এই পদোন্নতি পর্ষদে বাংলাদেশ নৌ-বাহিনীর ক্যাপ্টেন, কমান্ডার ও লেফটেন্যান্ট কমান্ডার এবং বিমান বাহিনীর গ্রুপ ক্যাপ্টেন, উইং কমান্ডার ও স্কোয়াড্রন লিডার পদবির যোগ্য কর্মকর্তাগণ পরবর্তী পদোন্নতির জন্য বিবেচিত হবেন।পদোন্নতি পর্ষদে দেওয়া বক্তব্যে প্রধান উপদেষ্টা ছাত্র-জনতার বিপ্লবে সৃষ্ট বাংলাদেশে সবাইকে স্বাগত জানান। এ সময় তিনি জুলাই-আগস্ট মাসে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে নিহত সব শহীদকে গভীর শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করেন। মহান স্বাধীনতা যুদ্ধে অংশগ্রহণকারী সশস্ত্র বাহিনীর শহীদসহ সকল বীর সেনানীদেরও স্মরণ করেন তিনি, যাদের আত্মত্যাগ জাতি চিরদিন শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করবে।
প্রধান উপদেষ্টা পদোন্নতির জন্য অফিসারদের পেশাগত দক্ষতা, নেতৃত্বের গুণাবলি, শৃঙ্খলার মান, সততা, বিশ্বস্ততা ও আনুগত্য এবং সর্বোপরি নিযুক্তিগত উপযুক্ততার ওপর গুরুত্বারোপ করতে নির্বাচনী পর্ষদের সদস্যদের নির্দেশনা দেন। সৎ, নীতিবান ও নেতৃত্বের অন্যান্য গুণাবলি সম্পন্ন অফিসারগণই উচ্চতর পদোন্নতির দাবিদার বলে তিনি মন্তব্য করেন। তাছাড়া যেসব অফিসার সামরিক জীবনের বিভিন্ন কর্মকাণ্ডে যোগ্য নেতৃত্ব দিতে সফল হয়েছেন তাদের পদোন্নতির জন্য নির্বাচন করার নির্দেশনা দেন।
প্রধান উপদেষ্টা বলেন, দেশের ক্রান্তিলগ্নে বাংলাদেশ নৌ ও বিমান বাহিনী দেশের মানুষের পাশে এসে দাঁড়িয়েছে। ফলে বাংলাদেশ নৌ ও বিমান বাহিনী আবারও দেশের মানুষের কাছে আস্থার প্রতীক হিসেবে স্বীকৃতি লাভ করেছে।এর আগে অনুষ্ঠানস্থলে পৌঁছলে প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসকে স্বাগত জানান নৌ-বাহিনী প্রধান অ্যাডমিরাল এম নাজমুল হাসান ও বিমান বাহিনী প্রধান এয়ার চিফ মার্শাল হাসান মাহমুদ খাঁন।
নৌ ও বিমান বাহিনী নির্বাচনী পর্ষদ-২০২৪’র উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে এ দুই বাহিনীর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, প্রধান উপদেষ্টার প্রতিরক্ষা ও জাতীয় সংহতি উন্নয়ন বিষয়ক বিশেষ সহকারী, সশস্ত্র বাহিনী বিভাগের প্রিন্সিপাল স্টাফ অফিসার এবং প্রতিরক্ষা সচিব উপস্থিত ছিলেন।