আশিকুর রহমান(স্টাফ রিপোর্টার): নরসিংদী পৌর শহরের কাউরিয়াপাড়া এলাকায় স্পিডবোট ঘাটের ইজারাকে কেন্দ্র করে মতিন গংদের হাতে নির্মমভাবে প্রকাশ্যে কুপিয়ে স্কুল পড়ুয়া ছাত্র সাজিম (১৪) নিহত হওয়ার ঘটনার প্রতিবাদে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিল করেছেন নিহত পরিবারের স্বজন ও এলাকাবাসীরা। এ সময় মতিন সহ অন্যান্য আসামীদের দ্রুত গ্রেপ্তার ও ফাঁসির দাবি জানান তারা।
বুধবার (১৩ সেপ্টেম্বর) বিকেলে নরসিংদী প্রেসক্লাবের সামনে সাবেক পৌর কাউন্সিলর আলমাস মিয়ার সভাপতিত্বে এই মানববন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিল অনুষ্ঠিত হয়।
এসময় বক্তব্য রাখেন, নিহত সাজিমের বাবা আমির হোসেন, মা সোনিয়া বেগম, খালু জামশেদ মিয়া, মামা জুয়েল মিয়া, সোহেল মিয়া, নানা ছাত্তার মিয়া প্রমুখ।
বক্তাগণ বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী, নরসিংদী সদর-১ আসনের সাংসদ, জেলা প্রশাসক ও জেলা পুলিশ সুপারের নিকট সাজিমের পরিবার ও এলাকাবাসী সাজিম হত্যার বিচার চায়। কি অপরাধ ছিলো সাজিমের? মতিন ও তার ছেলেরা এলাকার চিহ্নিত সন্ত্রাসী। নিরপরাধ নাবালক আলীজান জে এম স্কুলের ৭ম শ্রেণিতে পড়ুয়া ছাত্র সাজিমের উপর দিনের বেলায় প্রকাশ্য বর্বরোচিত হামলা মেনে নেওয়া যায় না। আজ ৪দিন হয়, এ মামলার বাকি আসামিদের এখনও গ্রেপ্তার করতে পারেনি পুলিশ। আমরা সাজিমে পরিবার ও এলাকাবাসীর পক্ষ থেকে মতিন সহ বাকি আসামিদের দ্রুত গ্রেপ্তার করে ফাঁসির রায় কার্যকর করতে হবে। দোষীদের দ্রুত গ্রেপ্তারেরও দাবি জানান বক্তারা।
৮ সেপ্টেম্বর (শুক্রবার) নরসিংদী পৌর শহরের কাউরিয়া পাড়া এলাকায় স্পিডবোট ঘাট কে কেন্দ্র করে প্রতিপক্ষ মতিন মিয়া গংদের হামলায় প্রকাশ্যে কুপিয়ে স্কুল পড়ুয়া ছাত্র সাজিম কে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়। এ হামলায় সাজিমের বাবা আমির হোসেন, মামা রায়হান, তালহা (মামা) ও জহিরুল সহ ৪ জনকে কুপিয়ে জখম করে। পরে নিহত সাজিমের বাবা আমির হোসেন বাদী হয়ে নরসিংদী মডেল থানায় হাসান আহমেদ ওরফে রাব্বিকে প্রধান আসামি করে ২৪ জনের নাম উল্লেখ করে হত্যা মামলা দায়ের করেন। উক্ত মামলায় হাসান আহমেদ ওরফে রাব্বি সহ ৩ জনকে আটক করে থানা পুলিশ। আটককৃতদের আদালতে প্রেরণ করা হলে আটক হাসান আহমেদ ওরফে রাব্বিকে দুইদিন আর বাকি ২ জনকে একদিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত। জিজ্ঞাসাবাদের একপর্যায়ে আটকৃতদের স্বীকারোক্তি অনুযায়ী সাজিম হত্যাকান্ডে ব্যবহৃত বিপুল পরিমাণ দেশিয় অস্ত্রশস্ত্র উদ্ধার করা হয়।
আল-ইমরান, বগুড়া: গত ২ জুলাই দিবাগত রাতে বগুড়া সদর থানায় অভিযোগ দায়ের করেন মামলার বাদী হারুন-উর রশিদ। তিনি মামলায় উল্লেখ করেন কিছুদিন পূর্বে ঢাকা জেলায় বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে মোবাইল নম্বর ০১৭৬৭-৯৮৩২৩৭ ব্যবহারকারী ব্যাক্তির সাথে মামলার সাক্ষী দ্বয়ের পরিচয় হয়। সে সময়ে আলাপচারিতার এক পর্যায়ে উক্ত মোবাইল নম্বর ধারী ব্যাক্তি নিজেকে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের চাচাতো ভাই পরিচয় দিয়ে তার নাম ব্যারিস্টার শামীম রহমান বলে জানায়। সে বেশির ভাগ সময়ে ঢাকায় অবস্থান করে বলেও জানায়। সে কেন্দ্রের সিনিয়র নেতৃবৃন্দের সহিত যোগাযোগ করে ভালো পদ-পদবী দিতে পারবে বলে তাদের আশ্বস্ত করে।