প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও অন্যান্য নির্বাচন কমিশনার নিয়োগ আইন, ২০২২ এর ৯ ধারায় বলা হয়েছে, প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও অন্যান্য নির্বাচন কমিশনার নিয়োগদানের উদ্দেশে রাষ্ট্রপতি কর্তৃক ইতোপূর্বে গঠিত অনুসন্ধান কমিটি ও তৎকর্তৃক সম্পাদিত কার্যাবলী এবং উক্ত অনুসন্ধান কমিটির সুপারিশের ভিত্তিতে প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও অন্যান্য নির্বাচন কমিশনারের নিয়োগ বৈধ ছিল বলে গণ্য হবে এবং ওই বিষয়ে কোনো আদালতে কোনো প্রশ্ন উত্থাপন করা যাবে না।
এ আইনের ধারা ৯ এর মাধ্যমে আগে নিয়োগকৃত নির্বাচন কমিশনারের বিরুদ্ধে আদালতের শরণাপন্ন হওয়ার অধিকার কেড়ে নেওয়া হয়েছে এবং এ ব্যাপারে বিচার বিভাগের ক্ষমতা খর্ব করা হয়েছে, যা সংবিধানের ২৬, ২৭ ও ৩১ অনুচ্ছেদ, ক্ষমতার পৃথকীকরণ নীতি, বিচার বিভাগের স্বাধীনতার পরিপন্থি। এমন দাবি করে ১৮ আগস্ট ৯ ধারার বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে রিট করেন সুপ্রিম কোর্টের ১০ জন আইনজীবী।
রিটকারী আইনজীবীরা হলেন- আব্দুল্লাহ সাদিক, জি এম মোজাহিদুর রহমান, মিসবাহ উদ্দিন, জোবায়দুর রহমান, নোয়াব আলী, আজিম উদ্দিন পাটোয়ারী, সাজ্জাদ সরওয়ার, মোজাহিদুল ইসলাম, মিজানুল হক ও এ কে এম নুরুন নবী।
রুল জরির পর আইনজীবী শিশির মনির জানান, ২০১২ সালে এবং ২০১৭ সালে প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও অন্যান্য কমিশনাররা নিয়োগ পেয়েছিলেন, তাদের নিয়োগ দেওয়া হয়েছিল সার্চ কমিটির মাধ্যমে। ২০২২ সালে এসে একটি আইন করে বলা হয়েছে, এ ২০১২ সালে ও ২০১৭ সালে যাদের নিয়োগ দেওয়া হয়েছে, তাদের এ নিয়োগ প্রক্রিয়া নিয়ে কোনো আদালতে প্রশ্ন তোলা যাবে না। এ সংক্রান্ত আইনের ধারা ৯ চ্যালেঞ্জ করেছি। আদালত চার সপ্তাহের মধ্যে আইন সচিব ও নির্বাচন কমিশনকে রুলের জবাব দিতে বলেছেন।
এক প্রশ্নের জবাবে আইনজীবী শিশির মনির জানান, তাদের নিয়োগ প্রক্রিয়া যদি অবৈধ হয়ে যায়, তাহলে তাদের কৃতকর্ম নিয়ে অনিবার্যভাবে প্রশ্ন উঠবে। আপনারা জানেন দুনিয়া জুড়ে ২০১৪ ও ২০১৮ সালের নির্বাচন নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে।