আন্তর্জাতিক ডেস্ক : তৃতীয় মেয়াদে ভারতের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে আজ (রোববার) শপথ নেবেন নরেন্দ্র মোদী। ২০১৪ ও ২০১৯ সালে পরপর দুবার বিপুল সংখ্যক আসন পেয়ে সরকার চালানোর পর এবারে তাকে সত্যিকার অর্থে জোট সরকার চালাতে হবে।এমন পরিস্থিতিতে তার মন্ত্রিসভার চেহারা হবে ভিন্ন। প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে নতুন সরকারের মন্ত্রীদেরও শপথ নেওয়ার কথা রয়েছে। শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানে প্রতিবেশী বেশ কয়েকটি দেশের রাষ্ট্রপ্রধানসহ বেশ কয়েকজন বিদেশি অতিথি উপস্থিত থাকবেন। সঙ্গে থাকবেন আরও বেশ কয়েকজন বিশিষ্ট অতিথি। ২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচনে নরেন্দ্র মোদীর নেতৃত্বে বিজেপির ঝুলিতে এসেছে ২৪০ আসন। সংখ্যাগরিষ্ঠতার থেকে যা ৩২টি কম। এমন আবহে জেডিইউ এবং টিডিপির মতো শরিক দলের ওপরে বেশ নির্ভরশীল বিজেপি। এমন আবহে এবারের সরকারের চেহারা অনেকটা ভিন্ন হতে চলেছে। প্রতিবেদনে দাবি করা হয়, চন্দ্রবাবু নাইডুর টিডিপি চারটি মন্ত্রণা পেতে পারে মোদী সরকারে। এতে দাবি করা হচ্ছে, টিডিপির রাম মোহন নাইডু, হরিষ বালাযোগী, দগ্গুমালা প্রসাদরা মোদীর মন্ত্রিসভায় ঠাঁই পেতে পারেন। এদিকে প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, লোকসভার স্পিকারের পদও চেয়েছেন চন্দ্রবাবু। এদিকে নীতীশ কুমারের দলের লালন সিং এবং রাম ঠাকুর এবারে মোদী মন্ত্রিসভায় স্থান পেতে পারেন বলে দাবি করা হচ্ছে রিপোর্টে। এদিকে জেডিইউ নিজেও স্পিকার পদের জন্য দাবি জানিয়েছে বলে দাবি করা হচ্ছে।মোদীর নর নতুন সরকারে ৭৮ থেকে ৮১ জন মন্ত্রী হতে পারেন বলে মনে করা হচ্ছে। তবে সবাই একই দিন শপথ নেবেন না। এনডিটিভির প্রতিবেদন অনুযায়ী, আজ প্রায় ৩০ জন মন্ত্রী হিসেবে শপথ নিতে পারেন। এদিকে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, প্রতিরক্ষা, অর্থ মন্ত্রণালয়, এবং পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বিজেপির কাছেই থাকবে বলে জানা গেছে। এ ছাড়া শিক্ষা, সংস্কৃতি, তথ্যসম্প্রচার, সংসদবিষয়ক মন্ত্রণালয়ও বিজেপি নিজের কাছেই রাখতে পারে। এদিকে রেল মন্ত্রণালয় নিয়ে বেশ টানাটানি চলছে। এমন আবহে শেষ পর্যন্ত রেল মন্ত্রণালয় কার ভাগ্যে জোটে, তার দিকে নজর আছে অনেকেরই। অন্যদিকে এলজেপির চিরাগ পাসওয়ানকেও মন্ত্রী করা হতে পারে। এলজেপি নিজেদের জন্য রেল মন্ত্রণালয়ের দাবি জানিয়েছে। তবে শেষ পর্যন্ত তাদের কোন মন্ত্রণালয় দেওয়া হবে, তা এখনও নিশ্চিত নয়। এর আগে জে পি নাড্ডার বাসভবনে বিজেপির শীর্ষস্থানীয় নেতাদের সঙ্গে বসে শরিক দলগুলো মন্ত্রণালয় বণ্টন নিয়ে দর কষাকষি করেছিল বলে খবর মিলেছে। এদিকে শিরমণি অকালি দলকেও ফের এনডিএ-তে শামিল করার বিষয়ে কথাবার্তা চলছে বলে দাবি করা হয়েছে টাইমস অব ইন্ডিয়ার রিপোর্টে। এদিকে একনাথ শিন্ডের শিবসেনাকে একটি মন্ত্রণালয় দেওয়া হতে পারে এবারে। অপরদিকে জনসেনার প্রতিষ্ঠাতা পবন কল্যাণকে মন্ত্রী করার বিষয়ে আগ্রহী বিজেপি। তবে তিনি নিজে মন্ত্রী না হলে তার দলের কোনো সংসদ সদস্যকে হয়তো মন্ত্রী না-ও করা হতে পারে।