নিউজ ডেস্ক : হাইওয়ে পুলিশ ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের সক্ষমতা বৃদ্ধি না করলে, যত ভালো সিদ্ধান্তই নেয়া হোক না কেন সেটি বাস্তায়ন কঠিন হবে বলে মন্তব্য করেছেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।বৃহস্পতিবার (২১ মার্চ) রাজধানীর বনানীর বিআরটিএ’র সদর কার্যালয়ে আয়োজিত আসন্ন পবিত্র ঈদ-উল-ফিতর ২০২৪ উদযাপন উপলক্ষে সড়কপথে যাত্রীসাধারণের যাতায়ত নির্বিঘ্ন ও নিরাপদ করার লক্ষ্যে প্রস্তুতিমূলক সভায় সভাপতির বক্তব্যে তিনি এই মন্তব্য করেন।সেতুমন্ত্রী বলেন, অনেকদিন এই মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বে আছি। ঈদের প্রস্তুতিমূলক সভাও প্রতি বছরই আমরা করেছি। প্রস্তুতিমূলক সভায় যে সিদ্ধান্তগুলো হয়, সেগুলোর বাস্তবায়ন কতটা হয়েছে, পরবর্তীতে এর মূল্যায়নটা আমরা করি না। আমরা যে সিদ্ধান্ত নিলাম, সেটা বাস্তবে কতটা কার্যকর তা মূল্যায়ন করা উচিত। তিনি আরো বলেন, দুর্ঘটনা নিয়ে আমাদের দুর্ভাবনা চলছে। এর দুর্ভাবনার শেষ নেই। দুর্ঘটনার জন্য কে দায়ী এটি নিয়ে নানা বিষয় আসে। এখানে থ্রি-হুইলার, মোটর সাইকেল, বেপোরোয়া চালনাও আছে। সবকিছু মিলিয়ে দুর্ঘটনা হচ্ছে। আমি সচিব সাহেবকে বার বার বলেছি, মূল বিষয়গুলোতে হাত দেওয়া দরকার। পদ্মা সেতু থেকে সরে যাওয়ার পর বিশ্বব্যাংকের কোনো প্রকল্প আমরা গ্রহণ করিনি। কিন্তু ইদানিং একটি প্রকল্প আমরা হাতে নিয়েছি। রোড সেইফটি প্রোগ্রাম। এই প্রোগ্রামটার বাস্তবায়ন দ্রুততার সঙ্গে করতে হবে। এই ব্যাপারে মনোযোগী হওয়ার জন্য আমি মন্ত্রণালয়কে বারবার বলেছি।তিনি আরো বলেন, থ্রি-হুইলার ও মোটরসাইকেল এখন সড়কের সবচেয়ে বড় উপদ্রপ। এই বিষয়ে একটি নীতিমালা করা দরকার। জাতীয় সড়কে আমরা মোটরসাইকেল নিষিদ্ধ করেছি। কিন্তু বাস্তবে এটি কার্যকর হচ্ছে না। আমাদের সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নে হাইওয়ে পুলিশের সক্ষমতা আরো বাড়াতে হবে। হাইওয়ে পুলিশের যা জনবল আছে, তা যথেষ্ট নয়। এ দিয়ে সমস্যার সমাধান হবে না।তিনি আরো বলেন, আমি যখন রাস্তা দিয়ে চলি, তখন তিন চাকার গাড়ি রাস্তায় নেই। আমি যখন রাস্তা দিয়ে যাই না, তখন অহরহ চলতে থাকে। এখানে আমরা কতটা আন্তিরকভাবে চেষ্টা করছি? আমাদের হাইওয়ে পুলিশের পাশাপাশি বিআরটিএ এর সক্ষমতা যদি বাড়াতে না পারি, তাহলে আমরা যত ভালো সিদ্ধান্ত নেই, কার্যকর করা খুবই কঠিন। এটা হচ্ছে বাস্তবতা।