নুরুজ্জামানের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞার আবেদনে বলা হয়, তার বিরুদ্ধে নিয়োগ বাণিজ্য, সরকারি অনুদানের টাকা হাতিয়ে নেওয়া, করোনাকালে ভুয়া প্রশিক্ষণ বিল উত্তোলন, ব্যাপক অনিয়ম-দুর্নীতির মাধ্যমে টিআর কাবিখার বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্পের সরকারি অর্থ আত্মসাৎপূর্বক নিজের ও পরিবারের সদস্যদের নামে জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগ বর্তমানে অনুসন্ধান চলছে।
এতে আরও বলা হয়, অনুসন্ধানের বিষয়টি রাষ্ট্রের স্বার্থে মানিলন্ডারিং প্রতিরোধে অতীব গুরুত্বপূর্ণ। অনুসন্ধানকালে গোপন সূত্রে জানা যায়, অভিযোগ সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা বিদেশে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করছেন। তারা বিদেশে পালিয়ে গেলে অনুসন্ধান কার্যক্রম দীর্ঘায়িত বা ব্যাহত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
অপরদিকে ইকবালুরের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞার আবেদনে বলা হয়, অভিযোগ সংশ্লিষ্ট ইকবালুর রহিমের বিরুদ্ধে ক্ষমতার অপব্যবহার, চাঁদাবাজি, টেন্ডারবাজি, বিভিন্ন অনিয়ম-দুর্নীতির মাধ্যমে সরকারি অর্থ আত্মসাৎপূর্বক নিজের ও পরিবারের সদস্যদের নামে জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগ বিষয়ে অনুসন্ধান চলছে। অভিযোগ সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি দেশ ছেড়ে বিদেশে পালাতে পারেন মর্মে বিশ্বস্ত সূত্রে জানা যায়। অভিযোগের সুষ্ঠু অনুসন্ধানের স্বার্থে তাদের বিদেশ গমন রহিত করা প্রয়োজন।এদিন দুদকের পক্ষে প্রসিকিউটর মাহমুদ হোসেন জাহাঙ্গীর শুনানি করেন। শুনানি শেষে বিচারক তাদের বিদেশ গমনে নিষেধাজ্ঞার আদেশ দেন।