোর যাবতীয় কাগজপত্র নিয়ে হাজির হলে গত ১৩ মার্চ ২০২৫ তারিখ প্রতিটি ড্রেজারকে ৫০০০০( পঞ্চাশ) হাজার করে দুটি ড্রেজারকে ১০০০০০( এক লক্ষ) টাকা জরিমানা করে মুচলেকা দিয়ে ছাড়া হয়।
উল্লেখ্য, চরজানাজাত নৌপুলিশ ফাড়িঁ এলাকার সীমান্তে নৌ-পুলিশের মাঝির ঘাট ফাড়িঁ, মাওয়া ফাড়িঁ এবং কুতুবপুর ফাড়িঁ অবস্থিত। এসব ফাড়িঁ এলাকায় প্রায়ই গভীর রাতে অবৈধ ড্রেজার দিয়ে বালু চোরেরা পদ্মা নদীতে বালু কাটার সংবাদ পাওয়া যায়।
চরজানাজাত নৌপুলিশ ফাড়িঁর ইনচার্জ ইন্সপেক্টর মোঃ শহিদুল ইসলাম খানকে এ বিষয়ে জিজ্ঞাসা করলে তিনি বলেন, আমরা গত দুইমাসে অবৈধ বালু চোরদের বিরুদ্ধে পৃথক পৃথক অভিযান পরিচালা করে দুইটি ড্রেজারকে বালু মহাল আইনে নিয়মিত মামলা দিয়েছি। মোবাইল কোর্টের মাধ্যমেও দুইটি ড্রেজারকে ১০০০০০(এক লক্ষ)টাকা জরিমানা করা হয়।বালু চোরদের বিরুদ্ধে আমরা এবং আমাদের সিনিয়র স্যাররা সর্বোচ্চ সতর্ক আছে। সংবাদ পেলেই আমরা অভিযান পরিচালনা করে আইনগত ব্যবস্থা নিবো।
এ ব্যাপারে উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) শাইখা সুলতানা বলেন, আমার নেতৃত্বে চরজানাজাত নৌপুলিশ ফাড়িঁর সহায়তায় অভিযান পরিচালনা করি। অভিযানে কাঁঠালবাড়ী ঘাট এলাকায় পরিত্যক্ত অবস্হায় দুইটি বালু কাটার ড্রেজার জব্দ করা হয়। মোবাইল কোর্টের মাধ্যমে দুইটি ড্রেজারকে ১০০০০০(এক লক্ষ)টাকা জরিমানা করা হয়। বালু চোরদের বিরুদ্ধে আমাদের অভিযান অব্যাহত থাকবে ।