মুহাম্মদ কিফায়তুল্লাহ, টেকনাফ প্রতিনিধি: টেকনাফ -কক্সবাজার মহা সড়ক নির্মানের শুরুতেই নানা অনিয়মের মাধ্যমে দ্রুত গতিতে চলছে কাজ। কক্সবাজার জেলা সড়ক ও জনপদ বিভাগের আওতাধীন টেকনাফ পৌরসভার শাপলা চত্বর হতে উপজেলার হোয়াইক্যং ইউনিয়নের উনছিপ্রাং পর্যন্ত ৩১ কিলোমিটার সড়ক দীর্ঘদিন পর্যন্ত নির্মাণ না করায় যানবাহন চলাচলে অনুপযোগী হয়ে পড়লে স্থানীয়রা বিভিন্ন তদবিরের মাধ্যমে চলতি বছরে ৩১ কিলোমিটার সড়ক নির্মাণ ও সেতু নির্মানে টেন্ডার আহ্বান করে।
রাজধানীর একটি ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান ১ শত ৩১ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মাণ কাজের টেন্ডার গ্রহন করে সর্বপ্রথম টেকনাফ পৌরসভা থেকে কাজ শুরু করে। এতে সিডিউল অনুযায়ী সিলেটি কংকর, বালি ও রডের মাধ্যমে মজবুত সড়ক নির্মাণ করা। যে সড়ক ঢালায়ের পর কমপক্ষে ২৫-৩০ দিন ভিজিয়ে নিরাপদ রাখা এবং নির্মানাধীন সড়ক দিয়ে যানবাহন ও লোকজন চলাচল বন্ধ রাখা।
কিন্তু ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান নিয়মকে বৃদ্ধাঙ্গুলি প্রদর্শন করে নিজেদের ইচ্ছামতো দিবা-রাত্রি অনিয়মের মাধ্যমে কাজ চালিয়ে যাচ্ছে। কাজের সময় সড়ক ও জনপদ বিভাগের একজন প্রকৌশলী থাকার কথা রয়েছে, কিন্তু দিনের বেলায় ২/১ ঘন্টা থাকলেও বেশিরভাগই অনুপস্থিত থাকে। ফলে ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান দিবা রাত্রি সমান তালে বিভিন্ন ধরনের নিম্নমানের নির্মাণ সামগ্রী দিয়ে কাজ চালিয়ে যাচ্ছে।
সরজমিনে গিয়ে দেখা যায়, ঢালাই হতে না হতেই সড়ক দিয়ে ভারী যানবাহন ও মাছ বাজারসহ লোকজন চলাচল করছে। যা সড়ক নির্মাণ হতে না হতেই সড়কের আবরণ উঠে গিয়ে নষ্ট হয়ে যাওয়ার আশংকা দেখা দিচ্ছে।
এই সড়ক নিয়ে বিএমএসএফ-টেকনাফ উপজেলা শাখার সভাপতি আবুল কালাম আজাদ জানান,মাগরিবের আজানের সাথে সাথে এই যেন সড়ক না মনে হয় মাছ বাজার।
এই সড়কের বিষয়টি নিয়ে,বিএমএসএফ-টেকনাফ শাখার সাঃ সম্পাদক ও যায়যায়দিন টেকনাফ উপজেলা প্রতিনিধি মোঃ আরাফাত সানি বলেন, সড়কের কাজ শুরু হতে না-হতেই দেখা যায়, এই যেন টেকনাফ না। মনে হয় চট্টগ্রামের জহির মার্কেটের হকাররা দখল করে আছেন।
এ বিষয়ে সড়ক ও জনপদ বিভাগের সহকারী প্রকৌশলী মোস্তফা মুন্সির সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, প্রশাসনিকভাবে সহযোগিতা চেয়েছিলাম, পাশাপাশি স্থানীয়রাও সহযোগিতা না করায় এ অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে, অনুপস্থিতির বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বিষয়টি এড়িয়ে যান