নিউজ ডেস্ক : দেশের মোট জনসংখ্যার এক-তৃতীয়াংশ তরুণ উল্লেখ করে যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রী নাজমুল হাসান বলেছেন, বিরাট এ জনগোষ্ঠীকে পেছনে রেখে সামগ্রিক উন্নয়ন সম্ভব নয়। ২০৩০ সালের মধ্যে জাতিসংঘ ঘোষিত এসডিজি অর্জনে তরুণ জনগোষ্ঠীকে উন্নয়নের মূল স্রোতধারায় নিয়ে আসতে হবে।তাদের শিক্ষা ও কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করতে হবে। তাদের আধুনিক ও কারিগরি প্রশিক্ষণ দেওয়ার মাধ্যমে দক্ষ মানবসম্পদে রূপান্তর করতে হবে।মঙ্গলবার (২১ মে) বিকেলে রাজধানীর একটি পাঁচ তারকা হোটেলে ডি-৮ যুব বিষয়ক মন্ত্রী ও জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তাদের দুই দিনব্যাপী সম্মেলন শেষে সেই বিষয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা জানান।মন্ত্রী বলেন, যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের আয়োজনে রাজধানীর একটি পাঁচ তারকা হোটেলে প্রথমবারের মতো ডি-৮ যুব বিষয়ক মন্ত্রী এবং সিনিয়র অফিসিয়াল পর্যায়ের সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। দুই দিনব্যাপী এ সভায় ডি-৮ ভুক্ত দেশগুলোর (বাংলাদেশ, মিশর, ইন্দোনেশিয়া, মালয়েশিয়া, ইরান, নাইজেরিয়া, পাকিস্তান এবং তুরস্ক) প্রতিনিধিরা অংশগ্রহণ করেন।প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রতি আন্তরিক কৃতজ্ঞতা জানিয়ে তিনি আরও বলেন, তিনি উন্নয়নশীল দেশগুলোর জন্য উন্নয়নের রোল মডেল হিসেবে স্বীকৃতি পেয়েছেন। তার দূরদর্শী নেতৃত্বের মাধ্যমে বাংলাদেশ তার তরুণদের শক্তিকে কাজে লাগাচ্ছে এবং এ জনসংখ্যাগত লভ্যাংশের সুযোগ নিয়ে ২০৪১ সালের মধ্যে একটি উন্নত রাষ্ট্রে পরিণত হওয়ার আকাঙ্ক্ষা নিয়ে দেশ ‘রূপকল্প ২০৪১’ তথা স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণের পথে রয়েছে।তিনি বলেন, ডি-৮ অঞ্চলে ১ দশমিক ৩ বিলিয়নেরও বেশি মানুষের বসবাস যার এক-তৃতীয়াংশ তরুণ। বাংলাদেশে মোট জনসংখ্যার এক তৃতীয়াংশ তরুণ। এ অঞ্চলের বিরাট এ জনগোষ্ঠীকে পেছনে রেখে সামগ্রিক উন্নয়ন সম্ভব নয়।যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ প্রথমবারের মতো ডি-৮ ভুক্ত দেশসমূহের যুব মন্ত্রী ও সিনিয়র অফিসিয়ালদের নিয়ে ২০ ও ২১ মে আনুষ্ঠানিক বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে। প্রথম দিনে যুব ও ক্রীড়া সচিবের সভাপতিত্বে ডি-৮ ভুক্ত দেশগুলোর যুবদের সামগ্রিক উন্নয়নের বিভিন্ন বিষয় নিয়ে ডি-৮ ভুক্ত দেশসমূহ থেকে আগত ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা আলোচনায় অংশগ্রহণ করেন। বিস্তারিত আলোচনা শেষে তারা বেশ কিছু সুপারিশ করেন। সেগুলো হলো: ডি-৮ ইয়ুথ এক্সচেঞ্জ প্রোগ্রাম, ডি-৮ যুব মন্ত্রী এবং ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের বার্ষিক সভা আয়োজনের উদ্যোগ গ্রহণ, ডি-৮ ইয়ুথ কাউন্সিল প্রতিষ্ঠা, ডি-৮ সদস্য রাষ্ট্রগুলোর সর্বোত্তম অনুশীলনকে শক্তিশালী করা, ডি-৮ যুবকদের তথ্য সংগ্রহ ও বিশ্লেষণ (ওয়েবসাইট ও ডাটাবেইজ তৈরি), ডি-৮ যুব উন্নয়ন কৌশল প্রণয়ন, ডি-৮ যুবকদের প্রশিক্ষণ ও সক্ষমতা বাড়ানো।মন্ত্রী আরও জানান, উপরোক্ত সুপারিশগুলো নিয়ে বৈঠকের ২য় দিন তার সভাপতিত্বে ডি-৮ ভুক্ত সদস্য দেশসমূহ থেকে আগত যুব মন্ত্রীরা আলোচনায় অংশ নেন। ডি-৮ ভুক্ত অঞ্চলের যুবদের উন্নয়নে কি কি পদক্ষেপ নেওয়া যেতে পারে সে বিষয়গুলো নিয়ে তারা আরও গভীরভাবে পর্যালোচনা করেছেন বলে জানান। পাশাপাশি সব সদস্য রাষ্ট্রের অনুমোদনক্রমে ‘ঢাকা ডিক্লেয়ারেশন অন ইয়ুথ’ গৃহীত হয়েছে, যার মধ্যে দিয়ে ডি-৮ ভুক্ত দেশসমূহের যুবদের উন্নয়নের রূপরেখা তৈরি হবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন।