আবুল কালাম আজাদ,রাজশাহী : রাজশাহী-চাঁপাইনবাবগঞ্জ রুটে দুইদিন ধরে বাস চলাচল বন্ধ করে দিয়েছে রাজশাহী সড়ক পরিবহন গ্রুপের আন্তঃজেলা চালক-শ্রমিকরা।২৭অক্টোবর সোমবার সকালে রাজশাহী থেকে ছেড়ে যাওয়া গাড়ি চালক ও শ্রমিকদের চাঁপাইনবাবগঞ্জের বাস শ্রমিকেরা মারধর করার পর ঐদিন দুপুর থেকেই অনিদৃস্ট কালের জন্য এ রুটে বাস চলাচল বন্ধ রয়েছে। এতে ভোগান্তিতে পড়েছে সাধারণ যাত্রীরা। তবে, বিকল্প মাধ্যমে গন্তব্যে পৌঁছাচ্ছে যাত্রীরা।
সরজমিনে দেখা গেছে ঘটনার ২য় দিন ২৯ অক্টোবর দুপর পর্যন্ত রুটটিতে বাস চলাবল বন্ধ ছিল।রাজশাহী বাসটার্মিনালে শ্রমিকরা অবস্থান নিয়ে মারধরের সঙ্গে জড়িতদের বিচারের দাবিতে থেমপ থেমে বিভিন্ন স্লোগান দিচ্ছেন এবং অবস্থান করছেন।
রাজশাহী বাস শ্রমিক ইউনিয়নের ভারপ্রাপ্ত সভাপি শরিফুল ইসলাম পাখি জানান, রাজশাহীর আল-মাহি পরিবহন নামে একটি বাসের চালক সাঈদ হাসান সোমবার সকালে চাঁপাইনবাবগঞ্জের পরিবহন শ্রমিকদের হাতে মারধরের শিকার হন। রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতাল থেকে প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়েছেন তিনি। আর ঘটনার সূত্রপাত গত শনিবার রাতে। সেদিন রাজশাহীর একটি বাসের শ্রমিকদের মারধর করা হয়। এরপর গতকাল ২৭ অক্টোবরবল রোববার দুই পক্ষ আলোচনা বসে। চাঁপাইনবাবগঞ্জের শ্রমিকেরা আশ্বাস দিয়েছিলেন, তারা আর কোনো মারধর করবেন না। ২৮ অক্টোবর মিমাংসার জন্য বসার কথা ছিলো কিন্তুু তারা মিমাংসায় না বসলে আজও এই রুটে বাস চলাচল বন্ধ রয়েছে।
লোকাল, গৌড় স্পেশাল, মহানন্দাসহ সব বাসই বন্ধ রয়েছে। রাজশাহীর ওপর দিয়ে চাঁপাইনবাবগঞ্জ যেতে দেওয়া হচ্ছে না ঢাকা রুটের বাসগুলোকেও।
রাজশাহী মোটর শ্রমিক ইউনিয়নের যুগ্ম সম্পাদক মোহাম্মদ রাজী জানান, শনিবার রাতে রাজশাহীর একটি বাসের শ্রমিকদের সাথে চাঁপাইনবাবগঞ্জের শ্রমিকের সাথে ভাড়া নিয়ে কথা কাটাকাটি হয়। এক পর্যায়ে তারা
আমাদের রাজশাহীর শ্রমিককে মেরে রকাক্ত করে।
তবুও আমরা বিষয়টি মিমাংসার জন্য বসতেও চেয়েছিলাম। কিন্তু তারা আবারো কয়েকটি বাসের শ্রমিককে মারধর করে। হয়েছে। বাধ্য হয়ে শ্রমিকরা নিজেদের নিরাপত্তার কথা চিন্তা করে বাস চলাচল বন্ধ রেখেছেন।তিনি আরও বলেন, চাঁপাইনবাবগঞ্জ মোটর শ্রমিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক আনোয়ারুল ইসলাম আনার বিষয়টি সমাধান না করে জটিল করছেন। তার ইন্ধনেই রাজশাহীর শ্রমিকদের মারধর করা হয়েছে।
অভিযোগের বিষয়ে আনোয়ারুল ইসলাম আনার বলেন, জাতে আমরা শ্রমিক। কে কার কথা শুনে কথায় কথায় উত্তেজিত হয়ে এই মারধরের ঘটনা ঘটেছে।
বিষয়টি সমাধনের চেস্টা চলছে।এদিকে, বাস চলাচল বন্ধ থাকায় বিপাকে পড়েছেন যাত্রীরা। বিকল্প পরিবহন হিসেবে অটোরিকশা ও থ্রি হুইলার চলাচল করছে। তবে বাসের চেয়ে বেশি ভাড়া গুনতে হচ্ছে যাত্রীদের।
যাত্রীরা বলছেন, শ্রমিকদের মারামারির চাপে নিস্পেশিত যাত্রীরা। বাস বন্ধ থাকায় আমরা চরম দুর্ভোগ পোহাচ্ছেন তারা । এছাড়া বেশি ভাড়া গুনতে হচ্ছে। বিষয়টি দ্রুত সমাধান করে যাত্রীসেবা চালু করার আহ্বান জানান ভুক্তভোগী বাস যাত্রীরা।