ঈদের পর আরও ১০ দেশে এনআইডি সেবা নিয়ে যাবে ইসি

ঈদের পর আরও ১০ দেশে এনআইডি সেবা নিয়ে যাবে ইসি
নিউজ ডেস্ক : ঈদুল আযহার পর আরও দশটি দেশে বসবাসরত প্রবাসী বাংলাদেশিদের জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) সেবা সংশ্লিষ্ট দেশে নিয়ে যাবে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।সম্প্রতি এ সংক্রান্ত কমিটির বৈঠকে এমন সিদ্ধান্ত হয়েছে।কমিটির প্রধান নির্বাচন কমিশনার মো. আহসান হাবিব খান বিষয়টি কমিশন বৈঠকে তোলার জন্য নির্দেশনাও দিয়েছেন।নির্দেশনায় বলা হয়েছে, বর্তমানে সংযুক্ত আরব আমিরাত, যুক্তরাজ্য, ইতালি, কুয়েত, কাতার ও সৌদি আরবে সফলভাবে প্রবাসী বাংলাদেশিদের ভোটার হিসেবে নিবন্ধন কার্যক্রম শুরু হয়েছে। ইতোমধ্যে সংযুক্ত আরব আমিরাত, ইতালি, কুয়েত ও কাতার এই কার্যক্রমের শুভ উদ্বোধন করা হয়েছে। আগামী জুন মাসে যুক্তরাজ্য এবং পরে সৌদি আরবে উদ্বোধন অনুষ্ঠান করা হবে।ঈদুল আযহার পরে মালয়েশিয়ায় বসবাসরত প্রবাসী বাংলাদেশিদের ভোটার নিবন্ধন কার্যক্রম শুরু করা হবে। কমিশন থেকে অনুমোদিত ১৬টি দেশের মধ্যে ৯টি দেশে (ওমান, বাহরাইন, জর্ডান, সিঙ্গাপুর, লেবানন, লিবিয়া, অস্ট্রেলিয়া, মালদ্বীপ, কানাডা) কার্যক্রম নেওয়া বাকি।এই দেশগুলোর মধ্যে প্রবাসী বাংলাদেশিদের আধিক্য বিবেচনায় তিনটি ধাপে কার্যক্রম নেওয়ার জন্য পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এবং সংশ্লিষ্ট দূতাবাস/হাইকমিশনের সঙ্গে পত্রযোগাযোগসহ সার্বিক সমন্বয় সাধন করা যেতে পারে।প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের নির্দেশনা পেয়ে কেএম নূরুল হুদার নেতৃত্বাধীন কমিশন ২০১৯ সালে প্রবাসে এনআইডি সরবরাহের উদ্যোগটি হাতে নেয়। এরপর ২০২০ সালের ১২ ফেব্রুয়ারি যুক্তরাজ্য প্রবাসীদের অনলাইনের ভোটার করে নেওয়ার কার্যক্রম উদ্বোধন করে ইসি। এর আগে ২০১৯ সালের ১৮ নভেম্বর সংযুক্ত আরব আমিরাতের প্রবাসীদের মধ্যে এ কার্যক্রম শুরু করা হয়। তার আগে একই বছর ৫ নভেম্বর মালয়েশিয়ায় অবস্থানরত বাংলাদেশিদের ভোটার তালিকায় অন্তর্ভুক্তি এবং স্মার্ট জাতীয় পরিচয়পত্র দেওয়ার অংশ হিসেবে অনলাইনে আবেদন নেওয়ার কার্যক্রম উদ্বোধন করা হয়। এরপর সৌদি আরব, সিঙ্গাপুর ও মালদ্বীপে থাকা বাংলাদেশিদের জন্যও এ সুযোগ চালু করা হয়।সে সময় অনলাইনে আবেদন নিয়ে সেই আবেদন সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির উপজেলা থেকে যাচাই করে সত্যতা পেলে সংশ্লিষ্ট দেশে দূতাবাস থেকে এনআইডি সরবরাহের পরিকল্পনা ছিল। এরপর করোনা মহামারির কারণে থমকে যায় দূতাবাসের মাধ্যমে এ কার্যক্রম শুরুর পরিকল্পনা।কাজী হাবিবুল আউয়ালের নেতৃত্বাধীন বর্তমান কমিশন দায়িত্ব নেওয়ার পর সেই কার্যক্রমকে ফের উজ্জীবিত করেন। এক্ষেত্রে আগের আবেদনগুলো পাশ কাটিয়ে নতুন করে কার্যক্রম শুরু করেন তারা।

Leave a reply

Minimum length: 20 characters ::