নিউজ ডেস্ক : কোটা সংস্কার আন্দোলন চলাকালে ঢাকায় মেট্রোরেলের ক্ষতিগ্রস্ত স্টেশন দুটি আগামী এক বছরেও চালু করা সম্ভব হবে না বলে জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।শনিবার (২৭ জুলাই) দুপুরে রাজধানীর বনানীতে ক্ষতিগ্রস্ত সেতু ভবন পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের তিনি এ কথা জানান।সেতুমন্ত্রী বলেন, মেট্রোরেলের কাজীপাড়া ও মিরপুর-১০ স্টেশন ধ্বংসপ্রাপ্ত। এটা এক বছরেও যন্ত্রপাতি এনে সচল করা সম্ভব হবে না বলে এক্সপার্টরা জানিয়েছেন।বন্ধ মেট্রোরেল কবে নাগাদ চলাচল করতে পারে- সাংবাদিকদের এ ধরনের এক প্রশ্নের উত্তরে ওবায়দুল কাদের বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যে সিদ্ধান্ত নেবেন, ওই সিদ্ধান্তের ওপর আমরা পর্যায়ক্রমে যেখানে যা করার সেটা করবো। তার সিদ্ধান্তের আগে আমরা কোনো কিছু করতে চাই না। তিনি সবকিছু গভীরভাবে পর্যবেক্ষণ করছেন এবং তিনি (প্রধানমন্ত্রী) সশরীরে বিটিভিসহ বিভিন্ন ধ্বংসপ্রাপ্ত স্থাপনায় গেছেন, সেগুলো প্রত্যক্ষভাবে দেখেছেন। সবকিছুর ক্ষয়ক্ষতির হিসাব তার কাছে আছে। কী অবস্থায়, কখন, কোনটা চালু করা যাবে আমি এ মুহূর্তে বলতে পারছি না।আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, এটা সাধারণ ছাত্র-ছাত্রীদের কাজ নয়। তারা কোটার মধ্যে সীমাবদ্ধ ছিল। বিএনপি-জামায়াত তাদের দীর্ঘদিনের ব্যর্থতা অবসানের জন্য রাজনৈতিক মতলবে ছাত্রদের এ আন্দোলনের ওপর ভর করেছে । ২০১৮ সালে তারা ব্যর্থ হয়েছে, নির্বাচনের আগে অক্টোবর মাসে তারা ব্যর্থ হয়েছে, নির্বাচনে হেরে যাওয়ার ভয়ে তারা অংশ নেয়নি; আজ ক্ষমতার লিপসা তাদের পেয়ে বসেছে। বিএনপি-জামায়াত এখন আর গণতন্ত্র মানে না; তারা আগুন নিয়ে নেমেছে, অস্ত্র নিয়ে নেমেছে। আজ কত মানুষের প্রাণপ্রদীপ নিভে গেছে সে হিসাব পুরোপুরি এখনও আসেনি। শিশুদেরও কেউ কেউ মারা গেছে। জানালা বন্ধ করতে গিয়ে গুলি লেগে মারা গেছে। রাস্তায় শিশু গুলির আঘাতে রক্তাক্ত হয়ে মারা গেছে।
আল-ইমরান, বগুড়া: গত ২ জুলাই দিবাগত রাতে বগুড়া সদর থানায় অভিযোগ দায়ের করেন মামলার বাদী হারুন-উর রশিদ। তিনি মামলায় উল্লেখ করেন কিছুদিন পূর্বে ঢাকা জেলায় বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে মোবাইল নম্বর ০১৭৬৭-৯৮৩২৩৭ ব্যবহারকারী ব্যাক্তির সাথে মামলার সাক্ষী দ্বয়ের পরিচয় হয়। সে সময়ে আলাপচারিতার এক পর্যায়ে উক্ত মোবাইল নম্বর ধারী ব্যাক্তি নিজেকে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের চাচাতো ভাই পরিচয় দিয়ে তার নাম ব্যারিস্টার শামীম রহমান বলে জানায়। সে বেশির ভাগ সময়ে ঢাকায় অবস্থান করে বলেও জানায়। সে কেন্দ্রের সিনিয়র নেতৃবৃন্দের সহিত যোগাযোগ করে ভালো পদ-পদবী দিতে পারবে বলে তাদের আশ্বস্ত করে।