নিউজ ডেস্ক:::::: ১৫ বছর ধরে যারা গুমের সাথে জড়িত এবং যারা আয়না ঘর বানিয়েছে তাদেরকে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে গ্রেপ্তারের দাবি জানিয়েছে নিখোঁজদের পরিবারের সদস্যরা। জড়িতদের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে বিচারের দাবিও করেছে তারা।
আজ শুক্রবার কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে আন্তর্জাতিক গুম দিবস উপলক্ষে ‘মায়ের ডাক’ ব্যানারে আয়োজিত মানববন্ধনে উপস্থিত হয়ে গুমের শিকার ব্যক্তিদের স্বজনরা এসব দাবি জানায়।
চেনার আগেই হারিয়ে ফেলা বাবাকে ফিরে পেতে ছোট্ট শিশুর কান্না যে কারোর মনকে নাড়া দেবে। কিন্তু, ১৫ বছরে এমন শত শত স্বজনের কান্না মন গলাতে পারেনি কর্তাব্যক্তিদের।
বাবা, ভাই, বোন বা প্রিয়জন কোথায় আছেন, বা আদৌ বেঁচে আছেন কিনা তা জানার জন্য কয়েকবছর ধরেই সরব এই মানুষগুলো।
৫ আগস্টের পটপরিবর্তনের পর নতুন আশায় বুক বেঁধেছেন তারা। নিখোঁজদের স্বজনরা বলছেন, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর পরিচয়ে তাদের তুলে নেওয়া হয়। ডিজিএফআই, র্যাব-পুলিশ কার্যালয়সহ নানা জায়গায় ধর্ণা দিয়েও মেলেনি খোঁজ।
কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে মায়ের ডাকের মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, আওয়ামী লীগ আমলে ৭ শতাধিক মানুষ গুম হয়েছে। স্বাধীন দেশের নাগরিককে এভাবে গুম করা মানবাধিকারের চরম লঙ্ঘন, বলছেন তারা।
মানববন্ধনে নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না বলেন, ‘আমাদের এখন অতীতকে স্মরণ করে ভবিষ্যৎ গড়তে হবে। কল্পনাও করা যাবে না, গত সরকারের অধীনে পুলিশ কতটা অমানবিক ছিল। গুম নিয়ে মায়ের ডাকসহ অনেকেই তালিকা তৈরি করেছে। গত জুলাইয়ে কত মানুষ মারা গেছে? হয়তো হাজারেরও বেশি। আমরা বলতে চাই, তাদের হত্যার বিচার করতে হবে। যারা গুম-খুনের শিকার হয়েছেন, তাদের কাছে আমাদের যেতে হবে, সরকারকে যেতে হবে। আমরা যে মানবিক বাংলাদেশ গড়তে চাচ্ছি, সে বাংলাদেশে সব মানুষকে অন্তর্ভুক্ত করতে হবে।’
আইনজীবী সারা হোসেন বলেন, ‘প্রধান উপদেষ্টা আন্তর্জাতিক গুমবিরোধী সনদে সই করেছে, এ জন্য তাকে ধন্যবাদ জানাই। এই কমিটি একটি তদন্ত কমিটি করতে বলেছে, কিন্তু তদন্ত কমিটিই যথেষ্ট নয়। এর সঙ্গে জড়িতদের যেন আইনের আওতায় এনে বিচার নিশ্চিত করা হয়। বিষয়টি তদন্ত কমিটির কার্যাবলির মধ্যে দেওয়া হোক। গুরুত্ব দিয়ে গুম হওয়া ব্যক্তিদের যেন তাদের পরিবারের কাছে ফেরত দেওয়া হয়।’
অন্তর্বর্তী সরকার যাতে গুমের সঙ্গে জড়িতদের ছাড় না দেয় সে দাবি নিখোঁজদের স্বজনের।