আন্তর্জাতিক ডেস্ক : গাজায় চলমান ইসরায়েলের বর্বরোচিত হামলার মধ্যে ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাস ও লেবাননের সশস্ত্রগোষ্ঠী হিজবুল্লাহর শীর্ষ নেতা নিহত হওয়ার ঘটনায় তুমুল উত্তেজনা ছড়িয়ে মধ্যপ্রাচ্যে।ফিলিস্তিনি জনগণের অধিকার রক্ষার আন্দোলনে কোনো আপোস করবে না বলে জানিয়েছে হামাস।এসব হামলার জন্য ইসরাইলকে দায়ী করে কঠোর জবাবের হুঁশিয়ারিও দিয়েছে ইরান।এমন পরিস্থিতিতে ইসরায়েলের প্রতিরক্ষার জন্য মধ্যপ্রাচ্যে অতিরিক্ত যুদ্ধজাহাজ ও যুদ্ধবিমান পাঠানোর ঘোষণা দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। স্থানীয় সময় শুক্রবার (২ আগস্ট) মার্কিন প্রতিরক্ষা দপ্তর পেন্টাগন থেকে এ ঘোষণা আসে বলে এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম বিবিসি।
শনিবার (৩ আগস্ট) প্রকাশিত ওই প্রতিবেদনে পেন্টাগনের ডেপুটি প্রেস সেক্রেটারি সাবরিনা সিং এক বিবৃতি তুলে ধরা হয়েছে। ইরান ও তার প্রক্সিদের সম্ভাব্য হামলা থেকে ইসরায়েলকে রক্ষা করতে যুক্তরাষ্ট্র মধ্যপ্রাচ্যে অতিরিক্ত যুদ্ধজাহাজ ও যুদ্ধবিমান মোতায়েন করবে বলে সেখানে জানানো হয়।এতে সাবরিনা সিং বলেন, ‘প্রতিরক্ষা বিভাগ ইরান বা ইরানের অংশীদার এবং প্রক্সিদের দ্বারা আঞ্চলিক উত্তেজনা বৃদ্ধির সম্ভাবনা প্রশমিত করার জন্য পদক্ষেপ গ্রহণ অব্যাহত রেখেছে। ৭ অক্টোবর ইসরায়েলের ওপর হামাসের ভয়াবহ হামলার পর থেকে ওই অঞ্চলে আমাদের কর্মীদের এবং স্বার্থ রক্ষা করার কথা পুনর্ব্যক্ত করেছেন প্রতিরক্ষামন্ত্রী। ইসরায়েলকে প্রতিরক্ষায় আমরা দৃঢ় প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। ’ পেন্টাগন জানায়, মধ্যপ্রাচ্যে রণতরী ইউএসএস থিওডোর রুজভেল্টের পরিবর্তে ইউএসএস আব্রাহাম লিঙ্কন পাঠানো হয়েছে। এদিকে মার্কিন প্রতিরক্ষামন্ত্রী লয়েড অস্টিন মধ্যপ্রাচ্যে অতিরিক্ত ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র, প্রতিরক্ষাসক্ষম ক্রুজার, ডেস্ট্রয়ার এবং একটি নতুন ফাইটার স্কোয়াড্রন পাঠানোর কথা জানিয়েছেন। বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছে, মার্কিন বাহিনীর নতুন মোতায়েন (যুদ্ধজাহাজ ও যুদ্ধবিমান) সুরক্ষার উন্নতি ঘটাবে। ইসরায়েলের প্রতিরক্ষার জন্য সমর্থন বাড়াবে, এবং নিশ্চিত করবে যে, যুক্তরাষ্ট্র বিভিন্ন অপ্রীতিকর পরিস্থিতিতে সাড়া দিতে প্রস্তুত।গোলান মালভূমিতে হামলায় হতাহতের ঘটনার প্রতিশোধ নিতে মঙ্গলবার বৈরুতে হামলা চালায় ইসরাইল। এ হামলায় নিহত হন হিজবুল্লাহ কমান্ডার ফুয়াদ শুকর। এর কয়েক ঘণ্টা পরই ইরানের রাজধানী তেহরানে হত্যা করা হয় হামাসের শীর্ষ নেতা ইসমাইল হানিয়াকে। এসব হামলার জন্য ইসরায়েলকে দায়ী করেছে ইরান ও তার সমর্থিত মিত্র বাহিনী। এরইমধ্যে ইসরাইলকে কঠোর জবাবের হুঁশিয়ারিও দিয়ে রেখেছ তারা। যদিও তবে এ হত্যাকাণ্ডের দায় এখনও স্বীকার করেনি ইসরায়েল।