নিউজ ডেস্ক : বিশ্বের দেশে দেশে মূল্যস্ফীতি, বাংলাদেশেও এ মূল্যস্ফীতি উদ্বেগের কারণ বলে জানিয়েছেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। এ পরিস্থিতিতে অনেকদিন ধরে চিন্তাভাবনার পর এ বাজেট সংসদে উত্থাপিত হয়েছে বলেও তিনি জানান ৷শুক্রবার (১৪ জুন ) ধানমন্ডিতে আওয়ামী লীগ সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়ে আয়োজিত এক প্রেস ব্রিফিংয়ে তিনি এসব কথা বলেন।সেতুমন্ত্রী বলেন, সরকার এখানে কোনো কিছুই চাপা দিয়ে সত্যকে আড়াল করে কিছুই করেনি। বাজেট বাস্তবতার আলোকে ভারসাম্যমূলক। অনেকদিন ধরে দীর্ঘ চিন্তাভাবনার পর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে এ বাজেট সংসদে উত্থাপিত হয়েছে। মুদ্রাস্ফীতি নিয়ে একসময় ইউরোপেও উদ্বেগ ছিল। প্রায় ১০ শতাংশ ছিল মুদ্রাস্ফীতি। আর্জেন্টিনার মতো দেশে মুদ্রাস্ফীতি ৩০০ শতাংশ। বিশ্ব রাজনীতিতে প্রভাবশালী দেশ তুরস্কে ৭৩ শতাংশ মুদ্রাস্ফীতি। শ্রীলঙ্কা, পাকিস্তানসহ আশপাশের দেশেও মুদ্রাস্ফীতির অবস্থা ভালো নয়।আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, দুর্নীতিবাজরাই দুর্নীতির বিরুদ্ধে আজকে কথা বলে। বিএনপি টপ টু বটম দুর্নীতিবাজ। দুর্নীতির বরপুত্র দলটির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। তাকে ভালো মানুষ সাজাতে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম একটা বিবৃতি দিয়েছেন। মির্জা ফখরুল তার হুমকিতে অনেক কিছুই করেন। এখন বলছেন তাকে সাজা দেওয়া যাবে না। তারেক রহমানের শাস্তি তো হয়েছে। এখন তাকে দেশে ফিরে এনে শাস্তি ভোগ করাতে হবে-এটাই প্রধানমন্ত্রী বলেছেন। তারেক রহমান যতদিন বিএনপির নেতৃত্বে থাকবে ততদিন বিএনপি স্বাধীনতা নিয়ে রাজনৈতিকভাবে আত্মপ্রকাশ ঘটাবে এটা সম্ভব না। বিএনপি নির্বাচনে আসলে আগের মতো খরা হতো না। সার্বিক পরিস্থিতিতে তাদের সে সুযোগ ছিল। তারেক রহমানকে ভালো মানুষ সাজানোর চেষ্টা করার কোনো কারণ নেই। হঠাৎ করে সাত ধারা বাদ দিয়েছে কলমের এক খোঁচায়। বিএনপির সাত ধারা অনুযায়ী দণ্ডিত এবং দুর্নীতিবাজ কেউ দলটির নেতা হতে পারবে না।এমপি আনার হত্যাকাণ্ডে জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদকের রিমান্ড প্রসঙ্গে ওবায়দুল কাদের বলেন, মামলা হওয়ার আগে, শাস্তি ঘোষণার আগে কাউকে অপরাধী বলা ঠিক নয়- এটাই নিয়ম। জেলা সেক্রেটারি রিমান্ডে এমন উদাহরণ কি বিএনপি এবং জেনারেল এরশাদের আমলে আছে? আওয়ামী লীগের বিচার করার সৎ সাহস আছে।বর্তমান সরকার বিএনপি’র শত্রু -মির্জা ফখরুলের এ অভিযোগ এক প্রশ্নের উত্তরে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, এদেশে বিএনপি’র বন্ধু হতে পারে সেই সরকার যে সরকার নির্বাচনে বিএনপিকে নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠ বিজয়ের নিশ্চয়তা দেবে। এ প্রেস ব্রিফিংয়ে আরও উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আফম বাহাউদ্দিন নাছিম, সাংগঠনিক সম্পাদক বিএম মোজাম্মেল হক, মির্জা আজম, আফজাল হোসেন, সুজিত রায় নন্দি, শিক্ষা ও মানবসম্পদ সম্পাদক শামসুন্নাহার চাপা, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক আব্দুস সোবহান গোলাপ, ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ সম্পাদক আমিনুল ইসলাম আমিন, দপ্তর সম্পাদক বিপ্লব বড়ুয়া ও উপ-দপ্তর সম্পাদক অ্যাডভোকেট সায়েম খান।