তিনি বলেন, পৃথিবীর অনেক দেশের অনেক ডিগ্রি পেয়েছি, ওতে মন ভরে না। নিজের বিশ্ববিদ্যালয়ে পেলাম না। অবশ্য আমাকে একটা অনারারি দেওয়া হয়েছিল, কিন্তু সেটা তো না, লেখাপড়া করতে পারলে ভালো হতো।
চাঁদে যেতে হবে
শেখ হাসিনা বলেন, আমরা তো স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণ করেছি, দ্বিতীয়টাও আমরা করব। এরপর তো আমাদের চাঁদে যেতে হবে। সেই চাঁদে যাওয়ার জন্য ইতোমধ্যে আমি কিন্তু লালমনিরহাটে অ্যাভিয়েশন অ্যান্ড অ্যারোস্পেস বিশ্ববিদ্যালয়ও করে দিয়েছি।
গ্রামকে মনে রাখার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, আমাদের যারা লেখাপড়া শেখে তারা যেন ওই গ্রামের মানুষকে ভুলে গেলে চলবে না। তাদের যত উন্নতি হবে দেশও তত উন্নত হবে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, মুষ্টিমেয় লোকের উন্নতি না, উন্নতি হবে সর্বজনীন। গ্রামের একেবারে তৃণমূল পর্যায় থেকে আমাদের উন্নয়ন আসবে।
প্রধানমন্ত্রিত্ব কিছু না
প্রধানমন্ত্রিত্ব তার কাছে কিছু নয় মন্তব্য করে শেখ হাসিনা বলেন, জাতির পিতা যে বাংলাদেশ চেয়েছিলেন সেই বাংলাদেশ গড়াটাই আমার একমাত্র লক্ষ্য। আমার কাছে প্রধানমন্ত্রিত্ব কিছু না। প্রধানমন্ত্রী হলে বহু আগেই হতে পারতাম। কিন্তু সেভাবে আমি চাইনি।
তিনি বলেন, আমার একটাই লক্ষ্য ছিল যে, ক্ষমতা হবে জনগণের কল্যাণ সাধন করা। জাতির পিতা যেভাবে বলেছেন সেভাবে দেশকে গড়ে তোলা। সেই প্রচেষ্টাই আমি চালিয়ে যাচ্ছি।
স্বাধীনতার সুফল ঘরে ঘরে পৌঁছে দেব
বিগত বছরগুলোতে আওয়ামী লীগ সরকারের বিভিন্ন উন্নয়নের কথা তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, অনেক রক্তের বিনিময়ে বাংলাদেশ স্বাধীন হয়েছে। এই স্বাধীনতার সুফল আমরা প্রতিটি মানুষের ঘরে ঘরে আমরা পৌঁছে দেব। এই বাংলাদেশে একটি মানুষও গৃহহীন থাকবে না, ভূমিহীন থাকবে না।
তিনি বলেন, এই দেশটাকে সামনের দিকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য যা যা করার আমরা করে যাচ্ছি।
শেখ হাসিনা বলেন, আমার যতটুকু করার আমি করে যাচ্ছি। কিন্তু এরপরে যেন বাংলাদেশের এই অগ্রযাত্রা থেমে না যায়।
তিনি বলেন, আজকে বাংলাদেশে দারিদ্র্য বিমোচন আমরা করতে পেরেছি, বাংলাদেশের অর্থনৈতিক অগ্রগতি আমরা করতে পেরেছি। যদিও করোনা, যুদ্ধ শুধু আমাদের না বিশ্বে একটা প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করেছে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমাদের যারা আজকের প্রজন্ম তাদের সামনে এগিয়ে যেতে হবে। ২০০৯ সাল থেকে আমরা সরকারে। এই ১৫ বছরে বাংলাদেশ আজকে বদলে যাওয়া বাংলাদেশ। সেটা আমরা করতে পেরেছি জাতির পিতার প্রত্যেকটা কথা, প্রত্যেকটা বাণী হৃদয়ে ধারণ করে তার স্বপ্নটাকে বাস্তবায়ন করা, সেই ভাবে করেছি।
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে মরণোত্তর ‘ডক্টর অব লজ’ ডিগ্রি দিয়েছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি)। উপাচার্য ড. মো. আখতারুজ্জামান এই ডিগ্রি দেন। বঙ্গবন্ধুর পক্ষে ডিগ্রি গ্রহণ করেন তার জ্যেষ্ঠ কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
সমাবর্তন অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত রয়েছেন জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী, শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি, বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য (শিক্ষা) অধ্যাপক এ এস এম মাকসুদ কামাল, উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক মুহাম্মদ সামাদসহ বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মকর্তা, কর্মচারী, শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা।