সুরুজ তালুকদার ,(বাকেরগঞ্জ প্রতিনিধি) : বরিশাল জেলার মধ্যে অন্যতম বৃহৎ উপজেলা বাকেরগঞ্জ।
১৪ টি ইউনিয়ন নিয়ে গঠিত বাকেরগঞ্জ উপজেলা। বাকেরগঞ্জ উপজেলাটি বিভিন্ন দিক দিয়ে সমৃদ্ধশালী হলেও মাদকের ভয়াবহতার কারনে এই উপজেলাটির সেই সুনাম হারাতে বসেছে। বর্তমানে বাকেরগঞ্জ উপজেলার প্রায় ১৪ টি ইউনিয়ন মাদকের করাল গ্রাসে ছেঁয়ে গেছে। উঠতি বয়সী তরুণ থেকে শুরু করে বয়োবৃদ্ধ অনেকেই জড়িয়ে আছে এই ব্যবসার সাথে। বর্তমানে মোটরসাইকেল ড্রাইভার, অটোরিকশা ড্রাইভার,ছাত্র এবং বিভিন্ন শ্রেনীপেশার মানুষ মাদক ব্যবসার সাথে জড়িত হয়ে পরছে। বিভিন্ন সভা-সেমিনার করে মাদক নিয়ন্ত্রণের কথা বলা হলেও মাঠপর্যায়ে প্রশাসনের ভূমিকা প্রশ্নবিদ্ধ ।
গোপন সূত্রে জানা যায়, মাদক ব্যবসায়ীদের নিয়ে প্রশাসনের কিছু অফিসার লোক দেখানো অভিযান পরিচালনা করতেছে এবং এর কারনে সেই সব মাদক ব্যবসায়ীদের আক্রোশের স্বীকার হচ্ছে নিরীহ অনেক লোকজন। ভুক্তভোগী কয়েকজন জানান,তাদের এলাকার মাদক ব্যবসায়ীরা কিছু অফিসারের সোর্স হিসেবে কাজ করে এবং এসব সোর্সরা ভূল তথ্য দিয়ে হয়রানি করে অনেক নিরীহ লোকজনকে। এছাড়াও ভয় দেখিয়ে প্রশাসনের কিছু অসৎ অফিসারের যোগসাজশে হাতিয়ে নিচ্ছে মোটা অঙ্কের টাকা। ভুক্তভোগী এসব লোকজন হয়রানির স্বীকার হয়েও ভয়ে মুখ খুলছে না। ভুক্তভোগী এসব লোকজন জানায়, যাদের কাছে এসব ব্যাপারে সাহায্য চাইবে তাদেরই তো ভূতে ধরে আছে।
বর্তমানে উঠতি বয়সী তরুণ সহ অনেকেই জড়িয়ে পরছে মাদকের ভয়াবহ নেশার সাথে আবার অনেক উঠতি বয়সী তরুনদের দিয়ে এসব ব্যবসা পরিচালনা করাচ্ছেন রাঘব বোয়ালরা। মাঝে মধ্যে কিছু অভিযানে চুনোপুঁটিদের আইনের আওতায় আনা হলেও বড় রাঘব বোয়ালরা থেকে যাচ্ছে ধরাছোঁয়ার বাহিরে। বর্তমান অফিসার ইনচার্জ এস এম মাকসুদুর রহমান ২০২২ সালের ১৮ ই ডিসেম্বর বাকেরগঞ্জ থানায় যোগদানের পর মাদকের বিরুদ্ধে তিনি কঠোর অবস্থানে ছিলেন। কিন্তু কয়েকজন অফিসার ও কনস্টেবলের জন্য তার সেই সুনাম ক্ষুন্ন হচ্ছে। বর্তমানে নামে মাত্র কিছু অভিযান পরিচালিত হলেও প্রকৃত মাদক ব্যবসায়ীরা থেকে যাচ্ছে ধরাছোঁয়ার বাহিরে। ভুক্তভোগী অনেক সাধারণ মানুষের দাবি প্রকৃত মাদক ব্যবসায়ীদের আইন আওতায় আনা হলে বাকেরগঞ্জ উপজেলা থেকে মাদকের ভয়াবহতা ও আগ্রাসন অনেকটাই কমে আসবে।