নিউজ ডেস্ক : বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ বিএনপির উচ্চপর্যায়ের নেতাদের সঙ্গে পাকিস্তান হাইকমিশনার সৈয়দ আহমেদ মারুফের বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে। শুক্রবার (২৩ আগস্ট) সকাল ১১টায় বিএনপি চেয়ারপারসনের গুলশানের রাজনৈতিক কার্যালয়ে ঘণ্টাব্যাপী এ সৌজন্য সাক্ষাৎ হয়।বৈঠকে বিএনপি প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। এসময় উপস্থিত ছিলেন দলটির জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী ও স্পেশাল অ্যাসিসট্যান্ট টু দ্য চেয়ারপারসনস ফরেন অ্যাফেয়ার্স অ্যাডভাইজরি কমিটির সদস্য শ্যামা ওবায়েদ।বৈঠকে দুই দেশের দ্বিপাক্ষিক ও দক্ষিণ এশীয় আঞ্চলিক সহযোগিতার নানা বিষয়াদি নিয়ে আলোচনা হয়েছে বলে জানান বিএনপির জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী। বৈঠক পরবর্তী ব্রিফিংয়ে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেন, দুই দেশের মধ্যে যে দ্বিপাক্ষিক বিষয়গুলো আছে তা নিয়ে আমরা আলোচনা করেছি। এর মধ্যে ব্যবসা, বাণিজ্য, সম্পর্ক সব কিছুই আলোচনায় এসেছে। অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে যে সম্ভাবনাগুলো আছে তা আলোচনায় উঠে এসেছে। একই সঙ্গে পরস্পরের ওপর শ্রদ্ধাবোধ রেখে আমাদের মধ্যে যে সম্পর্ক তা সামনে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার কথা হয়েছে। পাশাপাশি আমাদের আঞ্চলিক সহযোগিতার বিষয়েও আলোচনা হয়েছে। মোট কথা পুরো দক্ষিণ এশিয়ার অঞ্চলের সার্বিক উন্নয়নে আমরা কি করতে পারি সে বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। দেশে একটি লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড হতে যাচ্ছে উল্লেখ করে আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেন, পাশাপাশি দুই দেশের মধ্যে ব্যবসা বাণিজ্যের যে সম্ভাবনা তা নিয়েও আলোচনা হয়েছে। যে কম্পারেটিভ অর্থনীতি বাংলাদেশ এতদিন অনুপস্থিত ছিল। বাংলাদেশে এতদিন লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড ছিল না। এতে কিছু লোকই এত দিন লাভবান ছিল। কম্পারেটিভ অ্যাডভান্টেজের মাধ্যমে এদেশে একটি লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড হতে যাচ্ছে। আমীর খসরু বলেন, দক্ষিণ এশীয় রিজিয়নটা সবচেয়ে লিস্ট ইনটিগ্রেটিভ সবচেয়ে কম আঞ্চলিক সহযোগিতা হয় আমরা সবাই পিছিয়ে আছি এক্ষেত্রে। আমরা সেটাকে কীভাবে এগিয়ে নিয়ে যাবো? এই দক্ষিণ এশিয়া অঞ্চলে যে ইনটিগ্রেশনটা দরকার শুধু মাত্র অর্থনীতি নয়, সব দিক থেকে একটা ইন্টিগ্রেশন দরকার এটা আমরা কীভাবে সামনের দিকে এগিয়ে যেতে পারি তা নিয়ে বিশদ আলোচনা হয়েছে।বিএনপির যে পররাষ্ট্রনীতি সকলের সঙ্গে বন্ধুত্ব – সেই ভিত্তিতে এগিয়ে যেতে চাই উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘দুই দেশের মধ্যে সুসম্পর্কসহ সব ধরনের অর্থনৈতিক সহযোগিতা নিয়ে আমরা এগিয়ে যেতে চাই। একটা লেভেল প্লেয়িং ফিল্ডের মাধ্যমে বাংলাদেশের জনসাধারণ যেখানে উপকৃত হবে, বাংলাদেশ যেখানে উপকৃত হবে সেই ধরনের একটি অর্থনৈতিক প্রক্রিয়া যেটা বিগত দিনে অনুপস্থিত ছিল আমরা মনে করি, লেভেল প্লেয়িং ঠিক রেখে দ্বিপাক্ষিক ও আঞ্চলিক সহযোগিতাকে আমরা এগিয়ে নিয়ে যাবো এসব নিয়েই মূলত আলোচনা করেছি।