মোঃআমান উল্লাহ, কক্সবাজার:কক্সবাজারের টেকনাফের সীমান্ত বাণিজ্যে পুনরায় সচল করতে সরকার কাজ চালিয়ে যাচ্ছে বলে জানিয়েছেন শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের সচিব এইচ এম শফিকুজ্জামান।তিনি বলেছেন, মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে চলমান সংঘাতের প্রভাবে টেকনাফ স্থল বন্দর অচল হয়ে পড়ে আছে। মিয়ানমারের যুদ্ধ সেটি তাদের অভ্যন্তরীণ বিষয়। তবে স্থলবন্দরে বন্দরের অন্ধকার কেটে যাবে। খুব দ্রুত আলোর মুখ ফিরবে। কারণ দুই দেশে পণ্যে চাহিদা থাকায় ফের পুরোদমে সীমান্ত বাণিজ্যে পুনরায় সচল হবে। সরকার সে বিষয়ে কাজ চালিয়ে যাচ্ছে।
শনিবার সকালে টেকনাফ স্থলবন্দর পরিদর্শনকালে তিনি এসব কথা বলেন।পরিদর্শনকালে শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের সচিব এইচ এম শফিকুজ্জামান শ্রম আইন অধিকারের বিষয়ে স্থলবন্দরের শ্রমিকদের সাথে বৈঠকে বসেন।
বৈঠকে উপস্থিল ছিলেন অতিরিক্ত সচিব শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের মোঃ সবুর হোসেন, যুগ্ম সচিব মাসুকুর রহমান, টেকনাফ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শেখ এহসান উদ্দিন, বন্দরের ব্যবস্থাপক জসিম উদ্দিন, ম্যানেজার মোঃ আনোয়ার হোসেন, আমদানি কারক এনামুল হাসান ও শ্রমিক নেতা আলী আজগর মাঝি প্রমুখ।শ্রমিকদের উদ্দেশে সচিব এইচ এম শফিকুজ্জামান বলেন, এখানে অনেক সমস্যা রয়েছে। তার মধ্য পরিবহণ খাত অন্যতম। এখন পথে পথে চাঁদাবাজি, স্থানীয়ভাবে চাঁদাবাজি হচ্ছে, সেগুলো বন্ধের সময় এসেছে। তাই সবাইকে একসাথে কাজ করতে হবে । কেননা সরকার পতনের আগে এক সরকার ছিল। এখন নতুন এক বাংলাদেশের, অন্তর্বর্তীকালীন সরকার কাজ করছে। আমরা চাই সকল বৈষম্য দূর হোক। এটার কারণে আমি এখানে এসেছি।এই স্থলবন্দরে যাতে শ্রম আইন লঙ্ঘন না হয় সেদিকে সবাই সতর্ক থাকতে আহবান জানিয়ে তিনি বলেন, শ্রমিকরা যাতে তাদের ন্যায্য অধিকার পায় সেটি নিশ্চিত করতে হবে। বিশেষ করে এখানে (স্থলবন্দরে) কাজ করতে গিয়ে অনেক সময় হতাহতের শিকার হন শ্রমিকরা। আমরা তাদের (শ্রমিকদের) সহায়তায় করতে চাই। সেক্ষেত্রে কিছু নিয়ম কানুন রয়েছে। সেগুলো ফলো করতে হবে। তবে বন্দরে বাংলাদেশি শ্রমিকদের প্রথম অগ্রাধিকার দিতে হবে। এদের সবার একটা ডাটাবেজ করা হবে।তিনি বলেন, বাণিজ্যে বন্ধ রাখা উচিত না। প্রথম দরকার ওপারের শান্তি, সেটি হলে সীমান্ত আগের রূপে ফিরবে। মিয়ানমার আমাদের পার্শ্ববর্তী বিকল্প বাণিজ্যের ধার উন্মোচন হওয়া দরকার বলে আমি মনে করি।শ্রমিক নেতা আলী আজগর মাঝি বলেন,স্থলবন্দরে বিভিন্ন সমস্যার কথা তুলে ধরেছি। বিশেষ করে স্বাস্থ্যাসেবা সহ দুঘর্টনার শিকার শ্রমিকরা সহায়তায় না পাওয়া বিষয়টি গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে বৈঠকে। পাশাপাশি শ্রম অধিকার আইন লঙ্ঘন না হয় সেদিকে সবাইকে সতর্ক থাকতে বলা হয়েছে।