বরিশালের বাকেরগঞ্জে ৪৪জোড়া স্বর্ণের রুলিসহ একজন মহিলাকে গ্রেফতার করেছে ঝালকাঠি সদর থানা পুলিশ। অপর একজনকে আটক করে দফারফার বিনিময়ে ছেড়ে দেয়ার অভিযোগ উঠেছে।
শনিবার বিকেল ৪ টায় উপজেলার কলসকাঠী ইউনিয়নের বেবাজ গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
সূত্রে জানা যায়, বিগত কিছুদিন পূর্বে ঝালকাঠি সদর থানার জগবন্ধুর স্বর্ণ শাখার দোকান থেকে শতাধিক স্বর্ণের প্রলেপ দেয়া শাখা চুরি হয়। গতকাল শুক্রবার বাকেরগঞ্জের কলসকাঠী ইউনিয়নের কাজল সাহা চুরি হওয়া শাখা বিক্রি করতে ঝালকাঠীতেই জগবন্ধুর দোকানে যায়। এসময় তিনি চুরি হয়ে যাওয়া মালামাল দেখে চিনতে পেরে ঝালকাঠী সদর থানায় খবর দেয়। ঝালকাঠি সদর থানা পুলিশ কাজলকে আটক করে শনিবার বাকি স্বর্ণের রুলি উদ্ধার অভিযানে বাকেরগঞ্জের বেবাজ গ্রামে আসেন।
ঝালকাঠি সদর থানার এস আই আসাদুজ্জামান সঙ্গীয় এএসআই ফয়সালকে সাথে নিয়ে শনিবার বেবাজ গ্রামে অমল রায়ের বাড়িতে অভিযান চালিয়ে তার পুত্র অসিম রায় ও স্ত্রী সবিতা রায়কে আটক করেন। স্থানীয় নুর ইসলামের মধ্যস্থায় বাকেরগঞ্জ থানার ওসি (তদন্ত) মোঃ মোস্তফার দফারফায় ৫০ হাজার টাকার বিনিময়ে পুলিশ আটককৃত অমিতকে ছেড়ে দেয় বলে অভিযোগ উঠেছে।
এ বিষয় জানতে চাইলে ঝালকাঠী সদর থানার এস আই আসাদুজ্জামান সাংবাদিকদের তথ্য দিতে গরিমশি করেন। এমনকি এ ঘটনায় আটককৃত চোরাই স্বর্ণের রুলি ও শাখা ক্রয়কারী কাজল সাহাকে সঙ্গে নিয়ে বাকেরগঞ্জ থানায় নিয়ে এসেছেন জানালেও থানায় এসে দেখা যায় তিনি মিথ্যা কথা বলেছেন। এতবড় চুরির ঘটনায় পুলিশের প্রশ্নবিদ্ধ ভূমিকা নিয়ে জনমনে ব্যাপক কৌতূহলের সৃষ্টি হয়েছে। স্থানীয়রা এ বিষয়ে জেলা পুলিশ সুপারসহ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সুদৃষ্টি ও সহযোগিতা কামনা করেছেন।