রায়পুরায় প্রতিপক্ষের হামলায় নারীসহ ২ জন নিহত

রায়পুরায় প্রতিপক্ষের হামলায় নারীসহ ২ জন নিহত
আশিকুর রহমান :নরসিংদীর রায়পুরায় আধিপত্য বিস্তার ও পরিবারের দ্বন্দ্বের জেরে প্রতিপক্ষের হামলায় দুইজন নিহত হয়েছে। এতে কমপক্ষে ১০ জন আহত হয়েছেন। উভয় পক্ষই আওয়ামী লীগের  সমর্থক বলে জানা গেছে।
শনিবার (৭ ডিসেম্বর) সকাল ৬ টায় রায়পুরা উপজেলার চান্দেরকান্দি ইউনিয়নের নজরপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন রায়পুরা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল জব্বার।
নিহতরা হলেন, চান্দেরকান্দি ইউনিয়ন পরিষদের বর্তমান সদস্য মানিক মিয়া (৫৫) ও একই গ্রামের আবু ছালেকের স্ত্রী কল্পনা বেগম (২৫)। তারা দু’জন মামা-ভাগনী বলে নিশ্চিত হওয়া গেছে। নিহত ২ জনই উপজেলা যুবলীগ নেতা আবিদ হাসান রুবেলের অনুসারী।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, দীর্ঘদিন ধরে এলাকায় আধিপত্য বিস্তার ও পারিবারিক দ্বন্দ্ব চলছিল আবিদ হাসান রুবেল ও রায়পুরা পৌর আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি হারুন-অর-রশিদের মধ্যে। এ নিয়ে বেশ কয়েকবার হারুন-অর-রশিদ ও তার সমর্থকরা আবিদ হাসান রুবেলের বাড়ি ও তার সমর্থকদের উপর হামলা চালিয়ে বাড়ি-ঘর ভাংচুর সহ লুটপাট করে ব্যাপক ক্ষতি সাধন করে। পূর্ববিরোধের জেরে সকালে হারুন-অর-রশিদের সমর্থকরা আগ্নেয়াস্ত্র ও দেশীয় অস্ত্র-শস্ত্র নিয়ে আবিদ হাসান রুবেল সমর্থকদের উপর আতর্কিত হামলা চালায়। এসময় উভয় পক্ষই সংঘর্ষে জড়িয় পড়েন। হামলা থেকে বাঁচতে রুবেলের চাচা মানিক মেম্বার পাশ্ববর্তী বশির উদ্দিনের বাড়ির ঘরে ভিতর আশ্রয় নেয়। সেখানেই হারুনের সমর্থকরা তাকে ঘর থেকে টেনে বাইরে এনে কুপিয়ে দেহ থেকে তার পা সম্পূর্ণ বিচ্ছিন্ন করে দূর্বৃত্তরা। এতে ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয় বলে জানা যায়। এনিয়ে  আবারও সংঘর্ষে জড়ায় দু’পক্ষ। সেসময় প্রাণ হারান কল্পনা বেগম নামে একনারী। আহত হয় কমপক্ষে ১০ জন। আহতরা হলেন- জুয়েল (৩০), রাব্বি (২২), সাব্বির (৩৮), আমির হোসেন (২১), টুটুল (৩৫), বাদল ভেন্ডার(৫৫), মারুফ মিয়া (১৫), সুফিয়া বেগম (৩৮)। আহতদের উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে সহ বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। স্থানীয় এক বৃদ্ধা মহিলা জানান, ফজরের নামাজ শেষ করে উঠানের দিকে গেলে দেখি হারুনের লোকেরা বন্দুক, রামদা, চাপাতি, টেঁটা হাতে কয়েকশ লোক নিয়ে রুবেলদের বাড়ির দিকে যাইতাচ্ছে। গ্রামের অনেক মানুষ তখন ঘুমিয়ে ছিল। কিছু বুঝে ওঠার আগেই তারা এ হামলা করে।
এদিকে, জোড়া খুনের ঘটনার পর এলাকায় উত্তেজনা এবং থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এলাকায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর অতিরিক্ত সদস্যরা  রয়েছেন।

Leave a reply

Minimum length: 20 characters ::