অধিক পরিমানে ডাল চাষে, অর্থ পুষ্টি দুই-ই আসে, বেশি করে ডাল খাই, পুষ্টি ও সুস্থতা বাড়াই । পতিত জমি/রাস্তার পাশে বারি অড়হর-১ এর চাষ জনপ্রিয়করণের লক্ষ্যে মঙ্গলবার (২৩ জানুয়ারী) বিকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত মাদারীপুর বিএআরআই, আঞ্চলিক ডাল গবেষনা কেন্দ্রে কৃষক সমাবেশ ও মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে । মাদারীপুর আঞ্চলিক ডাল গবেষণা কেন্দ্রের প্রকল্প পরিচালক ও মুখ্য বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. মো. ছালেহ উদ্দিন এর সভাপতিত্বে এতে প্রধান অতিথি হিসেবে গুরুত্বপূর্ণ বক্তব্য রাখেন গাজীপুর বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট এর মহাপরিচালক ড. দেবাশীষ সরকার। বিশেষ অতিথি ছিলেন গাজীপুর বিএআরআই এর পরিচালক (সেবা ও সরবরাহ) ড. ফেরদৌসি ইসলাম। এছাড়াও আরো উপস্থিত ছিলেন গোপালগঞ্জ এআরএস এর মুখ্য বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. কামরুজ্জামান, ফরিদপুর সরেজমিন গবেষণা কেন্দ্রের প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. সেলিম আহম্মেদ, গাজীপুর ডাল গবেষণা কেন্দ্র, বিএআরআইয়ের প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. একেএম মাহবুবুল আলম, মাদারীপুর আঞ্চলিক ডাল গবেষণা কেন্দ্রের বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা মোঃ মামুনুর রশীদ, মোঃ শাহীন মাহমুদ এবং অনুষ্ঠানের সঞ্চালনায় ছিলেন উধ্বর্তন বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা মোঃ জামিল হোসেন । উক্ত অনুষ্ঠানে বিভিন্ন এলাকা হতে প্রায় ৮০ জন কৃষক ও কৃষানী অংশগ্রহণ করে। উপস্থিত কৃষকগন অড়হর ডাল চাষ করার আগ্রহ প্রকাশ করেন ।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে গাজীপুর বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট এর মহাপরিচালক ড. দেবাশীষ সরকার বলেন, গরীবের প্রোটিন বলে খ্যাত ডাল ফসল চাহিদার তুলনায় আমাদের দেশে উৎপাদন অনেক কম। ডালের চাহিদা পূরণের লক্ষ্যে ডাল গবেষণা কেন্দ্র এ পর্যন্ত বিভিন্ন ডাল ফসলের ৪৪টি উচ্চ ফলনশীল জাত ও অনেক লাগসহ প্রযুক্তি উদ্ভাবিত করেছে। সম্প্রতি ডাল গবেষণা কেন্দ্র বারি অড়হর-১ উদ্ভাবিত হয়েছে।
তিনি তার বক্তব্যে আরো বলেন, স্বাধীনতার পর হতে ক্রমান্বয়ে কৃষি জমি বিভিন্ন ভাবে কমে যাচ্ছে। এই চ্যালেনজ মোকাবেলাই মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর অনুশাসন এক ইঞ্চি ফাঁকা জমি ফেলে রাখা যাবে না। এর অংশ হিসেবে বারি অড়হর-১ রাস্তার ধারে/ রেল লাইনের ধারে পতিত জমি ও বসতবাড়ীর আশেপাশে জমির আইলে চাষ করা যেতে পারে । এছাড়া এটি উৎকৃষ্ট জ্বালানি হিসেবে ব্যবহার করা যায় এবং ডাল হিসেবে খাওয়া যায় এবং ইহা মাটির স্বাস্থ্য সুরক্ষায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।”