নুর বলেন, প্রতিশোধ ও প্রতিহিংসা না করে সংহতি এবং সহনশীলতার রাজনীতি প্রতিষ্ঠা করতে পুরোনো দল, পুরোনো নেতৃত্ব নতুন বাংলাদেশ বিনির্মাণ সম্ভব নয়। নতুন বাংলাদেশ বিনির্মাণে নতুন রাজনীতি, নতুন নেতৃত্ব দরকার।গণঅধিকার পরিষদের যে গণজোয়ার উঠেছে। আমরা এই রাষ্ট্র ব্যবস্থার সংস্কার চাই। একক কোনো দল যেন সরকার গঠন করে ফ্যাসিবাদ সৃষ্টি না করতে পারে তাই দ্বি-কক্ষ বিশিষ্ট সংসদ, সংখ্যানুপাতিক পদ্ধতিতে নির্বাচন, সংসদের মেয়াদ চার বছর করার দাবি করেছি। সব দলের যেন সংসদে প্রতিনিধিত্ব থাকে এই প্রস্তাবে অধিকাংশ দল একমত হয়েছে। অপরাজনীতি চর্চায় নতুন বাংলাদেশে চলবে না।
গণ অধিকার পরিষদের কেন্দ্রীয় সভাপতি ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ভিপি নুরুল হক নুর বর্তমান বাংলাদেশের রাজনীতিবিদদের প্রতি আহ্বান জানিয়ে বলেন, বাড়াবাড়ি পীড়াপীড়ি ও দাম্ভিকতা করবেন না, যাতে আপনাদেরও শেখ হাসিনার মত পালিয়ে যেতে না হয়। শেখ হাসিনা এমনভাবে দাম্ভিকতা করেছিলো, শেষমেশ পালানোর সময় জুতা ও কাপড়ও নিতে পারিনি। আমরা সবাই এক দেশের মানুষ, এক সঙ্গে বাঁচতে চাই।
উপজেলা গণ অধিকার পরিষদের সদস্য সচিব মো. জাকির হোসেন মুন্সির সঞ্চালনায় ও আহ্বায়ক মো. হাফিজুর রহমানের সভাপতিত্বে গণ সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে কেন্দ্রীয়, জেলা, উপজেলা ও ইউনিট নেতারা এসময় উপস্থিত ছিলেন।উপজেলা গণ অধিকার পরিষদের আহ্বায়ক মো. হাফিজুর রহমানের সভাপতিত্বে জনসভায় প্রধান বক্তা ছিলেন দলের সহ সভাপতি মো. মিজানুর রহমান। বিশেষ অতিথি ছিলেন জেলা গণঅধিকার পরিষদের আহ্বায়ক সৈয়দ নজরুল ইসলাম লিটু ও সদস্য সচিব মো. শাহ আলম সিকদার।
অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন- উপজেলা গণঅধিকার পরিষদের মুখপাত্র মো. সোয়েব মাস্টার, উপজেলা যুব অধিকার পরিষদের আহ্বায়ক মো. রাসেল প্যাদা, সদস্য সচিব মো. আবুল হোসেন, পৌর যুব অধিকার পরিষদের আহ্বায়ক মেহেদী হাসান হারুন, সদস্য সচিব মো. বশির রাড়ি প্রমুখ।