জমকালো আয়োজনে রাবিতে শুরু হয়েছে ‘শৈত্যোৎসব ও পিঠা পুলি মেলা’ 

জমকালো আয়োজনে রাবিতে শুরু হয়েছে ‘শৈত্যোৎসব ও পিঠা পুলি মেলা’ 
মো. রাফাসান আলম, রাবি প্রতিনিধি: রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে (রাবি) শৈতোৎসব ও পিঠাপুলি মেলা ১৪৩১ শুরু হয়েছে। ১৬ জানুয়ারি (বৃহস্পতিবার) বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবাস বাংলাদেশ মাঠে এ মেলা শুরু হয়। মেলা চলবে ১৮ জানুয়ারি পর্যন্ত।
রিয়েল স্টার প্রোপার্টিজ লিমিটেডের সৌজন্যে ক্যাম্পাসের সংগীত সংগঠন ‘ক্যাম্পাস বাওয়ালিয়ানা’ তৃতীয় বারের মতো এ আয়োজন করেছে। মেলায় আয়োজনগুলোর মধ্যে রয়েছে পিঠা-পুলির আসর, দেশীয় বিভিন্ন খাবার ও পণ্যের প্রদর্শনী এবং সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। এছাড়াও মেলার বিশেষ আকর্ষণে হিসেবে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন সংগীত দলগুলোর পাশাপাশি দেশসেরা বাউল, ফোক ও কাওয়ালি ।
বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০২২-২৩ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী মাহবুব হোসেন বলেন, “আজকের এই পিঠা পুলি মেলায় আমি সত্যিই মুগ্ধ। আমাদের দেশের সংস্কৃতির সঙ্গে পরিচিত হতে পেরে অনেক ভালো লাগছে। পিঠা-পুলি শুধু খাবারের মধ্যে সীমাবদ্ধ নয়, এটি আমাদের ঐতিহ্য ও সংস্কৃতির প্রতিচ্ছবি। পিঠার স্বাদ ও মেলার পরিবেশ খুবই ভালো এবং সবাই খুব আনন্দিত।”
বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী শারমিন আক্তার বলেন, “বিশ্ববিদ্যালয়ে এমন সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করা সত্যিই এক দারুণ অভিজ্ঞতা। পিঠা-পুলি খেতে খেতে আমরা একে অপরের সঙ্গে আনন্দ ভাগাভাগি করছি, এটা একটা অসাধারণ অনুভুতি। আজকের এই মেলায় অংশগ্রহণ করে মনে হচ্ছে আমরা সবাই ঐক্যবদ্ধ।”
উৎসবের আয়োজক সদস্য আশফাক আদী বলেন, “বাংলাদেশ তেরো পার্বণের দেশ। পার্বণের অংশ হিসেবে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যান্ড ‘ক্যাম্পাস বাউলিয়ানা’র আয়োজনে তৃতীয় বারের মতো শৈত্যোৎসব ও পিঠা পুলি মেলার আয়োজন করা হয়েছে। এ আয়োজনের মাধ্যমে তরুণ প্রজন্মের মাঝে আমাদের ইতিহাস, ঐতিহ্য পৌঁছে দিতে চাই।”
মেলার উদ্বোধন করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ড. সালেহ হাসান নকীব। এসময় তিনি বলেন, “আয়োজনটি বেশ ভালো হয়েছে। আশা করবো সবাই আইনশৃঙ্খলার ব্যাপারটি নজরে রাখবে। আর আমার মনে হয় এখানে বক্তব্য শুনার আগ্রহ নিয়ে বসে নেই সেজন্য বক্তব্য দীর্ঘায়িত করবো না। আমি মনেকরি আমাদের ছাত্র-ছাত্রী এবং এখানে যারা উপস্থিত আছেন সবাই অনুষ্ঠানটি অনেক উপভোগ করবে।”
উল্লেখ্য, এবারের মেলায় বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ও রাজশাহী বিভাগের উদ্যোক্তাদের অংশগ্রহণে প্রায় দেড় শতাধিক স্টল বসেছে। বাঙালি সংস্কৃতির এ ধারা অব্যাহত থাকবে বলে জানান ক্যাম্পাস বাউলিয়ানার সদস্যরা।

Leave a reply

Minimum length: 20 characters ::