মোঃআমান উল্লাহ (কক্সবাজার): কক্সবাজারের উখিয়া রয়েছে ৪২ হাজার একরের সুবিস্তৃত বনভূমি। কিন্তু, এর বড় অংশই এখন বনদস্যুদের দৌরাত্ম্যে উজাড়ের মুখে। তারা যখন তখন কেটে নিয়ে যাচ্ছে বনের গাছ। বিশাল এই বনভূমি রক্ষায় আছেন বন বিভাগের মাত্র ৪০ জন কর্মকর্তা-কর্মচারী। ফলে জনবল সংকটের কারণে চেষ্টা করেও তাদের থামাতে পারছে না বন বিভাগ। প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী জানা গেছে , উখিয়া রেঞ্জ এর আওতাধীন হলদিয়া পালং বিটে কর্মরত আছে ৩ জন ভানুকিয়া বিটে আছে ২জন, ওয়ালাপালং বিটে আছে ২জন, উখিয়া সদর বিটে আছে ১জন, দৌছড়ি বিটে আছে ৪জন, উখিয়ার ঘাট বিটে আছে ২জন, থাইংখালী বিটে আছে ও মোচার খোলা বিটে আছে ২ জন ও রেঞ্জ অফিসে ৩ জন। নতুন ৫ জন মিলে সর্বমোট ২৪ জন বনকর্মী রয়েছে। এছাড়াও ইনানী রেঞ্জ এর আওতাধীন ইনানী সদর, চোয়ানখালী, জালিয়াপালং, রাজাপালং বিটসহ ৪ টি বিটে বনকর্মী ১৬ জন।সম্প্রতি বেশ কয়েকটি অভিযান পরিচালনা করে। করাতকল সহ অবৈধ ডাম্পার জব্দ করেছে। সম্প্রতি উখিয়াতে অভিযান পরিচালনা করে করাতকল জব্দসহ বনবিভাগের বেশ কিছু বনভূমি উদ্ধার করা হয়েছে।স্থানীয় সচেতন মহলের মতে , ২০১৭ সালের আগে উখিয়াতে বনভূমিতে বিপুল পরিমাণ গাছ ছিল। সামাজিক বনায়নও করেছিল । কিন্তু ২০১৭ সালে মায়ানমারের নির্যাতিত রোহিঙ্গারা বাংলাদেশে প্রবেশ করতে থাকলে প্রতিনিয়ত এলাকার পাহাড় বন দখল করে ঘর বাড়ি তৈরি করেছে। এতে সাবাড় হয়েছে বনাঞ্চল। উখিয়া রেঞ্জ কর্মকর্তা গাজী শফিউল আলম জানান, ৯ হাজার ৭৮.৩৯ হেক্টরের বিশাল বনভূমি রক্ষার জন্য আমার আছে মাত্র ২৪জন কর্মকর্তা কর্মচারি। আমরা বন বা বনের জমি রক্ষায় কাজ করছি। সম্প্রতি আমরা বালুর উত্তোলন, করাতকলসহ বেশ কিছু পরিবেশ বিধ্বংসী সরঞ্জাম জব্দ করা করেছি। আমাদের রেঞ্জ এ জনবল সংকট রয়েছে। তার পরেও আমরা জীবনের মায়া ত্যাগ করে সরকারি দায়িত্ব পালন করে আসছি।তিনি আরও জানান, সরকারি বনভূমি উদ্ধারে বনবিভাগ সচেষ্ট রয়েছে। লোকবল সংকটের কারণে অনেকসময় ইচ্ছে থাকার পরও সময় মতো অভিযান চালানো যায় না। কিন্তু দখলে অভিযুক্ত এলাকাগুলোতে এখন থেকে কঠিন নজরদারি রেখে নিয়মিত উচ্ছেদ অভিযান চালানো হচ্ছে। দখলদার যে-ই হোক না কেন, তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে। আইনের আওতায় আসবে তাদের সহযোগীও।ইনানী রেঞ্জ কর্মকর্তা ফিরোজ আল আমিন জানান, ২০ হাজার একর বনভূমি রক্ষায় অন্তত ৬০ জনের মতো লোকবল প্রয়োজন ছিল। কিন্তু লোকবল আছে ১৬ জন। লোকবল সংকট থাকলেও বনভূমি রক্ষায় আমরা কঠোর অবস্থানে। যেখানেই বনভূমি দখল হবে সেখানেই উচ্ছেদ অভিযান চালানো হচ্ছে। এবং উচ্ছেদ অভিযান অব্যাহত থাকবে।