আন্তর্জাতিক ডেস্ক : ‘তাইওয়ানের বিচ্ছিন্নতাবাদী কার্যকলাপের কঠোর শাস্তি’ হিসেবে দ্বীপটির চারপাশে ব্যাপক সামরিক মহড়া শুরু করেছে চীন।দু’দিন আগেই তাইওয়ানে নতুন প্রেসিডেন্ট উইলিয়াম লাই চিং-তে দায়িত্ব নেওয়ার পর বেইজিংকে ‘ভীতি প্রদর্শন’ বন্ধ করার আহ্বান জানিয়েছিলেন।আর এর মধ্যেই এই সামরিক মহড়া শুরু করলো চীন।বৃহস্পতিবার স্থানীয় সময় সকাল ৭টা ৪৫ মিনিটে তাইওয়ান প্রণালীর পাশাপাশি তাইওয়ানের উত্তর, দক্ষিণ ও পূর্ব এবং সেইসাথে কিনমেন, মাতসু, উকিউ এবং ডংগিন দ্বীপের চারপাশের এলাকায় যৌথ মহড়া শুরু করে পিপলস লিবারেশন আর্মির ইস্টার্ন থিয়েটার কমান্ড।বৃহস্পতিবার শুরু হওয়া এই মহড়ায় সমুদ্র-আকাশপথে যুদ্ধ-প্রস্তুতি টহল, মূল লক্ষ্যবস্তুতে নির্ভুল হামলা এবং দ্বীপ চেইনের অভ্যন্তরে ও বাইরে সমন্বিত অভিযানের ওপর ফোকাস করা হয়েছে।চীনের সামরিক বাহিনীর মুখপাত্র লি শি বলেছেন, তাইওয়ানের বিচ্ছিন্নতাবাদী কর্মকাণ্ডের কঠোর শাস্তি এবং বহিরাগত শক্তির হস্তক্ষেপ ও উস্কানির বিরুদ্ধে কঠোর সতর্কতা হিসেবে যৌথ এই মহড়া চালানো হচ্ছে। খবর আল জাজিরাজনসাধারণের উদ্দেশে নিজের প্রথম ভাষণে লাই বলেছিলেন, তাইওয়ান একটি সার্বভৌম এবং স্বাধীন দেশ যার সার্বভৌমত্ব জনগণের মধ্যেই নিহিত। এসময় বেইজিংকে তাইওয়ানের বিরুদ্ধে আগ্রাসন বন্ধ করতে এবং এই অঞ্চলে শান্তি ও স্থিতিশীলতা বজায় রাখার আহ্বান জানান তিনি। এছাড়া তার সরকার তাইওয়ানের গণতন্ত্র ও স্বাধীনতার বিষয়ে কোনো ছাড় দেবে না বলেও জানান।তাইওয়ানের নতুন এই প্রেসিডেন্টকে ‘সমস্যা সৃষ্টিকারী’ এবং ‘বিচ্ছিন্নতাবাদী’ বলে মনে করে থাকে চীন। যার কারণে লাই প্রেসিডেন্ট হওয়ায় ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানিয়েছিল চীন।কাজাখস্তানে সাংহাই সহযোগিতা সংস্থার পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের বৈঠকে চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ওয়াং ই বলেছেন, তাইওয়ানকে মাতৃভূমিতে ফিরিয়ে আনা থেকে বেইজিংকে কেউ আটকাতে পারবে না। তাইওয়ানের বিচ্ছিন্নতাবাদীদের সকলেই ইতিহাসে লজ্জার স্তম্ভে স্থান পাবে।