প্রণব কুমার সাহা, মাদারীপুর প্রতিনিধি : মাদারীপুরে তিনটি আসনে ২টিতে আওয়ামীলীগ ও ১টিতে স্বতন্ত্র প্রার্থী বেসরকারিভাবে জয়ী হয়েছেন। জয়ীরা হলেন মাদারীপুর-১ আসনের বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের প্রার্থী নূর-ই-আলম চৌধুরী, মাদারীপুর-২ আসনের আওয়ামীলীগের প্রার্থী শাজাহান খান ও মাদারীপুর-৩ আসনের ঈগল প্রতিকের স্বতন্ত্র প্রার্থী মোসা: তাহমিনা বেগম।মাদারীপুর জেলা প্রশাসক সম্মেলন কক্ষে রবিবার রাতে সংসদ নির্বাচনের ফলাফল বেসরকারি ভাবে ঘোষণা করেন জেলা রির্টানিং কর্মকর্তা ও জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মারুফুর রশিদ খান । এ সময়ে মাদারীপুর স্থানীয় সরকার বিভাগের উপপরিচালক ও গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের উপসচিব মো. নজরুল ইসলাম, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (এডিএম) মো. নাজমুল ইসলাম, জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা আহমেদ আলীসহ আরো অনেকেই উপস্থিত ছিলেন।মাদারীপুর-১ আসনের আওয়ামী লীগের নৌকা প্রার্থী নূর-ই-আলম চৌধুরী লিটন ১ লাখ ৯৬ হাজার ৭৩১ ভোট পেয়ে বেসরকারি ভাবে নির্বাচিত। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী জাতীয় পার্টি মোঃ মোতাহার হোসেন সিদ্দিকী পেয়েছেন ১৮২৬। বাংলাদেশ তরিকত ফেডারেশনের ফুলের মালা প্রতিকের তোফাজ্জেল হোসেন খান পেয়েছেন ১হাজার ৩৪ ভোট।মাদারীপুর-২ আসনের আওয়ামীলীগের নৌকা প্রার্থী শাজাহান খান ২লক্ষ ২৩হাজার ৫১৮ ভোট পেয়ে বেসরকারি ভাবে নির্বাচিত । তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী জাতীয় পার্টি একে এম নুরুজ্জামান ৩হাজার ৪১৫ ভোট। বাংলাদেশ কংগ্রেসের ডাব প্রতিকের সুবল চন্দ্র মজুমদার পেয়েছেন ৩হাজার ১৯ ভোট। বাংলাদেশ সুপ্রিমপার্টির একতারা প্রতিকের ইউসুফ আলী সুমন পেয়েছে ১হাজার ৬৬৩ ভোট।মাদারীপুর-৩ আসনের ঈগল প্রতিকের স্বতন্ত্র প্রার্থী মোসা: তাহমিনা বেগম ৯৬হাজার ৬৩৩ ভোট পেয়ে বেসরাকারি ভাবে নির্বাচিত। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আওয়ামীলীগের নৌকা প্রার্থী আবদুস সোবহান মিয়া ৬১হাজার ৯৭১ ভোট । জাতীয় পার্টির লাঙ্গল প্রতিক নিয়ে মোহাম্মাদ আব্দুল খালেক পেয়েছেন ৫৩৩ ভোট। তৃনমূল বিএনপির সোনালী আশ প্রতিক নিয়ে প্রবীণ হালাদার পেয়েছেন ৪৩৪ ভোট। কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের গামছা প্রতিক নিয়ে নকুল কুমার বিশ্বাস পেয়েছেন ২৬৩ ভোট। বাংলাদেশ সুপ্রিম পার্টির একতারা প্রতিকের নিতাই চক্রবর্তী পেয়েছেন ১৯৩ ভোট। রবিবার (৭ জানুয়ারি) সকাল ৮টা থেকে মাদারীপুরের ৩৭৯টি ভোট কেন্দ্র উৎসব মুখর পরিবেশে ভোট গ্রহন শুরু হয়ে বিকাল ৪টায় শেষ হয়। ৩টি আসনে আওয়ামীলীগ ও জাতীয় পার্টিসহ মোট ১৩ জন প্রার্থী নির্বাচনে অংশ গ্রহন করেছেন। জেলার ৩টি আসনে মোট ১০লাখ ৬৬ হাজার ৯’শ ১৫ জন ভোটার। ভোট কেন্দ্র ৩৭৯টি। যার মধ্যে নারী ভোটার ৫লাখ ১৩ হাজার ৩’শ ৩৬ জন এবং পুরুষ ভোটার ৫লাখ ৫৩ হাজার ৫’শ ৬৭ জন এবং হিজরা ভোটার ১২ জন। এদিকে মাদারীপুরের জেলা প্রশাসক ও জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা মোহাম্মদ মারুফুর রশিদ খান মাদারীপুর জেলায় একটি অবাদ, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচন উপহার দেওয়ায় মাদারীপুর জেলার সর্বস্তরের জনগণ তার প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন ।চীফ হুইপ নূর-ই-আলম চৌধুরী প্রতিক্রিয়া জানতে চাইলে বলেন, শিবচরের মানুষ আমাকে টানা ৭ বার ভোট দিয়ে নির্বাচিত করেছেন। এবার সবচেয়ে বেশি ভোটে আমাকে নির্বাচিত করেছেন। আমার উপর মানুষ আস্থা রেখেছেন ভালবাসেন তারা আমাকে। আমার পিতাকেও ৩ বার নির্বাচিত করেছিলেন তারা। সবাই মিলে এবার যেভাবে আমাকে ভোট দিয়েছেন আমি ঋনী ও কৃতজ্ঞ। আমি চেষ্টা করবো আগে যেভাবে উন্নয়ন করেছি সেভাবে কাজ করার। ইনশাল্লাহ্ মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আবার প্রধানমন্ত্রী হচ্ছেন, আওয়ামীলীগ ক্ষমতায় এসেছে। এটাই আমাদের জন্য সবচেয়ে বড়। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আবার প্রধানমন্ত্রী হওয়ায় শিবচরের উন্নয়ন আরো চমকপদ্র হবে।