ফয়সাল আহমেদ, রাজবাড়ী:: রাজবাড়ী জেলা পুলিশের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে হিন্দু সম্প্রদায়ের সবচেয়ে বড় উৎসব শারদীয় দুর্গাপূজা উপলক্ষে নেওয়া হয়েছে কয়েক স্তরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা।অথচ রাজবাড়ী শহরের প্রাণ কেন্দ্র বড়পুল বাস স্টান্ডের পাশের পূজা মণ্ডপের কয়েকটি প্রতিমা ভেঙে ফেলা হয়েছে।তবে রাজবাড়ী জেলা পূজা উদযাপন কমিটির সভাপতি/ সাধারণ সম্পাদক কিছুই জানেন না!
রাজবাড়ী পুলিশ সুপার মোছা: শামীমা পারভীন মুঠোফোনে ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ও সদর থানার ওসি ঘটনা স্থলে আছে।
জানা যায়, দীর্ঘ কয়েক বছর ধরে রাজবাড়ী শহরের প্রাণ কেন্দ্র বড়পুল বাস স্টান্ড এলাকায় বাস মালিক সমিতির পক্ষ থেকে দুর্গাপূজা হয়ে আসছে।রাজনৈতিক প্রেক্ষাপট পরিবর্তন হওয়ায় বাস মালিক সমিতির সভাপতি আত্মগোপনে রয়েছে। ফলে বাস মালিক সমিতির পক্ষ থেকে দুর্গাপূজা না হওয়ায় সরকার পরিবহনের মালিক কুঞ্জন সরকার নিউ উদ্যোগে পূজার কাজ শুরু করে।গত সোমবার দিবাগত রাতের কোন এক সময়ে অজ্ঞাত ব্যক্তিরা মণ্ডপের কয়েকটি প্রতিমা ভেঙে ফেলে। তবে মণ্ডপ কমিটি, জেলা পৌর পূজা উদযাপন কমিটি নেতারা ঘটনাটি ধামাচাপা দিতে চেষ্টা চালাচ্ছে।মঙ্গলবার দুপুর থেকে মণ্ডপের সামনের অংশ সাদা কাপড় দিয়ে আটক প্রতিমা কারিগর এনে মেরামতের চেষ্টা চালাচ্ছে।
স্থানীয় এক হিন্দু যুবক বলেন, ঘটনা ভোর রাতের।সারাদিন ধরে আয়োজকেরা ঘটনাটি ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা চালাচ্ছে।আমি সন্ধ্যায় জানার পরে মণ্ডপে এসেছি। মণ্ডপের সামনের অংশে সাদা কাপড় দিয়ে ঘিরে দিয়েছে। মনে হচ্ছে প্রতিমা কারিগর এনে মেরামতের কাজ করছে। আমাকে পুলিশ ভেতরে যেতে দিলো না।
রাজবাড়ী পূজা উদযাপন কমিটির সভাপতি কান্ত চক্রবর্তী কাছে মুঠোফোনে জানতে চাইলে তিনি বলেন, এমন ঘটনা আমার জানা নাই।আপনি জেলার সভাপতি এছাড়াও আপনার বাড়ি পাশের ঘটনা আপনি জানেন না? তিনি বলেন আমাকে কেউ বলে নাই।রাজবাড়ী জেলায় ৪৪১ টি মণ্ডপে পূজা হচ্ছে,আমার পক্ষে এতো গুলোর খোঁজ খবর রাখা সম্ভব!
রাজবাড়ী পুলিশ সুপার মোছা:শামীমা পারভীন বলেন, রাজবাড়ী জেলায় যাতে শান্তিপূর্ণ পরিবেশের মধ্যদিয়ে দুর্গাপূজা অনুষ্ঠিত হয় সেই লক্ষ্যে কাজ করছে পুলিশ। তবে বড়পুল এলাকায় প্রতিমা ভাঙচুরের ঘটনায় অনুসন্ধান চলছে।