নিউজ ডেস্ক : সরকার পরিবর্তন করতে চাইলে বিএনপিকে আগে নির্বাচনে অংশ নিতে হবে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল।রোববার (১২ নভেম্বর) দুপুরে সচিবালয়ে নিজ দপ্তরে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।কিছুদিন পরে নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা হবে, তারপরও অবরোধ চলছে ও গাড়িতে আগুন দিচ্ছে, এভাবে চলবে নির্বাচন পর্যন্ত? এমন প্রশ্নের জবাবে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, বিএনপির চরিত্রই এমন। তারা সবসময় সন্ত্রাস ডেকে ষড়যন্ত্র করে। অস্থিতিশীল পরিস্থিতি সৃষ্টি করার জন্য এ ধরনের কর্মকাণ্ড করে। নির্বাচন কমিশন সময়মতো নির্বাচন দেবে। সবাই সেখানে অংশ নেবে এটা হলো জনগণের প্রত্যাশা। আশা করি, তারা নির্বাচনে আসবে। নির্বাচন ছাড়া সরকার পরিবর্তন সংবিধানে কোনো এখতিয়ার নেই। কাজেই তাদের নির্বাচনে আসতে হবে যদি সরকার পরিবর্তন চায়।তিনি বলেন, সরকার পরিবর্তন করতে চাইলে সংবিধান অনুযায়ী নির্বাচনে অংশ নিতে হবে। তা না করে আগুন দিয়ে মানুষকে পুড়িয়ে মেরে, জিম্মি করে সরকার পরিবর্তন করবে সেই দুঃস্বপ্ন তাদের করা উচিত না। এদেশের জনগণ অনেক ধৈর্যশীল ও শান্তিপ্রিয়। কোনোদিন এমন কর্মকাণ্ড তারা পছন্দ করেনি। ধৈর্যের বাধ হারিয়ে ফেললে তারাই এর প্রতিরোধ করবে।স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ভিডিও ফুটেজ দেখে যারা প্রধান বিচারপতির বাসায় ঢুকেছে, জার্জেস কম্পাউন্ডে ঢিল ছুড়েছে, আইডিবিতে ঢুকে যারা ভাঙচুরে সম্পদ বিনষ্ট করেছেন, হাসপাতালে ঢুকে সেবিকাদের মারধর করেছেন, আমাদের নেত্রীদের মারধর করেছেন এসব যাচাই-বাছাই করে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। আমরা প্রমাণ ছাড়া কাউকে ধরছি না।খালেদা জিয়ার চিকিৎসা বিষয়ে তিনি বলেন, খালেদা জিয়া দুই মামলায় সাজাপ্রাপ্ত আসামি। আমাদের প্রধানমন্ত্রী অনেক উদার, তাকে বলা হয় মানবতার মা। তিনি প্রথমেই বেগম জিয়াকে বাসায় থেকে সর্বোচ্চ চিকিৎসা নেওয়ার ব্যবস্থা করে দিয়েছেন। যেটা কেউ কোনো দিন করেছে কি না আমার জানা নেই। খালেদা জিয়ার সাজা স্থগিত করে এই ব্যবস্থা করেছেন। বিদেশ থেকে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক এনে চিকিৎসার ব্যবস্থা করিয়েছেন। সর্বোচ্চ চিকিৎসা খালেদা জিয়া পাচ্ছেন। কাজে বিদেশে গেলে কি হবে না হবে সেটা আমার দেখার বিষয় নয়। আমার দেখার বিষয় হলো তিনি সর্বোচ্চ চিকিৎসা পাচ্ছেন কি না, দেশের সবচেয়ে বড় হাসপাতালে তিনি চিকিৎসা নিচ্ছেন এবং বিদেশ থেকে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক এনে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে তাকে। চিকিৎসার ঘাটতি হয়নি বলে আমি মনে করি।বিএনপির জ্যেষ্ঠ নেতারা কারাগারে এ অবস্থা থাকলে তারা নির্বাচনে আসবেন কি না এমন প্রশ্নে জবাবে তিনি বলেন, নির্বাচনে আসবেন কি আসবেন না, এটা তাদের এখতিয়ার। আমাদের কথা হচ্ছে, ২৮ অক্টোবরের মহাসমাবেশ ঘিরে লঙ্কাকাণ্ডের আগে আমরা বিএনপির কোনো নেতাকর্মীদের ধরিনি। সেখানে যখন নৃশংসতা ও বর্বরতা চলছিল, তখন তারা মঞ্চে বসেছিলেন। তারা তো দুঃখ প্রকাশ করতে পারতেন জাতির উদ্দেশ্যে যে আমাদের নিয়ন্ত্রণের বাইরে গিয়ে উচ্ছৃঙ্খল কিছু কর্মী এসব করেছেন। এটা আমাদের কাম্য ছিল না।
আল-ইমরান, বগুড়া: গত ২ জুলাই দিবাগত রাতে বগুড়া সদর থানায় অভিযোগ দায়ের করেন মামলার বাদী হারুন-উর রশিদ। তিনি মামলায় উল্লেখ করেন কিছুদিন পূর্বে ঢাকা জেলায় বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে মোবাইল নম্বর ০১৭৬৭-৯৮৩২৩৭ ব্যবহারকারী ব্যাক্তির সাথে মামলার সাক্ষী দ্বয়ের পরিচয় হয়। সে সময়ে আলাপচারিতার এক পর্যায়ে উক্ত মোবাইল নম্বর ধারী ব্যাক্তি নিজেকে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের চাচাতো ভাই পরিচয় দিয়ে তার নাম ব্যারিস্টার শামীম রহমান বলে জানায়। সে বেশির ভাগ সময়ে ঢাকায় অবস্থান করে বলেও জানায়। সে কেন্দ্রের সিনিয়র নেতৃবৃন্দের সহিত যোগাযোগ করে ভালো পদ-পদবী দিতে পারবে বলে তাদের আশ্বস্ত করে।