প্রণব কুমার সাহা, মাদারীপুর প্রতিনিধি: মাদারীপুর জেলার শিবচর উপজেলায় আড়িয়াল খাঁ নদীর তীর সংরক্ষণ ও ড্রেজিং প্রকল্পের ২০২৩-২৪ অর্থ বছরের উত্তোলন করা দ্বিতীয় পর্যায়ের ১৭টি স্পটের বালু উন্মুক্ত নিলামের মাধ্যমে প্রায় ৮.৫ কোটি টাকা সরকারি রাজস্ব আদায় করা হয়। এর পাশাপাশি সরকারি বিধি অনুযায়ী বিভিন্ন স্কুল, কলেজ, মাদ্রাসা, কবরস্থান, সরকারি অন্যান্য প্রতিষ্ঠান ও জনকল্যাণমূলক কাজে ড্রেজিং এর বালু প্রদান করা হয়। মাদারীপুর জেলা প্রশাসনের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) ঝোটন চন্দ্রের নেতৃত্বে অংশগ্রহণমূলক এই নিলাম কার্যক্রম শিবচর উপজেলা পরিষদে গত ৭ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত হয়। এ সময় নিলাম কমিটির সদস্যরা, উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান, সংশ্লিষ্ট ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যানসহ অন্য জনপ্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।
উল্লেখ্য ইতিপূর্বে উক্ত ড্রেজিং প্রকল্পের প্রথম পর্যায়ের বালু সরকার নির্ধারিত মূল্য না পাওয়ায় পরপর তিনবার নিলাম ডেকেও নিলাম করা সম্ভব হয়নি। পূর্বের অভিজ্ঞতার আলোকে এ বছর জেলা প্রশাসন বিশেষ উদ্যোগ গ্রহণ করে স্থানীয় সংসদ সদস্য নূর-ই-আলম চৌধুরী এবং উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুল লতিফ মোল্লাসহ অন্যান্য জনপ্রতিনিধিদের সহযোগিতা নিয়ে বালু রাখার স্থান নির্ধারণসহ সকল কার্যক্রম সম্পন্ন করে।
নিলাম কমিটির সভাপতি জানান, স্থানীয় সংসদ সদস্য এবং উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যানের সার্বিক সহযোগিতায় এই কার্যক্রম সুষ্ঠু এবং স্বচ্ছভাবে সম্পন্ন করা সম্ভব হয়েছে। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জানান, শিবচর উপজেলা একটি নদী বেষ্টিত এলাকা এখানে অবৈধ বালু ব্যাবসায়ী এবং বালু খেকোদের চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করে সরকারি বালু নিলামের মাধ্যমে ৮.৫ কোটি টাকা রাজস্ব আদায় একটি দৃষ্টান্ত। আমি স্থানীয় সংসদ সদস্য, উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান, অন্যান্য জনপ্রতিনিধি এবং সংশ্লিষ্ট সকলকে ধন্যবাদ জানাই।উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আব্দুল লতিফ মোল্লা বলেন, স্থানীয় সংসদ সদস্য নূর-ই-আলম চৌধুরী এবং জেলা প্রশাসন মাদারীপুরকে ধন্যবাদ জানাই এত সুন্দরভাবে এই নিলাম কার্যক্রম সম্পন্ন করার জন্য। ভবিষ্যতেও আমি সার্বিকভাবে প্রশাসনকে সহযোগিতা করব।
মাদারীপুর পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী সানাউল কাদের খান জানান, মাদারীপুর জেলায় ইতিপূর্বে এত সফলভাবে নিলাম কার্যক্রম সম্পন্ন হয়নি। আমি জেলা প্রশাসন এবং সংশ্লিষ্ট কমিটিকে ধন্যবাদ জানাই।
মাদারীপুরের জেলা প্রশাসক ও বিজ্ঞ জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ মারুফুর রশিদ খান জানান, সরকারি রাজস্ব আদায়ে স্থানীয় সকল স্তরের জনপ্রতিনিধিদের এরূপ আন্তরিক সহযোগিতা অনুকরণীয় দৃষ্টান্ত হয়ে থাকবে।