নিউজ ডেস্ক : নাশকতাকারীরা যেখানেই থাকুক, শুধু ঢাকা শহর নয়, বাংলাদেশের যে প্রান্তেই থাকুক তাদের গ্রেপ্তার করে আইনের আওতায় আনা হবে বলে জানিয়েছেন ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) অতিরিক্ত কমিশনার (ডিবি) মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ।তিনি বলেন, আমরা নাশকতাকারীদের অনেকের নাম আমরা পেয়েছি, অনেককে আমরা গ্রেপ্তার করেছি।রোববার (১২ নভেম্বর) রাজধানীর মিন্টু রোডে নিজ কার্যালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এসব কথা বলেন ডিবিপ্রধান।অবরোধে সাধারণ মামলার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, বিভিন্ন থানায় যেসব মামলা হয়, সেগুলো আমাদের দৈনন্দিন কাজ। সেই মামলাগুলোর তদন্ত করছি এবং যেগুলো দরকার অভিযান করে গ্রেপ্তার করছি।ডিবিপ্রধান বলেন, অপরদিকে অবরোধের নামে যারা অবরোধের আগের দিন নাশকতা চালাচ্ছে, নৈরাজ্য সৃষ্টি করছে, মানুষের মধ্যে আতঙ্ক সৃষ্টি করছে; তারা বিচ্ছিন্নভাবে অকেজো বাস, যেই বাসগুলো চলে না এগুলোতে আগুন লাগিয়ে ওই এলাকার জনমনে একটা আতঙ্ক সৃষ্টি করছে। যারা আতঙ্ক সৃষ্টি করছেন বা নাশকতাকারীরা তারা যেখানেই থাকুক, বাংলাদেশের যে প্রান্তে থাকুক তাদের অনেকের নাম আমরা পেয়েছি। অনেককে আমরা গ্রেপ্তার করেছি। আমাদের অভিযান চলছে, বাকিরাও শিগগিরই গ্রেপ্তার হবে।পুলিশের নানা তৎপরতার পরও একের পর এক বাসে আগুন দেওয়ার ঘটনা ঘটছে। এতে গোয়েন্দা দুর্বলতা রয়েছে কিনা জানতে চাইলে গোয়েন্দা পুলিশের প্রধান হারুন অর রশীদ বলেন, ঢাকা শহরের প্রত্যেকটি জায়গায় থানা পুলিশ, ডিবি পুলিশ টহল দিচ্ছে। মোবাইল কোর্ট চলছে। আমরা চেকপোস্ট বসাচ্ছি। যারা বাসে আগুন দিচ্ছে তাদের আমরা গ্রেপ্তার করছি। বিচ্ছিন্ন কয়েকটা জায়গায়… অবরোধ আজকে, তারা গতকাল সন্ধ্যায় যেই গাড়িগুলো অকেজো, নষ্ট হয়ে আছে সেগুলোতে আগুন ধরিয়ে দিচ্ছে। এই নাশকতাকারীরা ফৌজধারি অপরাধ করছে। যেহেতু নাশকতা করছে এবং ফৌজধারি ফলে আমাদের আইনশৃঙ্খলা বাহিনী একদিকে যেমন টহল দিচ্ছে অন্যদিকে তারা যেখানেই পালিয়ে থাকুক না কেন তাদের সবাইকে আমরা আইনের আওতায় নিয়ে আসব।তফসিল ঘোষণার পর আইন-শৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণে কী ধরনের পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমরা আশঙ্কা ঘিরেই নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করি। আমরা দৈনন্দিন কাজ করছি। অপরাধী বা নাশকতার পরিকল্পনা যারা করছে তাদের আমরা গ্রেপ্তার করছি। তফসিলকে কেন্দ্র করে যারা এই ধরনের অপরাধী রয়েছে তাদের আমরা গ্রেপ্তার করব। নির্বাচন কমিশনের অধীনে থেকে সুষ্ঠু সুন্দরভাবে নির্বাচন করার জন্য আমরা একই কাজ করব এবং এটা আমাদের সাংবিধানিক দায়িত্ব।