নিউজ ডেস্ক : বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিসের (বিসিএস) পরীক্ষাসহ গত ১২ বছরে ৩০টি নিয়োগ পরীক্ষার প্রশ্নফাঁসের অভিযোগে বাংলাদেশ সরকারি কর্মকমিশনের (বিপিএসসি) উপ-পরিচালক জাহাঙ্গীর আলমসহ ছয়জনকে ১০ দিনের রিমান্ডে নিতে আবেদন করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১১ জুলাই) পল্টন থানায় দায়ের করা মামলায় এ রিমান্ড আবেদন করেন সিআইডির তদন্ত কর্মকর্তা সাইবার ইনভেস্টিগেশন অ্যান্ড অপারেশনের অতিরিক্ত বিশেষ পুলিশ সুপার জুয়েল চাকমা।আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট রাজেশ চৌধুরী আসামিদের উপস্থিতিতে শুনানির জন্য আগামী ১৬ জুলাই দিন ধার্য করেছেন। আরও যাদের রিমান্ড চাওয়া হয়েছে, তারা আসামিরা হলেন- পিএসসির আরেক উপ-পরিচালক আবু জাফর, সহকারী পরিচালক এস এম আলমগীর কবির, এসিসিডিএফের (বিওএফ) অডিটর প্রিয়নাথ রায় , মিরপুরের পোশাক কারখানার ব্যবসায়ী নোমান সিদ্দিকী ও ব্যবসায়ী জাহেদুল ইসলাম।গত ৯ জুলাই তাদের এ মামলায় আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়। সেদিন কারাগারে যাওয়া অন্য আসামিরা হলেন- নারায়ণগঞ্জ পাসপোর্ট অফিসের নিরাপত্তা প্রহরী শাহাদাত হোসেন, ঢাকার ইমিগ্রেশন ও পাসপোর্ট অফিসে কর্মরত মো. মামুনুর রশীদ, শহীদ সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালের মেডিকেল টেকনিশিয়ান মো. নিয়ামুন হাসান, ঢাবির সাবেক শিক্ষার্থী বর্তমানে মিরপুরের ব্যবসায়ী আবু সোলেমান মো. সোহেল ও আবেদ আলীর ছেলে সৈয়দ সোহানুর রহমান সিয়াম। ওই দিন পিএসসির চেয়ারম্যানের গাড়িচালক আবেদ আলীসহ ছয়জন ফৌজদারি কার্যবিধির ১৬৪ ধারায় আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন। জবানবন্দি দেওয়া অন্য আসামিরা হলেন- মো. খলিলুর রহমান, সাজেদুল ইসলাম, মো. সাখাওয়াত হোসেন, সায়েম হোসেন ও লিটন সরকার।একটি বেসরকারি টিভি চ্যানেলের প্রতিবেদন অনুযায়ী, বিপিএসসির কোনো নিয়োগ পরীক্ষা এলেই প্রশ্নফাঁস করে অর্থ লোপাটে মেতে উঠত সংঘবদ্ধ চক্রটি। প্রশ্নফাঁসকারী চক্রটি সবশেষ গত ৫ জুলাই অনুষ্ঠিত রেলওয়ের উপ-সহকারী প্রকৌশলীর নিয়োগ পরীক্ষাকে বেছে নেয়। এ পরীক্ষায় প্রশ্নফাঁস ও জালিয়াতির তথ্য অনুসন্ধানে বেরিয়ে আসে। এরপর সিআইডির অভিযানে এ ১৭ জন গ্রেপ্তার হন।
আল-ইমরান, বগুড়া: গত ২ জুলাই দিবাগত রাতে বগুড়া সদর থানায় অভিযোগ দায়ের করেন মামলার বাদী হারুন-উর রশিদ। তিনি মামলায় উল্লেখ করেন কিছুদিন পূর্বে ঢাকা জেলায় বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে মোবাইল নম্বর ০১৭৬৭-৯৮৩২৩৭ ব্যবহারকারী ব্যাক্তির সাথে মামলার সাক্ষী দ্বয়ের পরিচয় হয়। সে সময়ে আলাপচারিতার এক পর্যায়ে উক্ত মোবাইল নম্বর ধারী ব্যাক্তি নিজেকে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের চাচাতো ভাই পরিচয় দিয়ে তার নাম ব্যারিস্টার শামীম রহমান বলে জানায়। সে বেশির ভাগ সময়ে ঢাকায় অবস্থান করে বলেও জানায়। সে কেন্দ্রের সিনিয়র নেতৃবৃন্দের সহিত যোগাযোগ করে ভালো পদ-পদবী দিতে পারবে বলে তাদের আশ্বস্ত করে।