রাবি প্রতিনিধি:বসন্তের হাওয়া, প্রেমের মেলা, আর ফুলের রঙে রাঙানো ক্যাম্পাস। শীতের পরশ চলে গেছে, প্রকৃতি সেজেছে নতুন রূপে। ঠিক সেই মুহূর্তে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে (রাবি) বিশ্ব ভালোবাসা দিবস উপলক্ষে প্রেমের সুষ্ঠু বন্টনের দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল করেছে বাংলাদেশ প্রেম বঞ্চিত সংঘ।
শুক্রবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) সকাল ১১ টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবহন মার্কেট থেকে মিছিলটি শুরু হয়ে পশ্চিমপাড়া সহ বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে পুনরায় একই স্থানে এসে মিলিত হয়।
এসময় অংশগ্রহণকারীরা- ‘তুমি কে, আমি কে- বঞ্চিত, বঞ্চিত’, ‘কেউ পাবে, কেউ পাবে না, তা হবে না হবে না’, ‘দেহ দিয়ে প্রেম নয়, মন দিয়ে প্রেম হয়’, ‘প্রেমের নামে প্রহসন, চলবে না চলবে না’ সহ বিভিন্নশ্লোগান দেন। কর্মসূচিতে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় প্রেম বঞ্চিত সংঘের সদস্যরাসহ শাখার প্রায় অর্ধশতাধিক শিক্ষার্থী অংশ নেন।
বিশ্ববিদ্যালয়ের বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনের সমন্বয়ক সালাউদ্দিন আম্মার বলেন, “ভালোবাসা বলতে আমরা শুধু কপোত-কপোতীর ভালোবাসাকেই বুঝি। কিন্তু আমাদের এই সংঘের থিম হলো সব ধরনের ভালোবাসা বঞ্চিতের যে যায়গা সেটা তুলে ধরা। আমাদের শিক্ষকদের কথা যদি বলি, তারা মেয়ে বন্ধুদের যেভাবে ট্রিট করে আমাদেরকে সেভাবে করে না। আবার কর্মকর্তা-কর্মচারীদের কাছে কোনো প্রয়োজনে গেলে আমাদের বলে লাঞ্চের পর আসতে। কিন্তু কোনো মেয়ে গেলে তাকে বলে আমাদের সাথেই লাঞ্চ করো এটাও ভালোবাসা বঞ্চিত একটা ব্যাপার। তাই ভালোবাসা ব্যাপারটি ছেলে-মেয়ে আলাদাভাবে না দেখে সমানভাবে বন্টন করা হোক।”
প্রেম বঞ্চিত সংঘের সভাপতি শাহ্ পরান বলেন, “প্রেম বলতে শুধু প্রেমিক-প্রেমিকা প্রেম করবে বিষয়টা এরকম না। বাবা-মায়ের সাথে সন্তানের প্রেম হয়, শিক্ষকের সাথে শিক্ষার্থীর প্রেম হয়। কিন্তু আমাদের সমাজের সবক্ষেত্রে প্রেমের অসম বন্টন দেখতে পাওয়া যায়। আপনার সন্তান, প্রতিবেশী বা আত্মীয়ের থেকে কতোটুকু ভালোবাসা পাবে তা নির্ভর করে আপনার কতোটুকু অর্থ-সম্পদ আছে তার উপর, এর মাধ্যমে আপনার সন্তানও প্রেম থেকে বঞ্চিত।”
প্রেম বঞ্চিত সংঘের দুষ্ট পুরুষ সনাক্তকরণ বিষয়ক সম্পাদক সারথি অনি বলেন, “যেসব পুরুষেরা প্রেমের নামে ধোঁকা দেয়, একসাথে ২-৩ জনের সাথে প্রেম করে তাদেরকে আমরা সাবধান করে দিতে চাই। বাংলাদেশের আইনে তাদের শাস্তি হওয়া উচিত। আমার ছোটবোনদের সুরক্ষা করতেই আমার এই পদে আসা।”