মাদারীপুর প্রতিনিধি : পুলিশের আত্মবিশ্বাস ফিরিয়ে আনতে সেনাবাহিনী সর্বাত্মক চেষ্টা করছে বলে জানিয়েছেন সেনা কর্মকর্তা মেজর জেনারেল আবদুল কাইয়ুম মোল্লা।
তিনি বলেন, ‘পুলিশকে সেনাবাহিনী নিরাপত্তা দেওয়ায় অনেক স্থানে তেমন ক্ষয়ক্ষতি হয়নি, অনেক থানায় হামলা বা ভাঙচুর হয়নি। দেশের জনগণকে সঙ্গে নিয়ে সন্ত্রাস দমন ও অবৈধ উদ্ধার কার্যক্রম চালিয়ে যেতে হবে।’ বৃহস্পতিবার (৫ সেপ্টেম্বর) মাদারীপুর জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সম্মেলন কক্ষে মতবিনিময় সভায় তিনি এ কথা বলেন।
মেজর জেনারেল আবদুল কাইয়ুম মোল্লা বলেন, অন্তর্বর্তী সরকারকে বিভিন্নভাবে কিছু গোষ্ঠী দাঁড়াতে দিচ্ছে না। এটা কোনোভাবেই উচিৎ নয়। সবার উচিৎ এই সরকারকে সর্বাত্মক সহযোগিতা করা। আজকে গার্মেন্টস সেক্টর অস্থির, স্বাস্থ্যসেবা প্রদানকারীরা অস্থির, একটি বাহিনী অস্থির, এমনকি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ছাত্ররাও অস্থির হয়ে পড়েছে। তারমধ্যে শুরু হয়েছে বন্যা। এর সবকিছুই উত্তোরণে সাপোর্ট দিচ্ছে সেনাবাহিনী। এতে খেই হারিয়ে ফেলতে হচ্ছে। পরিস্থিতি সামাল দিতে সময় লাগবে।’
তিনি বলেন, ‘দেশের জনগণ যত দিন প্রয়োজন মনে করবে, ততদিন সেনাবাহিনী মাঠে থাকবে। সেনাবাহিনী সুষ্ঠু পরিবেশ নিশ্চিত করে ব্যারাকে ফিরে যেতে চায়।’
তিনি আরও বলেন, ‘স্কুল-কলেজ খোলা রাখতে হবে। বাজার মনিটরিং করা কিংবা ট্রাফিকের দায়িত্ব পালন করা ছাত্রদের কাজ নয়। লেখাপড়ার সময় তারা পড়ার টেবিলে থাকবে। তাদের সামনে সুন্দর ভবিষ্যৎ পড়ে আছে। কোনো শিক্ষক ভুল করলে, তাদের অপমান না করে ভুল শুধরানোর সুযোগ দিতে হবে।’
মাদারীপুরের জেলা প্রশাসক ও জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ মারুফুর রশিদ খানের সভাপতিত্বে সরকারি-বেসরকারি বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তা, বিভিন্ন রাজনৈতিক ও সামাজিক সংগঠনের নেতারা মতবিনিয়ময়ে উপস্থিত ছিলেন।বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরাও মতবিনিময় সভায় অংশ নেন।
আল-ইমরান, বগুড়া: গত ২ জুলাই দিবাগত রাতে বগুড়া সদর থানায় অভিযোগ দায়ের করেন মামলার বাদী হারুন-উর রশিদ। তিনি মামলায় উল্লেখ করেন কিছুদিন পূর্বে ঢাকা জেলায় বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে মোবাইল নম্বর ০১৭৬৭-৯৮৩২৩৭ ব্যবহারকারী ব্যাক্তির সাথে মামলার সাক্ষী দ্বয়ের পরিচয় হয়। সে সময়ে আলাপচারিতার এক পর্যায়ে উক্ত মোবাইল নম্বর ধারী ব্যাক্তি নিজেকে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের চাচাতো ভাই পরিচয় দিয়ে তার নাম ব্যারিস্টার শামীম রহমান বলে জানায়। সে বেশির ভাগ সময়ে ঢাকায় অবস্থান করে বলেও জানায়। সে কেন্দ্রের সিনিয়র নেতৃবৃন্দের সহিত যোগাযোগ করে ভালো পদ-পদবী দিতে পারবে বলে তাদের আশ্বস্ত করে।