নাগরপুরে পান চাষে স্বাবলম্বী হওয়ার স্বপ্ন দেখছেন জহিরুল ইসলাম

নাগরপুরে পান চাষে স্বাবলম্বী হওয়ার স্বপ্ন দেখছেন জহিরুল ইসলাম
টাঙ্গাইল প্রতিনিধি: টাঙ্গাইলের নাগরপুরে পান চাষ করে স্বাবলম্বী হওয়ার স্বপ্ন দেখছেন উপজেলার মামুদনগর ইউনিয়নের ভাতশালা গ্রামের মৃত সরব আলীর ছেলে মো.জহিরুল ইসলাম (৩৫)। আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় এবছর পান চাষের উদ্যোগ নিয়েছেন তিনি। সরেজমিনে গিয়ে জহিরুল ইসলামের সাথে কথা বলে জানা যায় প্রায় সাত বছর পূর্বে  রাজশাহীতে তার এক আত্মীয়র বাড়িতে বেড়াতে গিয়ে সেখানে পান চাষ দেখে অনুপ্রাণিত হন তিনি। পরে আত্মীয়র সহযোগিতায় রাজশাহী থেকে প্রায় ১০ হাজার টাকা দিয়ে চার হাজার পানের চারা কিনে এনে ২৫ শতাংশ জমিতে পানের বরজ তৈরি করেন। পর পর দুবার বেশির ভাগ চারা নষ্ট হয়ে যায় এবং ফলন ভালো না হওয়ায় বেশ আর্থিক ক্ষতির মধ্যে পড়েন তিনি।  রাজশাহীতে কয়েকবার গিয়ে নিজে মাঠে থেকে পান চাষ, যত্ম ও পানগাছ রক্ষার বিষয়ে পানের চাষ করেন এমন কৃষকদের নিকট থেকে প্রয়োজনীয় পরামর্শ নেন।পরে বন্ধুদের সহযোগিতায় আবারো শুরু করেন পান চাষ অবশেষে সফলতা পান। খরচ দ্বিগুণ হলেও বাজারে দাম ভালো পাওয়ায় লাভের আশা করছেন তিনি। এরই মধ্যে তার বরজের পান পাতা বড় হয়েছে বিক্রিও শুরু করেছেন। ২৫ শতাংশ জমিতে পান চাষে তার মোট খরচ হয়েছে প্রায় ২ লাখ টাকা। প্রতিসপ্তাহে প্রায় ৩ হাজার টাকার পান বিক্রি হচ্ছে এর মধ্যে প্রায় ৬৭ হাজার টাকার পান বিক্রি করেছেন। সব ঠিকঠাক থাকলে এ বাগান থেকে প্রতিবছর দেড় লাখ টাকার পান বিক্রি করতে পারবেন বলে তিনি আশা করছেন। জহিরুল ইসলাম বলেন উপজেলা কৃষি অফিস থেকে কোন প্রকার পরামর্শ বা সহযোগিতা পাই না। যদি সরকারের পক্ষ থেকে এই পান চাষের জন্য কৃষি উপকরণ, কৃষি সহায়তা ঔষধ, সার, কীটনাশক পাই তবে পানের উৎপাদন আরো বৃদ্ধি করবো।
নাগরপুর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ ইমরান হোসাইন শাকিল বলেন, নাগরপুর উপজেলায় পান চাষে জহিরুল ইসলাম একজন সফল উদ্যোক্তা। পান চাষে জহিরুল ইসলামকে কৃষি অফিসের পক্ষ থেকে সকল ধরনের কারিগরি সহযোগিতা প্রদান করা হচ্ছে। পান যেহেতু অর্থকরী ফসল তাই কৃষি অফিস থেকে জহিরুল ইসলামসহ যারা পান চাষে এগিয়ে আসবে তাদের সার্বিক সহযোগীতা প্রদানে সচেষ্ট থাকবো

Leave a reply

Minimum length: 20 characters ::