বাংলাদেশকে ইনিংসের প্রথম ওভারেই সাফল্য এনে দেন তাসকিন আহমেদ। ৬ বলে কোনো রান করার আগেই আব্দুল্লাহ শফিককে বোল্ড করেন তিনি। এমন সাফল্যের পর কিছুক্ষণ চাপ ধরে রাখলেও উইকেট পায়নি বাংলাদেশ।
প্রথম সেশনের বাকি সময়টুকু কাটিয়ে দেন সায়েম আইয়ুব ও শান মাসুদ। দুজনের জুটিতে দারুণভাবে এগিয়ে যাচ্ছিল পাকিস্তান। মধ্যাহ্ন বিরতির আগে ২৫ ওভারে ১ উইকেটে ৯৯ রান তুলেছে স্বাগতিকরা।
বিরতি থেকে ফেরার তৃতীয় ওভারে জুটি ভাঙতে পারে বাংলাদেশ। মেহেদী হাসান মিরাজের বলে এলবিডব্লিউ হয়ে যান পাকিস্তান অধিনায়ক শান মাসুদ। তার সঙ্গী আইয়ুবকেও ফেরান মিরাজই। তার বলে এগিয়ে এসে খেলতে গিয়ে স্টাম্পিং হন ১১০ বলে ৫৮ রান করা আইয়ুব।
সেশনে বাংলাদেশকে তৃতীয় উইকেটটি এনে দেন তাসকিন আহমেদ। ২৮ বলে ১৬ রান করা এই ব্যাটার তাসকিনের বল স্কয়ার অঞ্চল দিয়ে খেলতে যান। কিন্তু বল চলে যায় স্টাম্পে। চাপে থাকা পাকিস্তানকে আরও বিপদে ফেলেন সাকিব আল হাসান।
৭৭ বলে ৩১ রান করা বাবর আজম তার বলে হয়ে যান এলবিডব্লিউ। দুই বল পরই আরও একটি উইকেট পেতে পারতেন সাকিব। কিন্তু এবার শর্ট লেগে দাঁড়িয়ে আগা সালমানের ক্যাচ ছেড়ে দেন জাকির হাসান। সালমানকে নিয়ে সেশনের বাকি সময়টুকু পার করে দিয়েছেন মোহাম্মদ রিজওয়ান।
বিরতি থেকে ফেরার পর নিজেদের শেষ রিভিউটিও হারিয়ে ফেলে বাংলাদেশ। নাহিদ রানার বলে আইয়ুবের ক্যাচ হওয়ার ভুল রিভিউ নেয় তারা। এর কিছুক্ষণ পরই অবশ্য উইকেটের দেখা পেয়ে যায় বাংলাদেশ। নাহিদের লাফিয়ে উঠা বল রিজওয়ানের ব্যাট ছুঁয়ে ক্যাচ যায় স্লিপে।
সালমান আলি আগা ও খুররাম শেহজাদের ২৪ রানের জুটি ভাঙেন মিরাজ। তার বল তুলে মারতে গিয়ে মিড অফে ক্যাচ দেন খুররম। এটি ছিল মিরাজের তৃতীয় উইকেট। পরে মোহাম্মদ আলি ও আবরার আহমেদকে ফিরিয়ে নিজের ফাইফার পূরণ করেন তিনি। যা তার ক্যারিয়ারের ১০ম ফাইফার।