সিরাজগঞ্জের তাড়াশে শামুকের হাট শামুক বিক্রি করে জীবিকা নির্বাহ করছে জেলেরা 

সিরাজগঞ্জের তাড়াশে শামুকের হাট শামুক বিক্রি করে জীবিকা নির্বাহ করছে জেলেরা 
 শেখ মাহবুব, সিরাজগঞ্জ জেলা প্রতিনিধি: চলনবিল অধ্যুষিত সিরাজগঞ্জের তাড়াশের মাকড়শোন এলাকায় ভাসমান শামুকের হাট গড়ে ওঠেছে। অন্যান্য হাটগুলোর মতোই পাইকারী হাট হিসিবে বিক্রি হচ্ছে শামুক।
পাবনা, বগুড়া, নাটোর, রাজশাহী ও চট্টগ্রামসহ বিভিন্ন জেলার পাইকাররা শামুক কিনে নিয়ে উন্নতমানের পুষ্টিগুন খাদ্য হিসেবে হাঁস খামারী ও মৎস্য চাষীদের কাছে শামুকগুলো বিক্রি করছে।
আর চলনবিলে মাছ কমে যাওয়ায় শামুক ধরে বেচাকেনা করেই জেলেরা তাদের জীবিকা নির্বাহ করছে।
জেলেরা বলছে, প্রতিদিন সন্ধ্যার আগে ৪-৫ জনের একটি দল নৌকা ও জাল নিয়ে চলনবিলে যায়। সারা রাত জাল ফেলে শামুক ধরে। এরপর সকালে শামুক থেকে অন্যান্য ময়লা সরিয়ে বস্তা ভরে পাইকারদের কাছে বিক্রি করে দেন। প্রতিদিন প্রায় ৪০-৫০মন শামুক আহরণ করে সকালে নগদ দুই থেকে আড়াই হাজার টাকা আয় হয়। এতেই তাদের সংসার চলছে।
আর পাইকাররা বলছেন, শামুক পুষ্টিগুন সম্পন্ন। শামুকগুলো হাঁসকে খাওয়ালো হাসের মাংস বৃদ্ধি পায় এবং ডিমও পুষ্টিগুন সম্পন্ন হয়। আর সেই ডিম থেকে বাচ্চা ফুটলে বাচ্চাগুলোও শক্ত ও হৃষ্টপুষ্ট হয়। এ জন্যই হাঁস খামারীদের কাছে শামুকের ব্যাপক চাহিদা রয়েছে। এ কারণে জেলেদের কাছ থেকে শামুক কিনে দেশের বিভিন্ন জেলার হাস খামারীদের কাছে বিক্রি করা হয়।
তাড়াশ উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা মশগুল আজাদ বলছেন, শামুকের নানা বিধ কাজে ব্যবহার করছে হাঁস ও মাছের খাদ্য হিসেবে। জমিতে উরবরতার কাজে শামুক খুব উপকারি হিসেবে কাজ করে।

Leave a reply

Minimum length: 20 characters ::