মো. রাফাসান আলম, রাবি প্রতিনিধি: চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জ সীমান্তে ভারতীয় নাগরিক ও সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (বিএসএফ) হামলার প্রতিবাদ ও দিল্লির আগ্রাসনের বিরুদ্ধে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে (রাবি) বিক্ষোভ মিছিল করেছে সাধারণ শিক্ষার্থীরা।
শনিবার (১৮ জানুয়ারি) রাত সাড়ে ৮টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের জ্বোহা চত্বরে জড়ো হয় শিক্ষার্থীরা। এরপর বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে ক্যাম্পাসের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করেন তারা।
এসময় শিক্ষার্থীরা “দিল্লি না ঢাকা? ঢাকা ঢাকা”, “দালালি না রাজপথ? রাজপথ রাজপথ”, “ভারতের আগ্রাসন, ভেঙ্গে দাও গুড়িয়ে দাও”, “ভারতের কালো, হাত ভেঙে দেও গুরিয়ে দাও”, “মোদির দুই গালে জুতা মারো তালে তালে” সহ বিভিন্ন স্লোগান দেন।
এবিষয়ে জানতে চাইলে বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী মোস্তফা মোর্শেদ বলেন, “ভারতীয় বিএসএফ বাংলাদেশের নিরস্ত্র মানুষের উপর যে নির্যাতন চালায় তা নিন্দনীয়। ফ্যাসিস্ট সরকারকে এদেশ থেকে তাড়ানোর ক্ষোভ এদেশের সাধারণ মানুষের উপর ঝাড়ছে ভারত। তারা আমাদের সঙ্গে যে আধিপত্যবাদ শুরু করেছে, আমাদের দেশের অবিভক্ত নদীগুলোর পানির ন্যায্য হিসাব তারা দিচ্ছে না। আমরা বলে দিতে চাই, পিন্ডির জিঞ্জির ছেড়েছি দিল্লির দাসত্ব করার জন্য নয়।”
শিক্ষার্থীদের প্রতিবাদের সাথে একাত্মতা প্রকাশ করে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক মেহেদী সজীব বলেন, “জুলাই বিপ্লবের পর থেকে প্রতিবেশী দেশ ভারত বাংলাদেশকে অস্থিতিশীল করার জন্য বিভিন্ন পায়তারা করে চলছে। এজন্য আজ বাংলাদেশের সীমান্তে সাধারণ মানুষের উপর গুলি ও বোমা নিক্ষেপ করেছে। ভারত চায় না আমাদের দেশের মানুষ শান্তিতে থাকুক।প্রতিবেশী হিসাবে না থাকলে তাদের পায়তারা রাবি শিক্ষার্থীরা নসাৎ করে দিবে।”
এসময় ফিশারিজ বিভাগের শিক্ষক অধ্যাপক ড. মো. ইয়ামিন হোসাইন বলেন, “সার্বভৌমত্বের প্রশ্নে রাবি শিক্ষার্থীরা সর্বদা অপোষহীন। ভারতের যেকোনো ষড়যন্ত্র বাংলাদেশের আপামর জনতা মেনে নিবে না। বিগত ১৬ বছর ফ্যাসিবাদী সরকারকে হাত করে ভারত বাংলাদেশের জমি, জায়গাসহ অনেক সম্পদ লুট করে নিয়েছে। বর্তমানে তা না করতে পেরে বাংলাদেশের সিমান্তবর্তী নাগরিকদের উপর হামলা করছে। যা খুবই ন্যাক্কারজনক ঘটনা।”
উল্লেখ্য, শনিবার (১৮ জানুয়ারি) সকাল থেকে চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জ উপজেলার কালিগঞ্জ সীমান্তে দুই দেশের নাগরিকদের মধ্যে উত্তেজনা দেখা দেয়। বাংলাদেশ সীমান্তের স্থানীয়রা জানান, বিএসএফ সদস্যরা হঠাৎ করেই কাঁটাতারের বেড়ার পাশে ছয় শতাধিক ভারতীয়কে জড়ো করেন। এসময় তারা বাংলাদেশের ভেতরে ঢুকে পড়েন। এ খবর ছড়িয়ে পড়লে ভারতীয়দের ধাওয়া করেন বাংলাদেশিরা। এতে তাদের মধ্যে সংঘর্ষ বেধে যায়।