রোববার (২৫ আগস্ট) বিকেলে এফডিসিতে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানানো হয়।
এসময় চলচ্চিত্র সংশ্লিষ্ট সবার কাছে পীরজাদা হারুনকে কোনো সিনেমায় না নেওয়ার অনুরোধ জানান পরিচালক সমিতির মহাসচিব শাহীন সুমন।
সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে এই অভিনেতা বলেছিলেন, একসময় এফডিসি থেকে অভিনেতা রাজীবকে আউট করে অতিরিক্ত সচিবকে দায়িত্ব দেওয়া হয়। তিনি এফডিসি সম্পর্কে অবগত না থাকায় দেখভালের জন্য আমাকে দায়িত্ব দেয়। তিনি শুধু সাক্ষর করতেন। তখন দেখি ১২০টি রুম আছে বিভিন্ন প্রযোজকদের নামে। সেখানে মাদক ও নারী ব্যবসাসহ সব কিছু হতো। এমডিকে অবগত করে তখন রুমগুলো দখল মুক্ত করি। সন্ধ্যার পর থেকে এফডিসিতে মাদক সেবন ও নারী ব্যবসা হয়। ওই রুমগুলো আবার দখল হয়েছে। এগুলো বন্ধ করা দরকার। এফডিসি পবিত্র জায়গা। পবিত্র জায়গা পবিত্র রাখতে হবে।
মূলত তার এমন বক্তব্য ভিত্তিহীন বলেই দাবি চলচ্চিত্রের মানুষের। এ কারণেই তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে যাচ্ছে চলচ্চিত্রের সংগঠনগুলো।
এসময় শিল্পী সমিতির সহ-সভাপতি ডিএ তায়েব জানান, তাদের সমিতির সভায় পীরজাদা হারুনের বিষয়টি উপস্থাপন করা হবে। এরপরেই তার সদস্য পদ থাকবে কিনা সে বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
এবারই প্রথম নয়, এর আগেও পীরজাদা হারুনকে আজীবন নিষিদ্ধ করা হয়েছিল। ২০২২ সালের ২৮ জানুয়ারি শিল্পী সমিতির নির্বাচনে প্রধান নির্বাচন কমিশনের দায়িত্ব পালন করেছিলেন এই অভিনেতা। নির্বাচনের দিন এফডিসিতে প্রবেশ করতে দেওয়া হয়নি চলচ্চিত্রের ১৭টি সংগঠনের সদস্যদের। শুধু শিল্পী ছাড়া নির্বাচনের দিন আর কেউ এফডিসিতে প্রবেশ করতে না পারায় অপমানজনক দাবি করে নির্বাচন কমিশনার পীরজাদা শহীদুল হারুনকে আজীবন নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছিল চলচ্চিত্র সংশ্লিষ্ট ১৮ সংগঠন।