আওয়ামীলীগের মাসব্যাপি কর্মসূচি বিরুদ্ধে বিক্ষোভ সমাবেশ রাবি শিক্ষার্থীদের 

আওয়ামীলীগের মাসব্যাপি কর্মসূচি বিরুদ্ধে বিক্ষোভ সমাবেশ রাবি শিক্ষার্থীদের 
মো. রাফাসান আলম, রাবি প্রতিনিধি: আওয়ামীলীগ ও ছাত্রলীগ কর্তৃক ফেব্রুয়ারীতে মাসব্যাপী বিভিন্ন কর্মসূচি ঘোষণার প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করেছে গণঅভ্যুত্থান মঞ্চ রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়।
বুধবার (২৯ জানুয়ারি) রাত সাড়ে ৯টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্যারিস রোডে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় জুলাই গণঅভ্যুত্থান মঞ্চের পক্ষ থেকে এ আন্দোলন করেন শিক্ষার্থীরা।
আন্দোলনে বিশ্ববিদ্যালয়ের বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন সমন্বয়ক মেহেদী সজীব বলেন, “৫ ই আগস্টের রক্তক্ষয়ী যুদ্ধের মাধ্যমে আমরা দ্বিতীয়বারের মতো স্বাধীনতা অর্জন করেছি। এই স্বাধীনতাকে কোনোভাবেই ভূলন্ঠিত হতে দেওয়া যাবে না। এই স্বাধীনতার পিছনে যদি এখনও আওয়ামীলীগ কোনো নেতা ষড়যন্ত্রের লিপ্ত থাকে তাহলে আমরা এর দাঁত ভাঙ্গা জবাব দিতে রাজি আছি। আমরা এখনও রাজপথ ছাড়ি নাই। আমরা দুই হাজার শহীদের রক্তের বদলা নিয়েই ঘরে ফিরব।আমরা যে নতুন বাংলাদেশ গড়ার স্বপ্ন দেখছি, সেই বাংলাদেশ গড়েই ঘরে ফিরব। এই নতুন বাংলাদেশে কোনো সন্ত্রাসীদের জায়গা হবে না”।
তিনি আরও বলেন, “আওয়ামীলীগকে অবশ্যই বিচারের কাঠগড়ায় দাঁড় করাতে হবে। অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে বলতে চাই, অবিলম্বে আওয়ামীলীগের সদস্যদের বিচার করতে হবে। আওয়ামীলীগের সর্বস্তরের নেতা যাদের নির্দেশে জুলাই বিপ্লবে আমার ভাই-বোনদের রক্ত ঝরানো হয়েছিল তাদের বিচার করতে হবে।খুনি হাসিনাকে কোনোভাবেই দিল্লিতে বসে ষড়যন্ত্র করতে দেওয়া যাবে না। আমার ভাই-বোনের রক্ত কোনোভাবেই বৃথা যেতে দেওয়া যাবে না। কোনোভাবেই ছাত্র লীগকে আর বাংলাদেশে ফিরতে দেওয়া যাবে না”।
আন্দোলনে জুলাই গণঅভ্যুত্থান মঞ্চের আহ্বায়ক জয়িদ জোহা বলেন,
“আমরা এখানে কারো মুখ দেখে আসেনি আওয়ামীলীগ যে মাসব্যাপী কর্মসূচি ঘোষণা করেছে তার প্রতিবাদ এবং তা ঘৃণা ভরে প্রত্যাখ্যান করার জন্যে এখানে একত্রিত হয়েছি। আমাদের ক্ষোভ, যারা এই এই কর্মসূচি ঘোষনা করেছে এবং যারা এটা ঘোষণা করার সুযোগ করে দিয়েছে তাদের উভয়ের প্রতি। আমরা এখানে কারো মুখ দেখে আসেনি আওয়ামীলীগ যে মাসব্যাপী কর্মসূচি ঘোষণা করেছে তার প্রতিবাদ এবং তা ঘৃণা ভরে প্রত্যাখ্যান করার জন্যে এখানে একত্রিত হয়েছি।”
আন্দোলনের সঞ্চালক আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, “শুধু ছাত্রলীগে নয় বরং আওয়ামীলীগকে যারা সৈরাচার হতে বাধ্য করেছিল সেইসব রাজনৈতিক দলেরও বিচার শুরু করতে হবে। বাংলাদেশে রাজনীতি করতে দেওয়া হবে না।আরেকটা শাহবাগ তৈরি করতে দেওয়া হবে না। শাহবাগীদের বিচার করতে হবে”।
এ সময় শিক্ষার্থীরা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ সড়ক গুলো প্রদক্ষিণ করে আন্দোলনে প্রায় তিন শতাধিক শিক্ষার্থী উপস্থিত ছিলেন।

Leave a reply

Minimum length: 20 characters ::